‘যার কিছু নেই তার সম্পদ লুট করা হচ্ছে’

যার কিছু নেই তার সম্পদ লুট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেলিম বলেন, ‘কারখানায় উৎপাদন বন্ধ বলে শ্রমিকের বেতন বন্ধ ভালো কথা, তাহলে করপোরেশনের ডিরেক্টর সাহেব কেন বেতন পান।’

তিনি আরও বলেন, ‘কলকারখানা বন্ধ করে তাদের শুধু বেকারই করা হয়নি, এতদিন তাদের পরিশ্রমে যে সম্পত্তি করলো, তার বিনিময়ে যে মজুরি তার পাওনা ছিল, সেই মজুরি থেকে তাদের বঞ্চিত করা হলো।’

পাটকলে লোকসান হয় সরকারের এই দাবির বিরুদ্ধে তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য জনগণের সম্পত্তি ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়া। আমরা প্রমাণ করে দেব, পাটকল লাভজনক ছাড়াও সেখান থেকে প্রচুর আয় করে নতুন নতুন কল কারখানা করা সম্ভব।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি বলেন, ‘দেশ ৫০ বছর ধরে উল্টা পথে চলছে। যার কিছু নেই তার সম্পদ লুট করা হচ্ছে। দেশের সব মেহনতি মানুষকে আজকে এক হতে হবে। এক হয়ে আবারও মুক্তিযুদ্ধের মতো লড়াই করতে হবে। একটা-দুইটা কলকারখানা নয়, পুরা দেশের মেহনতি মানুষ রাজত্ব কায়েম করে সেটা গরিব মানুষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসবে।’ শ্রমিক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ অনেকে।

মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১ , ১৭ কার্তিক ১৪২৮ ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

‘যার কিছু নেই তার সম্পদ লুট করা হচ্ছে’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

যার কিছু নেই তার সম্পদ লুট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেলিম বলেন, ‘কারখানায় উৎপাদন বন্ধ বলে শ্রমিকের বেতন বন্ধ ভালো কথা, তাহলে করপোরেশনের ডিরেক্টর সাহেব কেন বেতন পান।’

তিনি আরও বলেন, ‘কলকারখানা বন্ধ করে তাদের শুধু বেকারই করা হয়নি, এতদিন তাদের পরিশ্রমে যে সম্পত্তি করলো, তার বিনিময়ে যে মজুরি তার পাওনা ছিল, সেই মজুরি থেকে তাদের বঞ্চিত করা হলো।’

পাটকলে লোকসান হয় সরকারের এই দাবির বিরুদ্ধে তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য জনগণের সম্পত্তি ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়া। আমরা প্রমাণ করে দেব, পাটকল লাভজনক ছাড়াও সেখান থেকে প্রচুর আয় করে নতুন নতুন কল কারখানা করা সম্ভব।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি বলেন, ‘দেশ ৫০ বছর ধরে উল্টা পথে চলছে। যার কিছু নেই তার সম্পদ লুট করা হচ্ছে। দেশের সব মেহনতি মানুষকে আজকে এক হতে হবে। এক হয়ে আবারও মুক্তিযুদ্ধের মতো লড়াই করতে হবে। একটা-দুইটা কলকারখানা নয়, পুরা দেশের মেহনতি মানুষ রাজত্ব কায়েম করে সেটা গরিব মানুষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসবে।’ শ্রমিক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ অনেকে।