রাজধানীতে নারীকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রুবিনা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে বড় বেরাইদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা হাসিদুলও আহত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের স্বামীর নাম শরিফ হোসেন। ওই দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় ফারুক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।

আহত হাসিদুল জানান, তার দাদা হাজী আলী আকবর দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম সংসারের সন্তান তার বাবা ও চাচি রুবিনা বেগমের স্বামী শরিফ হোসেন। দাদার দ্বিতীয় সংসারের সন্তান হচ্ছেন শহিবুর। ঘটনাটি ঘটিয়েছে শহিবুর। দাদার দ্বিতীয় সংসারের লোকজন বেশি। দাদা বেঁচে থাকা অবস্থায় জায়গায়-জমির ভাগ করে দিয়ে যাননি। ফলে তারা সম্পত্তি জোরপূর্বক বেশি দখল করে রেখেছে। দুই সংসারে মোট ১৯ জন। প্রথম সংসারে সদস্য সংখ্যা সাতজন। বাকি সবই দ্বিতীয় সংসারের। এ সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এসব নিয়েই চাচি রুবিনাকে হত্যা করা হয়।

নিহতের স্বজনরা বলছেন, নিহতের ভাতিজা শহিবুরের ছেলে ফয়সাল, বাদশাহ, জায়রুলসহ কয়েকজন মিলে রুবিনার বেরাাইদের বাসায় হামলা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা রুবিনার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে রুবিনাকে উদ্ধারে ভাতিজা হাসিবুল ছুটে গেলেও তাকেও মারধর করা হয়। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত চার বছর ধরে এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় হামলাকারীরা রুবিনাকে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল।

বাড্ডা থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহত রুবিনার বসতবাড়ির জমি নিয়ে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে বিরোধ ছিল। বিরোধপূর্ণ জমির নারিকেল গাছ থেকে একটি নারকেল নিচে পড়ে। সেই নারকেল নিয়ে বিরোধের জের ধরে রুবিনাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফারুক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে

সোমবার, ০১ নভেম্বর ২০২১ , ১৬ কার্তিক ১৪২৮ ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

রাজধানীতে নারীকে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রুবিনা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে বড় বেরাইদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা হাসিদুলও আহত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের স্বামীর নাম শরিফ হোসেন। ওই দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় ফারুক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।

আহত হাসিদুল জানান, তার দাদা হাজী আলী আকবর দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম সংসারের সন্তান তার বাবা ও চাচি রুবিনা বেগমের স্বামী শরিফ হোসেন। দাদার দ্বিতীয় সংসারের সন্তান হচ্ছেন শহিবুর। ঘটনাটি ঘটিয়েছে শহিবুর। দাদার দ্বিতীয় সংসারের লোকজন বেশি। দাদা বেঁচে থাকা অবস্থায় জায়গায়-জমির ভাগ করে দিয়ে যাননি। ফলে তারা সম্পত্তি জোরপূর্বক বেশি দখল করে রেখেছে। দুই সংসারে মোট ১৯ জন। প্রথম সংসারে সদস্য সংখ্যা সাতজন। বাকি সবই দ্বিতীয় সংসারের। এ সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এসব নিয়েই চাচি রুবিনাকে হত্যা করা হয়।

নিহতের স্বজনরা বলছেন, নিহতের ভাতিজা শহিবুরের ছেলে ফয়সাল, বাদশাহ, জায়রুলসহ কয়েকজন মিলে রুবিনার বেরাাইদের বাসায় হামলা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা রুবিনার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে রুবিনাকে উদ্ধারে ভাতিজা হাসিবুল ছুটে গেলেও তাকেও মারধর করা হয়। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত চার বছর ধরে এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় হামলাকারীরা রুবিনাকে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল।

বাড্ডা থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহত রুবিনার বসতবাড়ির জমি নিয়ে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে বিরোধ ছিল। বিরোধপূর্ণ জমির নারিকেল গাছ থেকে একটি নারকেল নিচে পড়ে। সেই নারকেল নিয়ে বিরোধের জের ধরে রুবিনাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফারুক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে