করোনায় কত ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তা বলা যাবে না শিক্ষামন্ত্রী

করোনা মহামারীতে ঠিক কত ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

গতকাল চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯০ ভাগের বেশি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা পাচ্ছি। তার মানে, তারা ঝরে পড়েনি।

এখনও অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার এখনও শতভাগ নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে।’

দীপু মনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনও ঠিক বলতে পারছি না ঠিক কতসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। তবে কিছু হয়তো ঝরে পড়েছে। যাদের একটু আর্থিক সমস্যা রয়েছে, তারা ছেলেমেয়েদের কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে, মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়তো কারও কারও বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে।

যদিও বাল্যবিবাহ হওয়া উচিত ছিল না। সেই মেয়েরা যেখানেই থাকুক, তারা যেন স্কুলে ফিরে আসে। তাদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দিতে শিক্ষকদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

করোনায় কত ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তা বলা যাবে না শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনা মহামারীতে ঠিক কত ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

গতকাল চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯০ ভাগের বেশি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা পাচ্ছি। তার মানে, তারা ঝরে পড়েনি।

এখনও অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার এখনও শতভাগ নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে।’

দীপু মনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনও ঠিক বলতে পারছি না ঠিক কতসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। তবে কিছু হয়তো ঝরে পড়েছে। যাদের একটু আর্থিক সমস্যা রয়েছে, তারা ছেলেমেয়েদের কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে, মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়তো কারও কারও বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে।

যদিও বাল্যবিবাহ হওয়া উচিত ছিল না। সেই মেয়েরা যেখানেই থাকুক, তারা যেন স্কুলে ফিরে আসে। তাদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দিতে শিক্ষকদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।