আমরা তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না

কমিউনিটি পুলিশের অনেক দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না। ঘরে যে সব জনসাধারণ আছেন, তারা যদি সচেতন থাকেন এবং পুলিশকে তথ্য দেন, তাহলে অনেক ঘটনা ঘটবে না। অনেক ঘটনাই আমরা প্রতিরোধ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। গতকাল রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পুলিশ ধীরে ধীরে জনতার পুলিশ হয়ে উঠছে। করোনায় ফ্রন্ট ফাইটার হিসেবে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটিকে সচেতন করে ঘটনা ঘটার আগেই তা রুখে দিতে পারে। সে জন্যই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছি। পৃথিবীর অনেক দেশই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পেয়েছে, আমরাও পাচ্ছি। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আমাদের একটা সাইবার ক্রাইম ইউনিট রয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যদিও এটি এখন ছোট আকারে রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এটিকে বড় আকারে নিয়ে যাওয়া হবে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদেরকে এমন এক সমাজ তৈরি করতে হবে যেখানে অপরাধ থাকবে না। এ জন্য সামগ্রিকভাবে সমাজ সম্মেলন করতে হবে। সমাজের সঙ্গে, নাগরিকের সঙ্গে পার্টনারশিপ পুলিশিং গড়ে তুলতে হবে। জনগণের সঙ্গে মেলবন্ধনের কারণে আমরা ইতোমধ্যে অনেক জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে পেরেছি। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, তারা রক্তপাত পছন্দ করেন না, কলহ পছন্দ করেন না। আমাদের দেশের পুলিশ জনবান্ধব, শিশুবান্ধব, নারীবান্ধব। সনাতন অপরাধ কমলেও টেকনোলজি বৃদ্ধির পাশাপাশি সাইবার অপরাধ বাড়ছে। আমরাও টেকনোলজি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এ দেশকে রক্ষা করব, জনগণকে রক্ষা করব, এর বিরুদ্ধে আমরা ইস্পাতসম প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই এই সমাজেরই লোক। আমরা যদি একজনের পাশে না দাঁড়াই, তাহলে এ সমাজ টিকবে না, রাষ্ট্র টিকবে না। আমার পুলিশের দুটো চোখ দিয়ে যা দেখা যায় না, কমিউনিটির শত শত চোখ দিয়ে তার চেয়ে বেশি দেখা যায়।

রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, মুখ্য আলোচক প্রথিতযশা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও সভাপতি ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১ এর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ পুলিশ শিল্পগোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জনগণ ও পুলিশের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়। ‘মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি’ এই প্রতিপাদ্যে সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ দিবসটি পালন করে থাকে বাংলাদেশ পুলিশ।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আমরা তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কমিউনিটি পুলিশের অনেক দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না। ঘরে যে সব জনসাধারণ আছেন, তারা যদি সচেতন থাকেন এবং পুলিশকে তথ্য দেন, তাহলে অনেক ঘটনা ঘটবে না। অনেক ঘটনাই আমরা প্রতিরোধ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। গতকাল রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পুলিশ ধীরে ধীরে জনতার পুলিশ হয়ে উঠছে। করোনায় ফ্রন্ট ফাইটার হিসেবে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটিকে সচেতন করে ঘটনা ঘটার আগেই তা রুখে দিতে পারে। সে জন্যই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছি। পৃথিবীর অনেক দেশই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পেয়েছে, আমরাও পাচ্ছি। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আমাদের একটা সাইবার ক্রাইম ইউনিট রয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যদিও এটি এখন ছোট আকারে রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এটিকে বড় আকারে নিয়ে যাওয়া হবে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদেরকে এমন এক সমাজ তৈরি করতে হবে যেখানে অপরাধ থাকবে না। এ জন্য সামগ্রিকভাবে সমাজ সম্মেলন করতে হবে। সমাজের সঙ্গে, নাগরিকের সঙ্গে পার্টনারশিপ পুলিশিং গড়ে তুলতে হবে। জনগণের সঙ্গে মেলবন্ধনের কারণে আমরা ইতোমধ্যে অনেক জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে পেরেছি। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, তারা রক্তপাত পছন্দ করেন না, কলহ পছন্দ করেন না। আমাদের দেশের পুলিশ জনবান্ধব, শিশুবান্ধব, নারীবান্ধব। সনাতন অপরাধ কমলেও টেকনোলজি বৃদ্ধির পাশাপাশি সাইবার অপরাধ বাড়ছে। আমরাও টেকনোলজি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এ দেশকে রক্ষা করব, জনগণকে রক্ষা করব, এর বিরুদ্ধে আমরা ইস্পাতসম প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই এই সমাজেরই লোক। আমরা যদি একজনের পাশে না দাঁড়াই, তাহলে এ সমাজ টিকবে না, রাষ্ট্র টিকবে না। আমার পুলিশের দুটো চোখ দিয়ে যা দেখা যায় না, কমিউনিটির শত শত চোখ দিয়ে তার চেয়ে বেশি দেখা যায়।

রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, মুখ্য আলোচক প্রথিতযশা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও সভাপতি ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১ এর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ পুলিশ শিল্পগোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জনগণ ও পুলিশের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়। ‘মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি’ এই প্রতিপাদ্যে সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ দিবসটি পালন করে থাকে বাংলাদেশ পুলিশ।