সৈয়দপুরে কনে দেখার নামে তরুণীর সঙ্গে অশ্লীল ছবি তুলে টাকা আদায়ের ঘটনায় নাজিবুল ইসলাম ওরফে টাইগারকে (৫১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার শহরের শপিংমল চৌধুরী টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মূল হোত টাইগার নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি পরিচয়ে ওই প্রতারণার ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ জানায়, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চালিনিয়া গ্রামের কামরুল হাসান ছোট ভাইয়ের বিয়ের জন্য কনে দেখতে বলে প্রতিবেশী বাদল হোসেনকে। বাদল সৈয়দপুর শহরের নিমবাগান এলাকার বাসিন্দা টাইগারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কনে দেখার প্রতারণার ফাঁদ পাতে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরুলকে পীরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুরে ডেকে আনা হয়। পাত্রের বড় ভাই কামরুলকে কনের বাড়ি বলে টাইগারের ভাড়া বাসায় তোলা হয় তাকে। এ সময় টাইগারের স্ত্রীসহ কয়েক ব্যক্তি দুই তরুণীকে কামরুলের পাশে বসিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভঙ্গিতে ছবি তুলে। এ সময় পুলিশে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কামরুলের পকেটে থাকা ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এর কিছুক্ষণ পর বাড়িতে হাজির হয় প্রতারক চক্রের মূল হোত টাইগার। সে নিজেকে ডিবি ওসি পরিচয়ে ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে কামরুলকে মারপিট করে তার ব্যাংকের এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পাসওয়ার্ড জানাতে বাধ্য করে। ঘটনার রাতেই শহরের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে নেয়। এরপর প্রতারক চক্রের সদস্যরা কামরুলকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে রংপুরগামী বাসে তুলে দেয়া হয়। কামরুল রংপুর থেকে ফিরে সৈয়দপুর থানায় হাজির হয়ে প্রতারণার অভিযোগ দেন। পুলিশ প্রতারক চক্রকে ধরতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার শপিংমল চৌধুরী টাওয়ার থেকে টাইগারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছে থাকা ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় সে প্রতারণার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে। গ্রেপ্তারকৃত টাইগারের বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউপির পাকাধরা গ্রামে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) খায়রুল আনাম জানান, গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের হোতা টাইগারের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
সৈয়দপুরে কনে দেখার নামে তরুণীর সঙ্গে অশ্লীল ছবি তুলে টাকা আদায়ের ঘটনায় নাজিবুল ইসলাম ওরফে টাইগারকে (৫১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার শহরের শপিংমল চৌধুরী টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মূল হোত টাইগার নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি পরিচয়ে ওই প্রতারণার ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ জানায়, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চালিনিয়া গ্রামের কামরুল হাসান ছোট ভাইয়ের বিয়ের জন্য কনে দেখতে বলে প্রতিবেশী বাদল হোসেনকে। বাদল সৈয়দপুর শহরের নিমবাগান এলাকার বাসিন্দা টাইগারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কনে দেখার প্রতারণার ফাঁদ পাতে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরুলকে পীরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুরে ডেকে আনা হয়। পাত্রের বড় ভাই কামরুলকে কনের বাড়ি বলে টাইগারের ভাড়া বাসায় তোলা হয় তাকে। এ সময় টাইগারের স্ত্রীসহ কয়েক ব্যক্তি দুই তরুণীকে কামরুলের পাশে বসিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভঙ্গিতে ছবি তুলে। এ সময় পুলিশে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কামরুলের পকেটে থাকা ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এর কিছুক্ষণ পর বাড়িতে হাজির হয় প্রতারক চক্রের মূল হোত টাইগার। সে নিজেকে ডিবি ওসি পরিচয়ে ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে কামরুলকে মারপিট করে তার ব্যাংকের এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পাসওয়ার্ড জানাতে বাধ্য করে। ঘটনার রাতেই শহরের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে নেয়। এরপর প্রতারক চক্রের সদস্যরা কামরুলকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে রংপুরগামী বাসে তুলে দেয়া হয়। কামরুল রংপুর থেকে ফিরে সৈয়দপুর থানায় হাজির হয়ে প্রতারণার অভিযোগ দেন। পুলিশ প্রতারক চক্রকে ধরতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার শপিংমল চৌধুরী টাওয়ার থেকে টাইগারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছে থাকা ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় সে প্রতারণার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে। গ্রেপ্তারকৃত টাইগারের বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউপির পাকাধরা গ্রামে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) খায়রুল আনাম জানান, গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের হোতা টাইগারের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।