পরীমনিকে রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির কয়েক দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় নিম্ন আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে আবারও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তারা হলেন, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। আদালত এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করা হয়। আদালতে দুই বিচারকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরীমনির পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মুজিবুর রহমান।

এর আগে, গত ২৪ অক্টোবরের মধ্যে রিমান্ড বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছিল। তখন দুই বিচারকের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের ওই দুই বিচারকের দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, লিখিত ব্যাখ্যায় তারা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত। ওই দিন চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

গত ২৯ আগস্ট পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে স্বপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রে (আসক)। ওই দিন আদালত বলেছেন, রুল রিটার্ন হয়ে আসুক, এরপর দেখব। গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান চিত্রনায়িকা পরীমনি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমনি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।

সোমবার, ০১ নভেম্বর ২০২১ , ১৬ কার্তিক ১৪২৮ ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

পরীমনিকে রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন

আদালত বার্তা পরিবেশক

image

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির কয়েক দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় নিম্ন আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে আবারও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তারা হলেন, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। আদালত এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করা হয়। আদালতে দুই বিচারকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরীমনির পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মুজিবুর রহমান।

এর আগে, গত ২৪ অক্টোবরের মধ্যে রিমান্ড বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছিল। তখন দুই বিচারকের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের ওই দুই বিচারকের দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, লিখিত ব্যাখ্যায় তারা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত। ওই দিন চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

গত ২৯ আগস্ট পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে স্বপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রে (আসক)। ওই দিন আদালত বলেছেন, রুল রিটার্ন হয়ে আসুক, এরপর দেখব। গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান চিত্রনায়িকা পরীমনি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমনি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।