বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ছাড়ালো অর্ধকোটি

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব থামছেই না। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে বিশ্বে প্রাণহানি ছাড়াল অর্ধ কোটি। গতকাল এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৮ হাজার ৩৩ জন। এ নিয়ে বিশ্বে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ চার হাজার ৩৭০ জনে।

একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৮০ হাজার ৫২০ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ২৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৯ জনে। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৩১৪ জন। পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত চার কোটি ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ৯৭৯ জন ও মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬৫ হাজার ৭২২ জনে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৬৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ জন। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ৭১৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৩ জন।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৬ জনে। এরমধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ সাত হাজার ৫০৪ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই কোটি নয় লাখ ৮৬ হাজার ৯০১ জন। তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮৫৪ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৬ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারী’ হিসেবে ঘোষণা করে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ছাড়ালো অর্ধকোটি

image

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব থামছেই না। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে বিশ্বে প্রাণহানি ছাড়াল অর্ধ কোটি। গতকাল এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৮ হাজার ৩৩ জন। এ নিয়ে বিশ্বে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ চার হাজার ৩৭০ জনে।

একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৮০ হাজার ৫২০ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ২৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৯ জনে। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৩১৪ জন। পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত চার কোটি ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ৯৭৯ জন ও মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬৫ হাজার ৭২২ জনে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৬৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ জন। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ৭১৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৩ জন।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৬ জনে। এরমধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ সাত হাজার ৫০৪ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই কোটি নয় লাখ ৮৬ হাজার ৯০১ জন। তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮৫৪ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৬ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারী’ হিসেবে ঘোষণা করে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।