রংপুরে পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, থানা ঘেরও বিক্ষোভ

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত

রংপুরের হারাগাছে পুলিশের নির্যাতনে তাজুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুদ্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে। এ সময় দফায় দফায় পুলিশ- বিক্ষুব্ধ জনতা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের ফাঁকা গুলি বর্ষণ, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মারুফ হোসেন এক যুবক মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সন্ধ্যার দিকে হারাগাছ পৌর এলাকার নতুন বাজার পাকার মাথা এলাকা থেকে সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে তাজুল ইসলামকে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে আটক করে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নির্যাতন করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পরে পুলিশ পাহারায় নিহত তাজুল ইসলামের লাশ থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা দায়ী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে। বিক্ষুব্ধ জনতা হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিপেটা করে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। পরে রংপুর থেকে শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কয়েক দফা পুলিশের সঙ্গে জনতার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে জনতার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম মারুফ হোসেন জানান, তাজুল নামে এক যুবক মারা গেছে। কিভাবে মারা গেল আমরা খতিয়ে দেখছি। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ-জনতা মুখোমুখি অবস্থায় ছিল।

মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১ , ১৭ কার্তিক ১৪২৮ ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

রংপুরে পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, থানা ঘেরও বিক্ষোভ

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

রংপুরের হারাগাছে পুলিশের নির্যাতনে তাজুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুদ্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে। এ সময় দফায় দফায় পুলিশ- বিক্ষুব্ধ জনতা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের ফাঁকা গুলি বর্ষণ, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মারুফ হোসেন এক যুবক মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সন্ধ্যার দিকে হারাগাছ পৌর এলাকার নতুন বাজার পাকার মাথা এলাকা থেকে সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে তাজুল ইসলামকে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে আটক করে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নির্যাতন করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পরে পুলিশ পাহারায় নিহত তাজুল ইসলামের লাশ থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা দায়ী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে। বিক্ষুব্ধ জনতা হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিপেটা করে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। পরে রংপুর থেকে শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কয়েক দফা পুলিশের সঙ্গে জনতার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে জনতার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম মারুফ হোসেন জানান, তাজুল নামে এক যুবক মারা গেছে। কিভাবে মারা গেল আমরা খতিয়ে দেখছি। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ-জনতা মুখোমুখি অবস্থায় ছিল।