বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ছাতিরচরের বাতিঘর ভাসমান স্কুল

কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা নিকলীর ভাঙন কবলিত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গ্রাম ছাতিরচর গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে কাজ করছে ভাসমান নৌস্কুল। শিক্ষার বাইরেও এসব নৌকায় দরিদ্র মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাও দেয়া হচ্ছে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘোড়াউত্রা নদীতে তিনটি ভাসমান নৌকায় প্রতিষ্ঠিত স্কুলে গ্রামের শিশুদের বেসরকারী সংস্থা পপি’র উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।

শুক্রবার এসব ভাসমান স্কুল পরিদর্শন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমানে সরকারের ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (এম.আর.এ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান ও সচিব মো. ফসিউল্লাহ। সুসজ্জিত ও সুরক্ষিত নৌকার ভেতর দুর্গম এ গ্রামের শিশুরা প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। পপি থেকে তাদের শিক্ষা উপকরণও দেয়া হচ্ছে। এখান থেকে পাস করে অনেকে কলেজে পড়ছে। তাদের লেখাপড়ার মান ও আগ্রহ দেখে মো. ফসিউল্লাহ অভীভূত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি শুক্রবার ছাতিরচর গ্রামে গিয়ে ‘পপি’ পরিচালিত ভাসমান স্কুলে লেখাপড়ার ব্যবস্থাপনা এবং একইসঙ্গে নৌকার ভেতর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা জাতীয় সঙ্গীতসহ বিভিন্ন রকম গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেছে। এ সময় পপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুর্শেদ আলম সরকার, এম.আর.এ’র পরিচালক মো. নূরে আলম মেহেদী, ক্রেডিট ডেভলপমেন্ট ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। তিনটি নৌকার ভাসমান স্কুলে মোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। পপির উদ্যোগে ২০০৮ সাল থেকে এই ভাসমান স্কুল চালু করা হয়।

ভাসমান স্কুল পরিদর্শন শেষে পপির প্রধান মুর্শেদ আলম সরকারের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান, শিক্ষার্থীদের আইটি উপকরণ ট্যাবসহ শিক্ষা উপকরণ প্রদান এবং শেখ রাসেল দিবসের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক মা এবং সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ছাতিরচরের বাতিঘর ভাসমান স্কুল

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

image

কিশোরগঞ্জ : বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ছাতিরচরের ভাসমান স্কুলে পাঠ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা -সংবাদ

কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা নিকলীর ভাঙন কবলিত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গ্রাম ছাতিরচর গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে কাজ করছে ভাসমান নৌস্কুল। শিক্ষার বাইরেও এসব নৌকায় দরিদ্র মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাও দেয়া হচ্ছে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘোড়াউত্রা নদীতে তিনটি ভাসমান নৌকায় প্রতিষ্ঠিত স্কুলে গ্রামের শিশুদের বেসরকারী সংস্থা পপি’র উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।

শুক্রবার এসব ভাসমান স্কুল পরিদর্শন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমানে সরকারের ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (এম.আর.এ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান ও সচিব মো. ফসিউল্লাহ। সুসজ্জিত ও সুরক্ষিত নৌকার ভেতর দুর্গম এ গ্রামের শিশুরা প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। পপি থেকে তাদের শিক্ষা উপকরণও দেয়া হচ্ছে। এখান থেকে পাস করে অনেকে কলেজে পড়ছে। তাদের লেখাপড়ার মান ও আগ্রহ দেখে মো. ফসিউল্লাহ অভীভূত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি শুক্রবার ছাতিরচর গ্রামে গিয়ে ‘পপি’ পরিচালিত ভাসমান স্কুলে লেখাপড়ার ব্যবস্থাপনা এবং একইসঙ্গে নৌকার ভেতর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা জাতীয় সঙ্গীতসহ বিভিন্ন রকম গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেছে। এ সময় পপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুর্শেদ আলম সরকার, এম.আর.এ’র পরিচালক মো. নূরে আলম মেহেদী, ক্রেডিট ডেভলপমেন্ট ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। তিনটি নৌকার ভাসমান স্কুলে মোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। পপির উদ্যোগে ২০০৮ সাল থেকে এই ভাসমান স্কুল চালু করা হয়।

ভাসমান স্কুল পরিদর্শন শেষে পপির প্রধান মুর্শেদ আলম সরকারের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান, শিক্ষার্থীদের আইটি উপকরণ ট্যাবসহ শিক্ষা উপকরণ প্রদান এবং শেখ রাসেল দিবসের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক মা এবং সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।