কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় স্ত্রীর সাথে কলহ এবং ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে দেলবর হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। গতকাল ভোরে নিজ ঘরে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। মৃত দেলবর হোসেন উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি কসাইপাড়া গ্রামের হায়বর আলী কসাইয়ের ছেলে। সে উপজেলার ফরকের হাট বাজারে কসাইয়ের ব্যবসা করতো।
পুলিশ ও প্রতিবেশী শামসুল কসাই জানান, নিহত দেলবর কয়েক বছর আগে প্রতিবেশীদের নিকট থেকে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে। সেই টাকা দিতে না পেরে এক সময় ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। কিছুদিন পর তার বাবা হায়বর আলী কসাই জমি বিক্রি করে কিছু টাকা পরিশোধ করে ছেলেকে ঢাকা থেকে ফিরিয়ে আনেন এবং ব্যবসা করে বকেয়া টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এর মধ্যে দেলবর সন্তানসহ এক মহিলাকে বিয়ে করেন। এছাড়াও তার জুয়া খেলার প্রচ- নেশা ছিল। এ নিয়ে স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কোন্দল লেগে থাকতো। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এবং পারিবারিক কলহের কারণে মানসিক যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে নিজ শয়ন কক্ষে ধরনার সঙ্গে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দেলবর হোসেন। এ সময় তার স্ত্রী ও ১২ বছরের সন্তান পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোররাতে দেলবরের গোঙগানীর শব্দ শুনে স্ত্রী ও সন্তানের চিৎকারে দেলবরের পিতাসহ কয়েকজন এসে তাকে ফাঁস থেকে নামিয়ে নেন। নামানোর কিছুক্ষণের মধ্যে দেলবর মারা যায়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করলেও পরিবারের কারও কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতের বাবা হায়বর আলীর জিম্মায় দেন।
রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার আত্মহত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় স্ত্রীর সাথে কলহ এবং ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে দেলবর হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। গতকাল ভোরে নিজ ঘরে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। মৃত দেলবর হোসেন উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি কসাইপাড়া গ্রামের হায়বর আলী কসাইয়ের ছেলে। সে উপজেলার ফরকের হাট বাজারে কসাইয়ের ব্যবসা করতো।
পুলিশ ও প্রতিবেশী শামসুল কসাই জানান, নিহত দেলবর কয়েক বছর আগে প্রতিবেশীদের নিকট থেকে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে। সেই টাকা দিতে না পেরে এক সময় ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। কিছুদিন পর তার বাবা হায়বর আলী কসাই জমি বিক্রি করে কিছু টাকা পরিশোধ করে ছেলেকে ঢাকা থেকে ফিরিয়ে আনেন এবং ব্যবসা করে বকেয়া টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এর মধ্যে দেলবর সন্তানসহ এক মহিলাকে বিয়ে করেন। এছাড়াও তার জুয়া খেলার প্রচ- নেশা ছিল। এ নিয়ে স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কোন্দল লেগে থাকতো। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এবং পারিবারিক কলহের কারণে মানসিক যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে নিজ শয়ন কক্ষে ধরনার সঙ্গে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দেলবর হোসেন। এ সময় তার স্ত্রী ও ১২ বছরের সন্তান পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোররাতে দেলবরের গোঙগানীর শব্দ শুনে স্ত্রী ও সন্তানের চিৎকারে দেলবরের পিতাসহ কয়েকজন এসে তাকে ফাঁস থেকে নামিয়ে নেন। নামানোর কিছুক্ষণের মধ্যে দেলবর মারা যায়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করলেও পরিবারের কারও কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতের বাবা হায়বর আলীর জিম্মায় দেন।
রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার আত্মহত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।