১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাদান শুরু

দেড় কোটি শিক্ষার্থী টিকা পাবে

ঢাকায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির প্রথম টিকা নিয়েছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহসান হোসেন ও মাহজাবিন তমা। এই স্কুলে গতকাল সকাল হতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থী টিকা পাবে।

টিকা নেয়ার পর শিক্ষার্থী মাহজাবিন তমা জানিয়েছে, ‘প্রথমে একটু ভয় ভয় লাগছিল। তবে এখন আর ভয় লাগছে না। বরং আমি টিকা নিতে পেরে আনন্দিত।’

শিক্ষার্থী তাহসান হোসেন বলে, ‘টিকা নিতে প্রথমে একটু দ্বিধা লাগছিল। পরে দ্বিধা কেটে যায়। আমি অনেক ভাগ্যবান। করোনার ভয়টা আমার মধ্যে আর থাকবে না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমিই প্রথম টিকা নিলাম। আমি সহপাঠী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারাও যাতে এ টিকা নেয়।’

তাহসানের বাবা মোফাজ্জেল হোসেন আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘টিকা কর্মসূচি সফল করতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা দরকার। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করোনার টিকা নিলে তারা নিরাপদ থাকবে।’

‘সব শিশু টিকা নিবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে’ প্রতিপাদ্যে গতকাল শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম। সকালে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগরীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন শুধু মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে টিকা দেয়া হয়। আইডিয়ালসহ আজ থেকে আটটি কেন্দ্রেই শিক্ষার্থীদের টিকা কর্মসূচি চলবে।

প্রতিষ্ঠান হলো- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল। প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারবে। এ হিসেবে দৈনিক ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য মোট তিন কোটি টিকা প্রয়োজন Ñস্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি উদ্বোধন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের টিকার কোন অভাব হবে না। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে যার যার প্রয়োজন সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা সেই অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে প্রয়োজন তিন কোটি টিকা। ইতোমধ্যে দুই কোটি টিকা নিশ্চিত করা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বেশি পরিমাণে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেবে আমাদের।’

স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ‘ফাইজারের অনেক’ টিকা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৯৬ লাখ টিকা পেয়েছি এবং হাতে আছে প্রায় ৮২ লাখ। আমাদের প্রতশ্রুতির আরও ৯২ লাখ আছে।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের টিকাদান কার্যক্রম প্রায় সমাপ্ত হয়ে আসছে। ১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার চাহিদা ছিল অভিভাবকদের। শিক্ষার্থীদেরও আগ্রহ ছিল টিকা নেয়ার। যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজেদের দেশে শিশুদের যে টিকা দিচ্ছে, সেই টিকা তারা বাংলাদেশকে দিয়েছে।’

গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়।

সারাদেশে দৈনিক ১০ লাখ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা

দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন যে ৫-৬ লাখ টিকা দেই, সেটিকে দশ লাখে উন্নীত করার কাজ চলমান আছে। অল্প দিনেই তা শুরু হয়ে যাবে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনেক ভালো’ সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একদিনে ৮০ লাখেরও বেশি টিকা দিয়েছি। আমাদের রেগুলার টিকা কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা যখন ৮০ লাখ টিকা দেই, তখনও তা চলমান থাকে। আমরা প্রতিদিন ৫-৬ লাখ টিকা দিয়ে থাকি। এখানে আরও ৪০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থী যুক্ত হলো। ৪০ হাজার কেন, চার লাখ যুক্ত হলেও আমরা সেটা দিতে পারবো। তার জন্য জনবল, টিকা, ব্যবস্থা সবই আছে। প্রয়োজন হলে আরও বাড়াব।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধক টিকাদান কার্যক্রমে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।

তিনি আরও বলেন, ‘টিকা নেয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। তাই আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’

এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে সব পরীক্ষার্থীকে টিকা দেয়া সম্ভব কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সব পরীক্ষার্থীকে টিকা দিতে পারবো সেই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারছি না। তবে ইংরেজি মাধ্যম ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার প্রমুখ।

মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১ , ১৭ কার্তিক ১৪২৮ ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাদান শুরু

দেড় কোটি শিক্ষার্থী টিকা পাবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের টিকাদান। রাজধানীর একটি স্কুলে কর্মসূচি উদ্বোধনের পর অতিথিরা টিকাদান পরিদর্শন করেন -সংবাদ

ঢাকায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির প্রথম টিকা নিয়েছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহসান হোসেন ও মাহজাবিন তমা। এই স্কুলে গতকাল সকাল হতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থী টিকা পাবে।

টিকা নেয়ার পর শিক্ষার্থী মাহজাবিন তমা জানিয়েছে, ‘প্রথমে একটু ভয় ভয় লাগছিল। তবে এখন আর ভয় লাগছে না। বরং আমি টিকা নিতে পেরে আনন্দিত।’

শিক্ষার্থী তাহসান হোসেন বলে, ‘টিকা নিতে প্রথমে একটু দ্বিধা লাগছিল। পরে দ্বিধা কেটে যায়। আমি অনেক ভাগ্যবান। করোনার ভয়টা আমার মধ্যে আর থাকবে না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমিই প্রথম টিকা নিলাম। আমি সহপাঠী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারাও যাতে এ টিকা নেয়।’

তাহসানের বাবা মোফাজ্জেল হোসেন আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘টিকা কর্মসূচি সফল করতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা দরকার। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করোনার টিকা নিলে তারা নিরাপদ থাকবে।’

‘সব শিশু টিকা নিবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে’ প্রতিপাদ্যে গতকাল শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম। সকালে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগরীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন শুধু মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে টিকা দেয়া হয়। আইডিয়ালসহ আজ থেকে আটটি কেন্দ্রেই শিক্ষার্থীদের টিকা কর্মসূচি চলবে।

প্রতিষ্ঠান হলো- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল। প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারবে। এ হিসেবে দৈনিক ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য মোট তিন কোটি টিকা প্রয়োজন Ñস্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি উদ্বোধন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের টিকার কোন অভাব হবে না। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে যার যার প্রয়োজন সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা সেই অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে প্রয়োজন তিন কোটি টিকা। ইতোমধ্যে দুই কোটি টিকা নিশ্চিত করা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বেশি পরিমাণে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেবে আমাদের।’

স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ‘ফাইজারের অনেক’ টিকা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৯৬ লাখ টিকা পেয়েছি এবং হাতে আছে প্রায় ৮২ লাখ। আমাদের প্রতশ্রুতির আরও ৯২ লাখ আছে।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের টিকাদান কার্যক্রম প্রায় সমাপ্ত হয়ে আসছে। ১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার চাহিদা ছিল অভিভাবকদের। শিক্ষার্থীদেরও আগ্রহ ছিল টিকা নেয়ার। যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজেদের দেশে শিশুদের যে টিকা দিচ্ছে, সেই টিকা তারা বাংলাদেশকে দিয়েছে।’

গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়।

সারাদেশে দৈনিক ১০ লাখ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা

দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন যে ৫-৬ লাখ টিকা দেই, সেটিকে দশ লাখে উন্নীত করার কাজ চলমান আছে। অল্প দিনেই তা শুরু হয়ে যাবে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনেক ভালো’ সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একদিনে ৮০ লাখেরও বেশি টিকা দিয়েছি। আমাদের রেগুলার টিকা কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা যখন ৮০ লাখ টিকা দেই, তখনও তা চলমান থাকে। আমরা প্রতিদিন ৫-৬ লাখ টিকা দিয়ে থাকি। এখানে আরও ৪০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থী যুক্ত হলো। ৪০ হাজার কেন, চার লাখ যুক্ত হলেও আমরা সেটা দিতে পারবো। তার জন্য জনবল, টিকা, ব্যবস্থা সবই আছে। প্রয়োজন হলে আরও বাড়াব।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধক টিকাদান কার্যক্রমে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।

তিনি আরও বলেন, ‘টিকা নেয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। তাই আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’

এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে সব পরীক্ষার্থীকে টিকা দেয়া সম্ভব কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সব পরীক্ষার্থীকে টিকা দিতে পারবো সেই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারছি না। তবে ইংরেজি মাধ্যম ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার প্রমুখ।