পতন হলে এ সরকারের একজনকেও মাঠে পাওয়া যাবে না আব্বাস

পুলিশকে উদ্দেশ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আপনারা সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী, আওয়ামী লীগের নয়। আপনাদের ঘরেও সন্তান আছে। ভেবে দেখুন, আপনার সন্তানের গায়ে কেউ হাত তুললে কেমন লাগবে। আমাদের টাকায় গুলি কিনছেন, আমাদের মারছেন। কিন্তু এক সময় আসবে, এই সরকারের পতন ঘটবে। এই সরকারের একজনও মাঠে নামার সাহস পাবে না।’ গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়বাদী যুবদল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অত্যাচার-অনাচার করে’ বেশিদিন ক্ষমতায় টেকা যাবে না ‘যতই পেটান, মারেন, আমাদের কর্মীদের ক্ষমতা আরও বাড়বে। দ্রব্যের দাম বাড়বে, আবার কমবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বাড়লে আর কমে না। কারণ তারা সিন্ডিকেট করে বিদেশে টাকা পাচার করে দিচ্ছে।’খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যেতে দেয়া হবে না। কারণ তার অপরাধ তিনি এদেশে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন, এ দেশের গণমানুষের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এই বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় তিন-তিনবার পূজা আর রোজা এক সঙ্গে হয়েছে। সে সময় খালেদা জিয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছিলেন। এই সরকার উসকানি দিয়ে সাম্প্রতিক দাঙ্গা লাগিয়ে পরে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন তারা অসাম্প্রদায়িক। এসব করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে।’ যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা এসে প্রমাণ করেছেন অত্যাচার-অনাচার করে গণতন্ত্রকে আটকে রাখতে পারবে না, মানুষের অধিকারকে হরণ করতে পারবে না।

তাই আসুন আমরা আরও শক্তিশালীভাবে প্রস্তুতি নেই। এই সরকারকে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে সরাতেই হবে।’ মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম মিলনসহ দল ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

পতন হলে এ সরকারের একজনকেও মাঠে পাওয়া যাবে না আব্বাস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পুলিশকে উদ্দেশ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আপনারা সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী, আওয়ামী লীগের নয়। আপনাদের ঘরেও সন্তান আছে। ভেবে দেখুন, আপনার সন্তানের গায়ে কেউ হাত তুললে কেমন লাগবে। আমাদের টাকায় গুলি কিনছেন, আমাদের মারছেন। কিন্তু এক সময় আসবে, এই সরকারের পতন ঘটবে। এই সরকারের একজনও মাঠে নামার সাহস পাবে না।’ গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়বাদী যুবদল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অত্যাচার-অনাচার করে’ বেশিদিন ক্ষমতায় টেকা যাবে না ‘যতই পেটান, মারেন, আমাদের কর্মীদের ক্ষমতা আরও বাড়বে। দ্রব্যের দাম বাড়বে, আবার কমবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বাড়লে আর কমে না। কারণ তারা সিন্ডিকেট করে বিদেশে টাকা পাচার করে দিচ্ছে।’খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যেতে দেয়া হবে না। কারণ তার অপরাধ তিনি এদেশে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন, এ দেশের গণমানুষের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এই বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় তিন-তিনবার পূজা আর রোজা এক সঙ্গে হয়েছে। সে সময় খালেদা জিয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছিলেন। এই সরকার উসকানি দিয়ে সাম্প্রতিক দাঙ্গা লাগিয়ে পরে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন তারা অসাম্প্রদায়িক। এসব করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে।’ যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা এসে প্রমাণ করেছেন অত্যাচার-অনাচার করে গণতন্ত্রকে আটকে রাখতে পারবে না, মানুষের অধিকারকে হরণ করতে পারবে না।

তাই আসুন আমরা আরও শক্তিশালীভাবে প্রস্তুতি নেই। এই সরকারকে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে সরাতেই হবে।’ মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম মিলনসহ দল ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।