ভাঙনের মুখে স্কুল পাঠদান বটতলায়

ভাঙন হুমকিতে থাকা মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের ৫৭নং হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস হচ্ছে বটগাছের নিচে।

জানা যায়, এবার বর্ষায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার চরাঞ্চলের আজিমনগর ও সুতালড়ি ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িঘর, সুতালড়ি ইউনিয়নের ৪১নং রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুরোপুরি পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।

গত সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করার কথা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক জানালেও এখনও কাজ শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।

৫৭নং হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর কবির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ২০-২৫ গজের মধ্যে পদ্মানদী থাকায় বিদ্যালয়টি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই আমরা স্কুলের পাশেই বটগাছ তলায় ক্লাস নিচ্ছি। পদ্মার পানি কমে গেলে আমরা বিদ্যালয়েই ক্লাস নেবো। আর যদি শিক্ষা অফিস থেকে কোন নির্দেশনা আসে তবে সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাঈনুল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরানো হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন বলেন, বর্ষার সময়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছিল। বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ভাঙনের মুখে স্কুল পাঠদান বটতলায়

প্রতিনিধি, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ)

image

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) :  হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে বটগাছের নিচে -সংবাদ

ভাঙন হুমকিতে থাকা মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের ৫৭নং হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস হচ্ছে বটগাছের নিচে।

জানা যায়, এবার বর্ষায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার চরাঞ্চলের আজিমনগর ও সুতালড়ি ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িঘর, সুতালড়ি ইউনিয়নের ৪১নং রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুরোপুরি পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।

গত সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করার কথা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক জানালেও এখনও কাজ শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।

৫৭নং হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর কবির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ২০-২৫ গজের মধ্যে পদ্মানদী থাকায় বিদ্যালয়টি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই আমরা স্কুলের পাশেই বটগাছ তলায় ক্লাস নিচ্ছি। পদ্মার পানি কমে গেলে আমরা বিদ্যালয়েই ক্লাস নেবো। আর যদি শিক্ষা অফিস থেকে কোন নির্দেশনা আসে তবে সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাঈনুল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরানো হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন বলেন, বর্ষার সময়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছিল। বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি।