করোনা শনাক্ত অনেক কম, যাচ্ছে না শঙ্কা

মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা বেশি

প্রায় দেড় বছর পর একদিনে দেশে সবচেয়ে কম করোনা রোগী শনাক্ত হলো। একই সঙ্গে কমেছে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণ হারও। তবে এদিন নমুনা পরীক্ষাও কম হয়েছে। সম্প্রতি দেশে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা বেড়েছে, এতে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। আসছে শীত মৌসুমেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যে গত কিছুদিন ধরে পুনরায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গতকালও পশ্চিমবঙ্গে প্রায় এক হাজার মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা দুইশর নিচে ছিল।

প্রতিদিন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ ‘বৈধ-অবৈধভাবে’ ভারতে যাতায়াত করে। তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ভারতে সম্প্রতি সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে করোনার নতুন ধরন ‘ডেল্টা প্লাস’ ভূমিকা রাখছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত কমেছে, তবে মৃত্যু বেড়েছে। সংক্রমণ হারও কমেছে। এদিন করোনায় আটজন মারা গেছেন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে, আগের দিন যা ছিল ২৯৪ জন। এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল, ১৩৯ জন।

সর্বশেষ একদিনে রোগী শনাক্তের হার নেমে এসেছে এক দশমিক ২৫ শতাংশে। আগের দিন যা ছিল এক দশমিক ৭১ শতাংশ।

একদিনে শনাক্ত হওয়া ১৬৬ জনকে নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হলো। আর মারা যাওয়া আট জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ২৭ হাজার ৮৬২ জন।

একদিনে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮১ জন। তাদের নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৭ জন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে সংক্রমণ হার এখন এক শতাংশেরও কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আসন্ন শীত মৌসুম পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই সময়ে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি আরও বলেন, ‘বিশে^র অনেক দেশেই এখন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ কারণে আমাদের দেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেইন মো. মইনুল আহসান সংবাদকে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা না করলে পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে। তিনি সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও অন্যান্য সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশনা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন।

পরীক্ষা কমেছে, তাই শনাক্তও কম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ২৪০টি। দেশে এ পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি তিন লাখ ৩২ হাজার ৬৪৪টি।

দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।

আগের দিন দেশে ১৭ হাজার ৮১১টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ওইদিন পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল এক দশমিক ৭১ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আট জনের মধ্যে পুরুষ ছয় জন ও দুইজন ছিলেন নারী। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৮৪০ জন এবং নারী মারা গেলেন দশ হাজার ২২ জন।

একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে তিনজনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এক জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন এবং একজনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

মৃত্যু হওয়া আট জনের মধ্যে অর্ধেক রোগীই ছিল ঢাকা বিভাগের। এ বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন চার জন। বাকি চার জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের দুই জন এবং খুলনা বিভাগ ও সিলেট বিভাগে এক জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত জন সরকারি হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এর দশদিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। আর গত ৫ অগাস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর কথা জানানো হয়, যা দেশে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিনশর’ কাছাকাছি নেমে এসেছিল, ওই সময় সংক্রমণ হারও ছিল তিন শতাংশের কাছাকাছি।

কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত জুন, জুলাই ও আগস্টে নিয়মিত ভাঙতে থাকে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। গত ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

করোনা শনাক্ত অনেক কম, যাচ্ছে না শঙ্কা

মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা বেশি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

প্রায় দেড় বছর পর একদিনে দেশে সবচেয়ে কম করোনা রোগী শনাক্ত হলো। একই সঙ্গে কমেছে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণ হারও। তবে এদিন নমুনা পরীক্ষাও কম হয়েছে। সম্প্রতি দেশে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা বেড়েছে, এতে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। আসছে শীত মৌসুমেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যে গত কিছুদিন ধরে পুনরায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গতকালও পশ্চিমবঙ্গে প্রায় এক হাজার মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা দুইশর নিচে ছিল।

প্রতিদিন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ ‘বৈধ-অবৈধভাবে’ ভারতে যাতায়াত করে। তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ভারতে সম্প্রতি সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে করোনার নতুন ধরন ‘ডেল্টা প্লাস’ ভূমিকা রাখছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত কমেছে, তবে মৃত্যু বেড়েছে। সংক্রমণ হারও কমেছে। এদিন করোনায় আটজন মারা গেছেন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে, আগের দিন যা ছিল ২৯৪ জন। এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল, ১৩৯ জন।

সর্বশেষ একদিনে রোগী শনাক্তের হার নেমে এসেছে এক দশমিক ২৫ শতাংশে। আগের দিন যা ছিল এক দশমিক ৭১ শতাংশ।

একদিনে শনাক্ত হওয়া ১৬৬ জনকে নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হলো। আর মারা যাওয়া আট জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ২৭ হাজার ৮৬২ জন।

একদিনে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮১ জন। তাদের নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৭ জন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে সংক্রমণ হার এখন এক শতাংশেরও কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আসন্ন শীত মৌসুম পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই সময়ে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি আরও বলেন, ‘বিশে^র অনেক দেশেই এখন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ কারণে আমাদের দেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেইন মো. মইনুল আহসান সংবাদকে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা না করলে পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে। তিনি সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও অন্যান্য সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশনা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন।

পরীক্ষা কমেছে, তাই শনাক্তও কম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ২৪০টি। দেশে এ পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি তিন লাখ ৩২ হাজার ৬৪৪টি।

দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।

আগের দিন দেশে ১৭ হাজার ৮১১টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ওইদিন পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল এক দশমিক ৭১ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আট জনের মধ্যে পুরুষ ছয় জন ও দুইজন ছিলেন নারী। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৮৪০ জন এবং নারী মারা গেলেন দশ হাজার ২২ জন।

একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে তিনজনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এক জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন এবং একজনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

মৃত্যু হওয়া আট জনের মধ্যে অর্ধেক রোগীই ছিল ঢাকা বিভাগের। এ বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন চার জন। বাকি চার জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের দুই জন এবং খুলনা বিভাগ ও সিলেট বিভাগে এক জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত জন সরকারি হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এর দশদিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। আর গত ৫ অগাস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর কথা জানানো হয়, যা দেশে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিনশর’ কাছাকাছি নেমে এসেছিল, ওই সময় সংক্রমণ হারও ছিল তিন শতাংশের কাছাকাছি।

কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত জুন, জুলাই ও আগস্টে নিয়মিত ভাঙতে থাকে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। গত ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়।