পদ্মাসেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাই শুরু হবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে পদ্মাসেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাইয়ের কাজ (কার্পেটিং)। পিচঢালাই আরও দুই সপ্তাহ আগে শুরুর পরিকল্পনা ছিল সংশ্লিষ্টদের। এজন্য প্রস্তুতিও নেয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পিছিয়ে যায় এ কার্যক্রম।

গত দুই দিন ধরে টানা রোদ থাকায় পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্টরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পিচঢালাইয়ের কাজ শুরুর আশা করছেন। জাজিরা প্রান্ত থেকে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।

১৯ অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চার মিলিমিটার পুরুত্বের এই স্তরকে প্রকৌশলীরা ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে অভিহিত করছেন। ইংল্যান্ড ও ইতালি থেকে এই স্তর তৈরির জন্য রাসায়নিক আমদানি করা হয়েছে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিচঢালাই শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তা শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। রোদ দেখা দিচ্ছে দুই দিন ধরে। তার আগে দফায় দফায় বৃষ্টির ফলে পিচঢালাই শুরু করা যায়নি।’

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে পানি নিরোধক স্তর বসানো হচ্ছে না। তাই গত বুুধবার ভায়াডাক্টের ৬০ মিটার অংশে পিচঢালাই করা হয়। মূল সেতুর পিচঢালাই শুরু হবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সেতু বাস্তবায়নকারী এ সংস্থার। গত বছরের ডিসেম্বরে একে একে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়। তারপর বসানো হয়েছে সড়ক যান চলাচলের জন্য কংক্রিটের সø্যাব। পদ্মা সেতুর পিচের পুরুত্ব হবে ১০০ মিলি মিটার। তারপর পার্শ্ব দেয়ালসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।

প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ যাবত সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ, নদীশাসনের কাজ হয়েছে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে পদ্মা সেতু। ৪২টি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান একে একে বসানো হয়। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয় গত বছরের (২০২০) ১০ ডিসেম্বর। এতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

পদ্মাসেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাই শুরু হবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে পদ্মাসেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাইয়ের কাজ (কার্পেটিং)। পিচঢালাই আরও দুই সপ্তাহ আগে শুরুর পরিকল্পনা ছিল সংশ্লিষ্টদের। এজন্য প্রস্তুতিও নেয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পিছিয়ে যায় এ কার্যক্রম।

গত দুই দিন ধরে টানা রোদ থাকায় পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্টরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পিচঢালাইয়ের কাজ শুরুর আশা করছেন। জাজিরা প্রান্ত থেকে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।

১৯ অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চার মিলিমিটার পুরুত্বের এই স্তরকে প্রকৌশলীরা ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে অভিহিত করছেন। ইংল্যান্ড ও ইতালি থেকে এই স্তর তৈরির জন্য রাসায়নিক আমদানি করা হয়েছে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিচঢালাই শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তা শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। রোদ দেখা দিচ্ছে দুই দিন ধরে। তার আগে দফায় দফায় বৃষ্টির ফলে পিচঢালাই শুরু করা যায়নি।’

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে পানি নিরোধক স্তর বসানো হচ্ছে না। তাই গত বুুধবার ভায়াডাক্টের ৬০ মিটার অংশে পিচঢালাই করা হয়। মূল সেতুর পিচঢালাই শুরু হবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সেতু বাস্তবায়নকারী এ সংস্থার। গত বছরের ডিসেম্বরে একে একে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়। তারপর বসানো হয়েছে সড়ক যান চলাচলের জন্য কংক্রিটের সø্যাব। পদ্মা সেতুর পিচের পুরুত্ব হবে ১০০ মিলি মিটার। তারপর পার্শ্ব দেয়ালসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।

প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ যাবত সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ, নদীশাসনের কাজ হয়েছে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে পদ্মা সেতু। ৪২টি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান একে একে বসানো হয়। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয় গত বছরের (২০২০) ১০ ডিসেম্বর। এতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়।