ইয়েমেনে মসজিদ-মাদ্রাসায় হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু হতাহত

ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৯ জন বেসামরিক হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কতজন নিহত হয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল এক টুইট বার্তায় দেশটির তথ্যমন্ত্রী মুয়াম্মার আল ইরিয়ানি বলেন, হুথিরা দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে একটি মসজিদ এবং একটি মাদরাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

মারিবের গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার শেষের দিকে ওই হামলা চালানো হয়েছে। তবে হুথি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে ওই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। গত কয়েক মাস ধরেই ইয়েমেন সরকার এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, মারিবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকারের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল মারিব। কিন্তু ওই এলাকায় এখন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যেই সেখানে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইয়েমেনে দীর্ঘদিনের সংঘাতে দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। বিশেষ করে হুথিনিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিধিনিষেধের কারণে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ওই অঞ্চলের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানে খাদ্য সংকটে পড়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। ২০১৪ সালে সৌদি সমর্থিত সরকারকে সরিয়ে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে নেয়। এরপর ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ শুরু করে সৌদি জোট। হুথিরা বলছে তারা দেশের দুর্নীতি এবং বিদেশি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১ , ১৭ কার্তিক ১৪২৮ ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ইয়েমেনে মসজিদ-মাদ্রাসায় হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু হতাহত

image

ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৯ জন বেসামরিক হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কতজন নিহত হয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল এক টুইট বার্তায় দেশটির তথ্যমন্ত্রী মুয়াম্মার আল ইরিয়ানি বলেন, হুথিরা দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে একটি মসজিদ এবং একটি মাদরাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

মারিবের গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার শেষের দিকে ওই হামলা চালানো হয়েছে। তবে হুথি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে ওই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। গত কয়েক মাস ধরেই ইয়েমেন সরকার এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, মারিবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকারের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল মারিব। কিন্তু ওই এলাকায় এখন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যেই সেখানে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইয়েমেনে দীর্ঘদিনের সংঘাতে দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। বিশেষ করে হুথিনিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিধিনিষেধের কারণে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ওই অঞ্চলের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানে খাদ্য সংকটে পড়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। ২০১৪ সালে সৌদি সমর্থিত সরকারকে সরিয়ে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে নেয়। এরপর ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ শুরু করে সৌদি জোট। হুথিরা বলছে তারা দেশের দুর্নীতি এবং বিদেশি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।