কেশবপুরে ন্যায্যমূল্যের দোকানে উপচে পড়া ভিড়

যশোরের কেশবপুরে সরকার পরিচালিত ওএমএস দোকানে সাধারণ মানুষ পাঁচ কেজি চলের আশায় দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। এরমধ্যে দুস্থ ও অসহায় মানুষের সংখ্যাই বেশী। এ সুবিধা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে চলমান রাখার দাবি গ্রামাঞ্চলের মানুষের।

জানা গেছে, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে গত ৭ আগস্ট থেকে কেশবপুরে সরকার পরিচালিত ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কার্যক্রম শুরু হয়। সরকার প্রতিকেজী চালের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করে। এরজন্যে কেশবপুর পৌর শহরে ৪ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। এরমধ্যে শহরের ধানহাটায় অহেদুজ্জামান, গমপট্টিতে স্বপন মুখার্জি, কেশবপুর সরকারি কলেজের পাশে বিষ্ণুপদ দাস ও কালাবায়সা মোড় এলাকায় জগায় ভদ্র ওএমএস দোকান খুলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রি করছেন। প্রতিজন ডিলার প্রতিদিন দেড় মেট্রিক টন চাল বিক্রি করতে পারবেন। ডিলাররা শুক্রবার বাদে সপ্তাহের ৬ দিন খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে মাথাপ্রতি ৫ কেজী হারে বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন।

রোববার সকালে গম পট্টির ওএমএস ডিলার স্বপন মুখার্জি ও বিষ্ণুপদ দাসের দোকানে গিয়ে মজিদপুর গ্রামের আলেয়া খাতুন, সাবদিয়ার কুলছুম বেগমের সাথে কথা হলে তারা জানান, পরিবার প্রধানরা সংসারের প্রয়োজনে কামলা দিতে গেছে। ৫ কেজী চাল দুই দিনেই শেষ হয়ে যায়। নগদ টাকার অভাবে বেশী চাল কিনতে পারি না। কাজ বন্ধ করেই চাল তুলতে হয়। এ চাল পেয়ে তারা বেজায় খুশি।

ডিলার স্বপন মুখার্জি ও বিষ্ণুপদ দাস বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চালে মধ্যবিত্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দুস্থ ও অসহায় পরিবারের লোকজন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ৫ কেজী চালের জন্যে অপেক্ষা করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন, প্রতিটি ওএমএস দোকানে দীর্ঘ লাইন দিয়ে মানুষ চাল কিনছেন। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের তদারকিতে ডিলাররা চাল বিক্রি করেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রম সারা বছর অব্যাহত থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে কালোবাজারিরা সুবিধা করতে পারবে না।

সোমবার, ০১ নভেম্বর ২০২১ , ১৬ কার্তিক ১৪২৮ ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কেশবপুরে ন্যায্যমূল্যের দোকানে উপচে পড়া ভিড়

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

image

কেশবপুর (যশোর) : ডিলারের দোকানের সামনে দীর্ঘ অপেক্ষায় মানুষ -সংবাদ

যশোরের কেশবপুরে সরকার পরিচালিত ওএমএস দোকানে সাধারণ মানুষ পাঁচ কেজি চলের আশায় দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। এরমধ্যে দুস্থ ও অসহায় মানুষের সংখ্যাই বেশী। এ সুবিধা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে চলমান রাখার দাবি গ্রামাঞ্চলের মানুষের।

জানা গেছে, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে গত ৭ আগস্ট থেকে কেশবপুরে সরকার পরিচালিত ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কার্যক্রম শুরু হয়। সরকার প্রতিকেজী চালের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করে। এরজন্যে কেশবপুর পৌর শহরে ৪ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। এরমধ্যে শহরের ধানহাটায় অহেদুজ্জামান, গমপট্টিতে স্বপন মুখার্জি, কেশবপুর সরকারি কলেজের পাশে বিষ্ণুপদ দাস ও কালাবায়সা মোড় এলাকায় জগায় ভদ্র ওএমএস দোকান খুলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রি করছেন। প্রতিজন ডিলার প্রতিদিন দেড় মেট্রিক টন চাল বিক্রি করতে পারবেন। ডিলাররা শুক্রবার বাদে সপ্তাহের ৬ দিন খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে মাথাপ্রতি ৫ কেজী হারে বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন।

রোববার সকালে গম পট্টির ওএমএস ডিলার স্বপন মুখার্জি ও বিষ্ণুপদ দাসের দোকানে গিয়ে মজিদপুর গ্রামের আলেয়া খাতুন, সাবদিয়ার কুলছুম বেগমের সাথে কথা হলে তারা জানান, পরিবার প্রধানরা সংসারের প্রয়োজনে কামলা দিতে গেছে। ৫ কেজী চাল দুই দিনেই শেষ হয়ে যায়। নগদ টাকার অভাবে বেশী চাল কিনতে পারি না। কাজ বন্ধ করেই চাল তুলতে হয়। এ চাল পেয়ে তারা বেজায় খুশি।

ডিলার স্বপন মুখার্জি ও বিষ্ণুপদ দাস বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চালে মধ্যবিত্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দুস্থ ও অসহায় পরিবারের লোকজন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ৫ কেজী চালের জন্যে অপেক্ষা করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন, প্রতিটি ওএমএস দোকানে দীর্ঘ লাইন দিয়ে মানুষ চাল কিনছেন। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের তদারকিতে ডিলাররা চাল বিক্রি করেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রম সারা বছর অব্যাহত থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে কালোবাজারিরা সুবিধা করতে পারবে না।