দক্ষিণাঞ্চলে দু’মাসে অপমৃত্যু ২৭২

দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ২৭২টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৯২ জন গলায় ফাঁস দিয়ে ও ৩৯ জন বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এসময়ে পানিতে ডুবে ৬৫টি শিশুর অপমৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। গত রোববার বরিশাল পুলিশ লাইসেন্সের ড্রিলশেডে হলে ‘সাংবাদিকদের সাথে আমরা’ নামে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান হয়।

অনুষ্ঠানে বরিশাল রেঞ্জের পুলিশি কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে উদ্ভাবিত ড্যাশ বোর্ড সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান এই কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বরিশাল রেঞ্জ কার্যালয়ে একটি আইটি প্যানেল গঠন করে ডিজিটাল অটোমোটেড রিপোর্টিং ও মনিটরিং ব্যাবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪৬টি থানার প্রতিটি অপরাধের ঘটনা নিবিড়ভারে পর্যবেক্ষণসহ অনুসরণ এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে বরিশাল রেঞ্জ কার্যালয়ে ৭টি ড্যাসবোর্ড কার্যক্রম ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। মাদক, খুন, অপমৃত্যু, নারী ও শিশু নির্যাতন ছাড়া যেকোন মামলা গ্রহণ, তদন্ত, ওয়ারেন্ট তামিলসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান নিজেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিং করছেন।

পুলিশ মনিটরিং-এর কার্যক্রম আধুনিকায়নের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে গুরুতর অপরাধ প্রবনতার দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে বলেও ডিআইজি জানান। তবে গত আগস্ট ও সেপ্টম্বর মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ২৭২টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যারমধ্যে পুরুষ ১৬৩ ও নারী ১০৯ জন। এরসময় গলায় ফাঁস দিয়ে ও বিষপানে ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এসব ঘটনাও নিবিড়ভাবে তদন্ত হচ্ছে। এসময়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন। তবে এর চেয়েও দুর্ভাগ্যজনক খবর ছিল শিশু মৃত্যুর ঘটনায়। এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ৬৫টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।

অনুষ্ঠানে ডিআইজি বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৫৮টি পেপার ক্লিপিংয়ের তদন্তের কথা উল্লেখ করে জানান, এর ২৩৪টি খরবই সম্পূর্ণ সঠিক। যে ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। মাত্র ১৫টি খবর কিছুটা অতিরঞ্জিত ছিল। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, এ অঞ্চলে হলুদ সাংবাদিকতা নেই বললেই চলে।

মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১ , ১৭ কার্তিক ১৪২৮ ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

দক্ষিণাঞ্চলে দু’মাসে অপমৃত্যু ২৭২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ২৭২টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৯২ জন গলায় ফাঁস দিয়ে ও ৩৯ জন বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এসময়ে পানিতে ডুবে ৬৫টি শিশুর অপমৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। গত রোববার বরিশাল পুলিশ লাইসেন্সের ড্রিলশেডে হলে ‘সাংবাদিকদের সাথে আমরা’ নামে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান হয়।

অনুষ্ঠানে বরিশাল রেঞ্জের পুলিশি কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে উদ্ভাবিত ড্যাশ বোর্ড সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান এই কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বরিশাল রেঞ্জ কার্যালয়ে একটি আইটি প্যানেল গঠন করে ডিজিটাল অটোমোটেড রিপোর্টিং ও মনিটরিং ব্যাবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪৬টি থানার প্রতিটি অপরাধের ঘটনা নিবিড়ভারে পর্যবেক্ষণসহ অনুসরণ এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে বরিশাল রেঞ্জ কার্যালয়ে ৭টি ড্যাসবোর্ড কার্যক্রম ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। মাদক, খুন, অপমৃত্যু, নারী ও শিশু নির্যাতন ছাড়া যেকোন মামলা গ্রহণ, তদন্ত, ওয়ারেন্ট তামিলসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান নিজেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিং করছেন।

পুলিশ মনিটরিং-এর কার্যক্রম আধুনিকায়নের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে গুরুতর অপরাধ প্রবনতার দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে বলেও ডিআইজি জানান। তবে গত আগস্ট ও সেপ্টম্বর মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ২৭২টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যারমধ্যে পুরুষ ১৬৩ ও নারী ১০৯ জন। এরসময় গলায় ফাঁস দিয়ে ও বিষপানে ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এসব ঘটনাও নিবিড়ভাবে তদন্ত হচ্ছে। এসময়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন। তবে এর চেয়েও দুর্ভাগ্যজনক খবর ছিল শিশু মৃত্যুর ঘটনায়। এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ৬৫টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।

অনুষ্ঠানে ডিআইজি বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৫৮টি পেপার ক্লিপিংয়ের তদন্তের কথা উল্লেখ করে জানান, এর ২৩৪টি খরবই সম্পূর্ণ সঠিক। যে ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। মাত্র ১৫টি খবর কিছুটা অতিরঞ্জিত ছিল। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, এ অঞ্চলে হলুদ সাংবাদিকতা নেই বললেই চলে।