বিপুল টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
নীলফামারীর জলঢাকায় চলছে চোরাইপথে আসা অবৈধ ভারতীয় গরু ও মহিষের জমজমাট ব্যবসা। এতে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় খামারিরা। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উপজেলার মীরগঞ্জহাটে এসব ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতনমহল। এছাড়াও এ সকল ভারতীয় গরু ও মহিষ রুগ্ন এবং অসুস্থ হওয়ায় পরীক্ষা ছাড়াই অবাধে হাটে বিক্রি হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। দেশি ও ভারতীয় অসুস্থ গরু একই সাথে বিক্রি হওয়ায় দেশি গরুগুলো সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। সরেজমিনে উপজেলার বৃহৎ পশুর হাট মীরগঞ্জহাটে গত মঙ্গল ও শনিবার গিয়ে দেখা গেছে, ভারতীয় হরিয়ানা প্রজাতীসহ নানান জাতের শতাধিক গরু এবং মহিষ হাটে কেনাবেচা হচ্ছে। এ সময় ওই সকল ভারতীয় পশুর গায়ে একটি বিশেষ সংখ্যা ব্যবহার করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু ব্যবসায়ীরা এসে এ সকল ভারতীয় পশু ক্রয় করে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন। হাটে ভারতীয় গরুর দামে কম হওয়ায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় দেশি গরু ও খামারিরা তাদের পশুর ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় পশু বাংলাদেশে আমদানি করতে হলে নির্দিষ্ট করিডোরে কাস্টমস এর ভ্যাট পরিশোধের রশিদ, ট্যাক্স প্রদানের রশিদ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও মীরগঞ্জহাটে আগত ভারতীয় পশুগুলোর মালিকগণ তা দেখাতে পারেন না। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শুধু সীমান্ত এলাকার হাটের রশিদ দিয়েই স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করে ওই হাটে বিক্রি হচ্ছে এসব পশু। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার। এ বিষয়ে মীরগঞ্জহাট ইজারাদার মনছুর আলী বলেন, ‘এসব ভারতীয় গরু, মহিষ ডিমলার একটি হাটের রশিদ নিয়ে ব্যবসায়ীরা আমাদের হাটে আসে, সেই রশিদ দেখেই আমাদের হাটে ওই পশুগুলো বিক্রি হচ্ছে।
করিডোরে কাস্টমস এর ভ্যাট পরিশোধের রশিদ, ট্যাক্স প্রদানের রশিদ থাকার নিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন,হাটে এরকম পশু খুব কমই আসে।’ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ওয়াজেদ আলী বলেন,ভারতীয় গরু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, কিভাবে আমাদের জলঢাকায় আসছে আমরা তা জানিনা, ভারতীয় গরু ও মহিষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই বিক্রি করাও ঠিক না।
থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবীর বলেন, ‘ভারতীয় গরু মীরগঞ্জ হাটে বিক্রি হচ্ছে তা আপনার মাধ্যমে শুনলাম, সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জলঢাকা (নীলফামারী) : মীরগঞ্জহাটে অবাধে বিক্রি হচ্ছে রুগ্ন এবং অসুস্থ ভারতীয় গরু-মহিষ -সংবাদ
আরও খবরসোমবার, ০১ নভেম্বর ২০২১ , ১৬ কার্তিক ১৪২৮ ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
বিপুল টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
প্রতিনিধি, জলঢাকা (নীলফামারী)
জলঢাকা (নীলফামারী) : মীরগঞ্জহাটে অবাধে বিক্রি হচ্ছে রুগ্ন এবং অসুস্থ ভারতীয় গরু-মহিষ -সংবাদ
নীলফামারীর জলঢাকায় চলছে চোরাইপথে আসা অবৈধ ভারতীয় গরু ও মহিষের জমজমাট ব্যবসা। এতে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় খামারিরা। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উপজেলার মীরগঞ্জহাটে এসব ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতনমহল। এছাড়াও এ সকল ভারতীয় গরু ও মহিষ রুগ্ন এবং অসুস্থ হওয়ায় পরীক্ষা ছাড়াই অবাধে হাটে বিক্রি হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। দেশি ও ভারতীয় অসুস্থ গরু একই সাথে বিক্রি হওয়ায় দেশি গরুগুলো সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। সরেজমিনে উপজেলার বৃহৎ পশুর হাট মীরগঞ্জহাটে গত মঙ্গল ও শনিবার গিয়ে দেখা গেছে, ভারতীয় হরিয়ানা প্রজাতীসহ নানান জাতের শতাধিক গরু এবং মহিষ হাটে কেনাবেচা হচ্ছে। এ সময় ওই সকল ভারতীয় পশুর গায়ে একটি বিশেষ সংখ্যা ব্যবহার করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু ব্যবসায়ীরা এসে এ সকল ভারতীয় পশু ক্রয় করে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন। হাটে ভারতীয় গরুর দামে কম হওয়ায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় দেশি গরু ও খামারিরা তাদের পশুর ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় পশু বাংলাদেশে আমদানি করতে হলে নির্দিষ্ট করিডোরে কাস্টমস এর ভ্যাট পরিশোধের রশিদ, ট্যাক্স প্রদানের রশিদ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও মীরগঞ্জহাটে আগত ভারতীয় পশুগুলোর মালিকগণ তা দেখাতে পারেন না। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শুধু সীমান্ত এলাকার হাটের রশিদ দিয়েই স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করে ওই হাটে বিক্রি হচ্ছে এসব পশু। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার। এ বিষয়ে মীরগঞ্জহাট ইজারাদার মনছুর আলী বলেন, ‘এসব ভারতীয় গরু, মহিষ ডিমলার একটি হাটের রশিদ নিয়ে ব্যবসায়ীরা আমাদের হাটে আসে, সেই রশিদ দেখেই আমাদের হাটে ওই পশুগুলো বিক্রি হচ্ছে।
করিডোরে কাস্টমস এর ভ্যাট পরিশোধের রশিদ, ট্যাক্স প্রদানের রশিদ থাকার নিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন,হাটে এরকম পশু খুব কমই আসে।’ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ওয়াজেদ আলী বলেন,ভারতীয় গরু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, কিভাবে আমাদের জলঢাকায় আসছে আমরা তা জানিনা, ভারতীয় গরু ও মহিষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই বিক্রি করাও ঠিক না।
থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবীর বলেন, ‘ভারতীয় গরু মীরগঞ্জ হাটে বিক্রি হচ্ছে তা আপনার মাধ্যমে শুনলাম, সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’