২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চাপ বেড়েছে শিশু রোগীর। ওই শিশুদের করোনা লক্ষণ পেলে করোনা টেস্টও করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
গতকাল সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যাই অনেক বেশি। আর এসব শিশু রোগীদের অধিকাংশই নিম্নœবিত্ত ও অসহায় পরিবারের। আর অসতর্কতার জন্যই এ সময়ে এসব শিশুরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকদের।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, গেল ১৭ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় দু’সপ্তাহে ৪শ’ এর অধিক শিশুকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। এর বেশিরভাগ শিশুই বুকে শ্বাস নালির সমস্যা ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও জ্বর, স্বর্দি-কাশি, পেট খারাপসহ আরও নানা রোগ তো শিশুদের রয়েছেই। চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর থেকে এনে ভর্তি করা হয়েছে মিম নামের এক শিশুকে। গেলো চার দিন ধরে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তার দাদি কুলসুমা আক্তার বলেন, মিমের কাশি আর অনেক বেশি শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তবে এখন একটু কম। নবুলাইজার দিতে হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আরিয়ান নামের আড়াই মাসের একটি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাবা চাঁদপুর শহরের মিজানুর রহমান বলেন, ছোট্ট বাচ্চা, কিছু তো বলতেও পারে না। তবে ওর যে অনেক কষ্ট হয়, সেটা বুঝি। তিন দিন ধরে হাসপাতালে। এখানে এত রোগীর চাপ। ঠিকমতো হাঁটাচলার জায়গা নেই। চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ শাহানারা বেগম দৈনিক সংবাদকে বলেন, গেল দু’সপ্তাহ যাবত প্রতিদিনই গড়ে ৩০-৪০টি করে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকছে। এছাড়া বহির্বিভাগে দৈনিক অগণিত শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্যই শিশু রোগীদের চাপ বেড়েছে। তবে শিশু রোগী বাড়ায় দেখা ?দিয়েছে শয্যা শঙ্কট। তাই অনেক শিশুকেই হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, হঠাৎ শিশু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে আমাদের চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা একটু বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, মাঝে মাঝে বৃষ্টি, হঠাৎ গরমের কারণে বাচ্চারা দ্রুত ঘেমে যায়। ওই ঘাম থেকে সংক্রমণটা কিছুটা বেশি হচ্ছে বলে ধারণা করছি। এ অবস্থায় শিশুদের প্রতি বাড়তি যতœ ও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে অভিভাবকদের।
তিনি শিশুদের করোনা প্রসঙ্গে বলেন, সাধারণত লক্ষণ ছাড়া শিশুদের করোনা টেস্ট করানো হয় না। যদি শিশুদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই আমরা শিশুদের করোনা টেস্টসহ যাবতীয় চিকিৎসা দিয়ে থাকি।
চাঁদপুর : সদর হাসপাতালের শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুরা -সংবাদ
আরও খবরমঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১ , ১৭ কার্তিক ১৪২৮ ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, চাঁদপুর
চাঁদপুর : সদর হাসপাতালের শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুরা -সংবাদ
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চাপ বেড়েছে শিশু রোগীর। ওই শিশুদের করোনা লক্ষণ পেলে করোনা টেস্টও করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
গতকাল সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যাই অনেক বেশি। আর এসব শিশু রোগীদের অধিকাংশই নিম্নœবিত্ত ও অসহায় পরিবারের। আর অসতর্কতার জন্যই এ সময়ে এসব শিশুরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকদের।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, গেল ১৭ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় দু’সপ্তাহে ৪শ’ এর অধিক শিশুকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। এর বেশিরভাগ শিশুই বুকে শ্বাস নালির সমস্যা ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও জ্বর, স্বর্দি-কাশি, পেট খারাপসহ আরও নানা রোগ তো শিশুদের রয়েছেই। চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর থেকে এনে ভর্তি করা হয়েছে মিম নামের এক শিশুকে। গেলো চার দিন ধরে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তার দাদি কুলসুমা আক্তার বলেন, মিমের কাশি আর অনেক বেশি শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তবে এখন একটু কম। নবুলাইজার দিতে হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আরিয়ান নামের আড়াই মাসের একটি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাবা চাঁদপুর শহরের মিজানুর রহমান বলেন, ছোট্ট বাচ্চা, কিছু তো বলতেও পারে না। তবে ওর যে অনেক কষ্ট হয়, সেটা বুঝি। তিন দিন ধরে হাসপাতালে। এখানে এত রোগীর চাপ। ঠিকমতো হাঁটাচলার জায়গা নেই। চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ শাহানারা বেগম দৈনিক সংবাদকে বলেন, গেল দু’সপ্তাহ যাবত প্রতিদিনই গড়ে ৩০-৪০টি করে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকছে। এছাড়া বহির্বিভাগে দৈনিক অগণিত শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্যই শিশু রোগীদের চাপ বেড়েছে। তবে শিশু রোগী বাড়ায় দেখা ?দিয়েছে শয্যা শঙ্কট। তাই অনেক শিশুকেই হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, হঠাৎ শিশু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে আমাদের চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা একটু বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, মাঝে মাঝে বৃষ্টি, হঠাৎ গরমের কারণে বাচ্চারা দ্রুত ঘেমে যায়। ওই ঘাম থেকে সংক্রমণটা কিছুটা বেশি হচ্ছে বলে ধারণা করছি। এ অবস্থায় শিশুদের প্রতি বাড়তি যতœ ও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে অভিভাবকদের।
তিনি শিশুদের করোনা প্রসঙ্গে বলেন, সাধারণত লক্ষণ ছাড়া শিশুদের করোনা টেস্ট করানো হয় না। যদি শিশুদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই আমরা শিশুদের করোনা টেস্টসহ যাবতীয় চিকিৎসা দিয়ে থাকি।