দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিল্পী-কলাকুশলীরা। গতকাল সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাবেশ করেন তারা। এই প্রতিবাদের আয়োজন করেন ১৪টি সংগঠনের জোট ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন, আয়োজনের সদস্য সচিব উপস্থাপক আনজাম মাসুদ।
‘ঐতিহ্য ও কৃষ্টির এই দেশে, থাকি সবাই মিলেমিশে’-এই সেøাগান নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদ, তারিক আনাম খান, শমী কায়সার, তারিন, ইরেশ যাকের, দীপা খন্দকার, শাহেদ আলী সুজন, আহসান হাবিব নাসিম, মীর সাব্বির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে গোলাম কুদ্দুস, সম্প্রীতির বাংলাদেশের সভাপতি পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিচালক গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, চয়নিকা চৌধুরী, শিহাব শাহীন, কামরুজ্জামান সাগর, পিকলু চৌধুরী, নাট্যকার মাসুম রেজা, দেবাশীষ বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী জয় শাহরিয়ার, গীতিকার মাহমুদ মানজুরসহ অনেকেই।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত। কিন্তু, এ দেশকে সাম্প্রদায়িক করার অপচেষ্টা সম্মিলিতভাবে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। সে লক্ষ্যেই এই সমাবেশের ডাক।’ এ ছাড়াও অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘শিল্পীরা সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক প্রতিবাদ করেছেন। এবার আমরা পথে নামছি। শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত চলচ্চিত্র, সঙ্গীত ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোকেও আহ্বান জানিয়েছি।’
তারিক আনাম খান বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। এমন ঘটনা দেখে ব্যক্তি হিসেবে খুব কষ্ট হয়। প্রতিবাদ যেভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে হচ্ছে না। ক্ষমতার রাজনীতি থেকে সরে এসে উন্নত সমাজ তৈরি করতে না পারলে আমরা কেউই নিরাপদ না।’
অভিনেত্রী তারিন বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হচ্ছে, এটা খুব দুঃখজনক। আমার জন্ম কুমিল্লাতে। ছোটবেলায় আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি পরিবেশে বড় হয়েছি। আমাদের ভেতরে সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু কিছু দিন আগে কুমিল্লা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, বোঝাই যাচ্ছে- এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন, সেই পরিবেশটুকু আমরা ফেরত চাই।’
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গতকাল সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে শিল্পীদের সম্প্রীতি সমাবেশ। এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পী অধরা প্রিয়া -সংবাদ
আরও খবররবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গতকাল সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে শিল্পীদের সম্প্রীতি সমাবেশ। এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পী অধরা প্রিয়া -সংবাদ
দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিল্পী-কলাকুশলীরা। গতকাল সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাবেশ করেন তারা। এই প্রতিবাদের আয়োজন করেন ১৪টি সংগঠনের জোট ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন, আয়োজনের সদস্য সচিব উপস্থাপক আনজাম মাসুদ।
‘ঐতিহ্য ও কৃষ্টির এই দেশে, থাকি সবাই মিলেমিশে’-এই সেøাগান নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদ, তারিক আনাম খান, শমী কায়সার, তারিন, ইরেশ যাকের, দীপা খন্দকার, শাহেদ আলী সুজন, আহসান হাবিব নাসিম, মীর সাব্বির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে গোলাম কুদ্দুস, সম্প্রীতির বাংলাদেশের সভাপতি পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিচালক গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, চয়নিকা চৌধুরী, শিহাব শাহীন, কামরুজ্জামান সাগর, পিকলু চৌধুরী, নাট্যকার মাসুম রেজা, দেবাশীষ বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী জয় শাহরিয়ার, গীতিকার মাহমুদ মানজুরসহ অনেকেই।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত। কিন্তু, এ দেশকে সাম্প্রদায়িক করার অপচেষ্টা সম্মিলিতভাবে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। সে লক্ষ্যেই এই সমাবেশের ডাক।’ এ ছাড়াও অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘শিল্পীরা সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক প্রতিবাদ করেছেন। এবার আমরা পথে নামছি। শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত চলচ্চিত্র, সঙ্গীত ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোকেও আহ্বান জানিয়েছি।’
তারিক আনাম খান বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। এমন ঘটনা দেখে ব্যক্তি হিসেবে খুব কষ্ট হয়। প্রতিবাদ যেভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে হচ্ছে না। ক্ষমতার রাজনীতি থেকে সরে এসে উন্নত সমাজ তৈরি করতে না পারলে আমরা কেউই নিরাপদ না।’
অভিনেত্রী তারিন বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হচ্ছে, এটা খুব দুঃখজনক। আমার জন্ম কুমিল্লাতে। ছোটবেলায় আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি পরিবেশে বড় হয়েছি। আমাদের ভেতরে সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু কিছু দিন আগে কুমিল্লা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, বোঝাই যাচ্ছে- এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন, সেই পরিবেশটুকু আমরা ফেরত চাই।’