জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা

জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনের বুথ ফেরত জরিপকে ভুল প্রমাণ করে সহজ জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তবে আগের চেয়ে কিছু আসন কমেছে তাদের।

তারপরও রোববারের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে দলটি। এলডিপির এ জয়ে উদ্বেগ নিরসন হওয়ায় জাপানের স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে।

১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রক্ষণশীল দল এলডিপি মাত্র কয়েক বছর বাদে বাকি সবসময়ই জাপানের ক্ষমতায় ছিল।

এলডিপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারবে না, রোববার প্রাথমিক বুথ ফেরত জরিপে এমন ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। এমনটি হলে পার্লামেন্টের নিম্কনক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে জোট সঙ্গী ক্ষুদ্র অংশীদার কোমেইতো পার্টির ওপর নির্ভর করতে হতো ক্ষমতাসীন দলটিকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত এলডিপি ২৬১ আসনে জয় পায়। আগের ২৭৬টি থেকে এবার আসন সংখ্যা কিছুটা কমলেও তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় আছে। এতে সহজেই পার্লামেন্ট কমিটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ, গুরুত্বপূর্ণ বাজেট প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রস্তাব পাশ করতে পারবে তারা।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী কিশিদা জানান, নির্বাচনের এ জয়কে গুরুত্বপূর্ণ নীতি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যবহার করবেন তিনি, এরমধ্যে মহামারীজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বাজেট পাসের বিষয়টিও থাকবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার ও পার্লামেন্ট চালাতে এর পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে চাই আমি।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নির্বাচনের এ ফলাফলে মাত্র একমাস আগে ক্ষমতায় আসা ও নীতি সাফল্যের বিবেচনায় এখনও তেমন কিছু দেখাতে না পারা কিশিদাকে সাহসী করে তুলতে পারে। আগামী বছর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের ছাপ রাখতে পারবেন তিনি।

স্বপ্লভাষী সাবেক ব্যাংকার কিশিদা আরও দৃঢ় মনোভাবসম্পন্ন চীনের মোকাবেলায় সামরিক ব্যয় বাড়তে চাইছেন।

এলডিপি জয় পেলেও দলটির মহাসচিব আকিরা আমারিসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা নির্বাচনে হেরে গেছেন। এটি দলটির জন্য কিছুটা বিপর্যয় বয়ে এনেছে।

এবার এলডিপির জোট সঙ্গী কোমেইতোর আসন সংখ্যা বেড়েছে। পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষের আসন ২৯টি থেকে বাড়িয়ে ৩২টিতে উন্নিত করতে পেরেছে তারা।

মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১ , ১৭ কার্তিক ১৪২৮ ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা

image

জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনের বুথ ফেরত জরিপকে ভুল প্রমাণ করে সহজ জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তবে আগের চেয়ে কিছু আসন কমেছে তাদের।

তারপরও রোববারের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে দলটি। এলডিপির এ জয়ে উদ্বেগ নিরসন হওয়ায় জাপানের স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে।

১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রক্ষণশীল দল এলডিপি মাত্র কয়েক বছর বাদে বাকি সবসময়ই জাপানের ক্ষমতায় ছিল।

এলডিপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারবে না, রোববার প্রাথমিক বুথ ফেরত জরিপে এমন ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। এমনটি হলে পার্লামেন্টের নিম্কনক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে জোট সঙ্গী ক্ষুদ্র অংশীদার কোমেইতো পার্টির ওপর নির্ভর করতে হতো ক্ষমতাসীন দলটিকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত এলডিপি ২৬১ আসনে জয় পায়। আগের ২৭৬টি থেকে এবার আসন সংখ্যা কিছুটা কমলেও তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় আছে। এতে সহজেই পার্লামেন্ট কমিটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ, গুরুত্বপূর্ণ বাজেট প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রস্তাব পাশ করতে পারবে তারা।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী কিশিদা জানান, নির্বাচনের এ জয়কে গুরুত্বপূর্ণ নীতি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যবহার করবেন তিনি, এরমধ্যে মহামারীজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বাজেট পাসের বিষয়টিও থাকবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার ও পার্লামেন্ট চালাতে এর পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে চাই আমি।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নির্বাচনের এ ফলাফলে মাত্র একমাস আগে ক্ষমতায় আসা ও নীতি সাফল্যের বিবেচনায় এখনও তেমন কিছু দেখাতে না পারা কিশিদাকে সাহসী করে তুলতে পারে। আগামী বছর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের ছাপ রাখতে পারবেন তিনি।

স্বপ্লভাষী সাবেক ব্যাংকার কিশিদা আরও দৃঢ় মনোভাবসম্পন্ন চীনের মোকাবেলায় সামরিক ব্যয় বাড়তে চাইছেন।

এলডিপি জয় পেলেও দলটির মহাসচিব আকিরা আমারিসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা নির্বাচনে হেরে গেছেন। এটি দলটির জন্য কিছুটা বিপর্যয় বয়ে এনেছে।

এবার এলডিপির জোট সঙ্গী কোমেইতোর আসন সংখ্যা বেড়েছে। পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষের আসন ২৯টি থেকে বাড়িয়ে ৩২টিতে উন্নিত করতে পেরেছে তারা।