অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি

দুইটি মহিষ ছিনতাই করতে পরিকল্পিতভাবে মালিককে চলন্ত ট্রাক থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইবাদ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই অনুসন্ধানী তদন্ত টিম দীর্ঘ দুই বছর পর গত বৃহস্পতিবার পাবনা জেলার কাশিনাথ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সে ট্রাকের ড্রাইভার। এ ঘটনায় আগে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো, রমজান, মিজান, শুকুর, আকছেদ। তারা ঘটনার সঙ্গে নিজেদেরকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

পিবিআইয়ের পাবনা জেলা পুলিশ সুপার ফজলে এলাহী জানান, ২০১৯ সালে ৭ অক্টোবর সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঈশ্বরদী থানাধীন পাবনা মহাসড়কে কাছে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় গামছা পেছানো ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। এ নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পরবর্তী সময়ে তার ভাই আবু সাঈদ প্রমাণিক ঈশ্বরদী থানায় উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির পরনের কাপড় ও ছবি দেখে নিশ্চিত হন সে তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন। ২০১৯ সালে ৬ অক্টোবর তার পিতা জানমোহাম্মদ এবং দুই ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন ও সেলিম রাজশাহী সিটি হাট থেকে দুইটি মহিষ কিনে ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। এরপর হাত-পা বাঁধা ও আহত অবস্থায় তার সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে মহাসড়কের কাছ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত অবস্থায় তারা দুইজন জানায়, ট্রাকে থাকা ডাকাতরা তাদের হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ট্রাক থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে মহিষসহ জাহাঙ্গীরকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।

আলোচিত এ মামলাটি প্রথমে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তী সময়ে পিবিআই স্বউদ্যোগে মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করে। এরপর আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদেরকে শনাক্ত করে। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তারা দুইটি মহিষ ছিনতাই করতে মহিষের মালিক জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। আর ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রাকটি শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি ইবাদ শেখও গত ২৯ অক্টোবর ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। গত শনিবার পিবিআই থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার, ০১ নভেম্বর ২০২১ , ১৬ কার্তিক ১৪২৮ ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

মহিষ ছিনতাই করতে মালিককে হত্যা

অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দুইটি মহিষ ছিনতাই করতে পরিকল্পিতভাবে মালিককে চলন্ত ট্রাক থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইবাদ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই অনুসন্ধানী তদন্ত টিম দীর্ঘ দুই বছর পর গত বৃহস্পতিবার পাবনা জেলার কাশিনাথ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সে ট্রাকের ড্রাইভার। এ ঘটনায় আগে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো, রমজান, মিজান, শুকুর, আকছেদ। তারা ঘটনার সঙ্গে নিজেদেরকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

পিবিআইয়ের পাবনা জেলা পুলিশ সুপার ফজলে এলাহী জানান, ২০১৯ সালে ৭ অক্টোবর সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঈশ্বরদী থানাধীন পাবনা মহাসড়কে কাছে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় গামছা পেছানো ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। এ নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পরবর্তী সময়ে তার ভাই আবু সাঈদ প্রমাণিক ঈশ্বরদী থানায় উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির পরনের কাপড় ও ছবি দেখে নিশ্চিত হন সে তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন। ২০১৯ সালে ৬ অক্টোবর তার পিতা জানমোহাম্মদ এবং দুই ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন ও সেলিম রাজশাহী সিটি হাট থেকে দুইটি মহিষ কিনে ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। এরপর হাত-পা বাঁধা ও আহত অবস্থায় তার সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে মহাসড়কের কাছ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত অবস্থায় তারা দুইজন জানায়, ট্রাকে থাকা ডাকাতরা তাদের হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ট্রাক থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে মহিষসহ জাহাঙ্গীরকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।

আলোচিত এ মামলাটি প্রথমে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তী সময়ে পিবিআই স্বউদ্যোগে মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করে। এরপর আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদেরকে শনাক্ত করে। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তারা দুইটি মহিষ ছিনতাই করতে মহিষের মালিক জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। আর ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রাকটি শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি ইবাদ শেখও গত ২৯ অক্টোবর ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। গত শনিবার পিবিআই থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।