বিএনপি শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচন বিমুখ সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ পরমত সহিষ্ণু বলেই বিএনপি এখনও রাজনীতি করতে পারছে। গতকাল সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি সরকারের সমালোচনা করতে পারছে এবং বক্তৃতা, বিবৃতি, মানববন্ধন, আলোচনা, টকশো’সহ নানা উপায়ে সমালোচনা করছে। এ জন্য সরকার তো তাদের কোনও শাস্তি দিচ্ছে না।’

‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গত একযুগ ধরে এমন কথা বলে আসছে। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপির পায়ের নিচেই মাটি নেই, তাদের পায়ের নিচে মাটি থাকলে তো তারা রাজপথে নামতো, নির্বাচনেও আসতো।

মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সহনশীল বলেই পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা, একুশে আগস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যার চেষ্টা করার পরেও আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ পারায়ণ হয়নি। নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য বিএনপিরই পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই তারা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচন বিমুখ।

১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে চেয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল। এমনকি বিএনপি সংবিধান থেকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটনও করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের রক্ষাকারী। জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন হ্যাঁ-না ভোট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।

গণতন্ত্র বিকাশের পথে বহু বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সঠিক পথে এনেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরদিকে বিএনপি তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

সেতু মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া সময়ের ব্যাপার কিন্তু বিএনপি যদি বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতো তাহলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে খুব দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো না।

তিনি বলেন, সরকার ও বিরোধীদল উভয় মিলেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে, কিন্তু সেখানে বিরোধীদল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বার বার বাধা সৃষ্টি করে চলছে।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ১৫ কার্তিক ১৪২৮ ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বিএনপি শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচন বিমুখ সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ পরমত সহিষ্ণু বলেই বিএনপি এখনও রাজনীতি করতে পারছে। গতকাল সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি সরকারের সমালোচনা করতে পারছে এবং বক্তৃতা, বিবৃতি, মানববন্ধন, আলোচনা, টকশো’সহ নানা উপায়ে সমালোচনা করছে। এ জন্য সরকার তো তাদের কোনও শাস্তি দিচ্ছে না।’

‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গত একযুগ ধরে এমন কথা বলে আসছে। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপির পায়ের নিচেই মাটি নেই, তাদের পায়ের নিচে মাটি থাকলে তো তারা রাজপথে নামতো, নির্বাচনেও আসতো।

মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সহনশীল বলেই পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা, একুশে আগস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যার চেষ্টা করার পরেও আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ পারায়ণ হয়নি। নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য বিএনপিরই পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই তারা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচন বিমুখ।

১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে চেয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল। এমনকি বিএনপি সংবিধান থেকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটনও করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের রক্ষাকারী। জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন হ্যাঁ-না ভোট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।

গণতন্ত্র বিকাশের পথে বহু বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সঠিক পথে এনেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরদিকে বিএনপি তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

সেতু মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া সময়ের ব্যাপার কিন্তু বিএনপি যদি বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতো তাহলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে খুব দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো না।

তিনি বলেন, সরকার ও বিরোধীদল উভয় মিলেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে, কিন্তু সেখানে বিরোধীদল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বার বার বাধা সৃষ্টি করে চলছে।