সাহসের অভাবেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আট উইকেটে হারতে হলো ভারতকে। এমনই মন্তব্য ভারতীয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক বিরাট কোহলির। চাপ নিতে না পারার জন্যই যে হার মানতে হলো, সেকথা স্বীকার করে নেন বিরাট।
পাকিস্তানের কাছে অসহায়ভাবে হারার পরে রোববার নিউজিল্যান্ডের কাছেও আত্মসমর্পণ করে কোহলিবাহিনী। বোল্ট ঝড় তছনছ করে দেয় ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারকে। মাত্র ১১০ রানেই শেষ হয়ে যায় কোহলিদের ইনিংস। গত আঠারো বছরে কোন আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি ভারত। টি-২০ বিশ্বকাপেও সেই ধারা অব্যাহত রাখে কিউইরা। আর সেই সঙ্গে ভারতীয় টিমের শেষ চারে পৌঁছনোর রাস্তা আরও কঠিন হয়ে যায়।
বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আফ্রিদি বল হাতে আগুন ঝরানোয় রীতিমতো ভয় দেখায় কোহলিদের। তারপর থেকেই দলটা নিষ্প্রভ। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর সেকথাই স্বীকার করে নেন কোহলি। তার কথায়, ‘ব্যাটে বা বলে কোনটাতেই আমরা সাহসী ছিলাম না। শরীরী ভাষাতেও সাহস ছিল না। নিউজিল্যান্ড আমাদের থেকে বেশি আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে। শরীরী ভাষাতেও ওরাই এগিয়ে ছিল। আমাদের উপর প্রথম বল থেকে চাপ সৃষ্টি করেছে। গোটা ইনিংসে সেই চাপ বজায় রেখেছিল। চাপ কাটিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে হবে। এখনও অনেক খেলা বাকি রয়েছে।’টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়ার অঙ্ক সুতার উপর ঝুলছে। শুধু নিজেদের বাকি তিন ম্যাচে বড় জয় পেতে হবে তাই নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে। আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় তবেই কোহলিদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। যদিও সে সব ভুলে আগামী দিনে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলার বার্তা দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
কম রানের রেকর্ড!
নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে লজ্জার হার হয়েছে ভারতের। রবিবার প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১০ রান তোলে। টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করে এটিই ভারতের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস। এর আগে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস ছিল ২০১৪ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ১৩০ রান।
সাত বছর আগে ফাইনালে ভারতকে এবারের মতোই টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় সেই ম্যাচে ভারত ২০ ওভারে মাত্র ১২টি বাউন্ডারি মারতে পারে। রোহিত শর্মা ৩টি চার মারেন। বিরাট কোহলি ৫টি চার, ৪টি ছয় মারেন। তিনি এবং রোহিত ছাড়া সেই ম্যাচে কারও স্ট্রাইক রেট ১০০-র ওপরে পৌঁছয়নি।রোববারের ম্যাচে ভারত ১০টি বাউন্ডারি মারতে পারে। এর মধ্যে ৮টি চার, ২টি ছয়।
মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১ , ১৭ কার্তিক ১৪২৮ ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক
সাহসের অভাবেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আট উইকেটে হারতে হলো ভারতকে। এমনই মন্তব্য ভারতীয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক বিরাট কোহলির। চাপ নিতে না পারার জন্যই যে হার মানতে হলো, সেকথা স্বীকার করে নেন বিরাট।
পাকিস্তানের কাছে অসহায়ভাবে হারার পরে রোববার নিউজিল্যান্ডের কাছেও আত্মসমর্পণ করে কোহলিবাহিনী। বোল্ট ঝড় তছনছ করে দেয় ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারকে। মাত্র ১১০ রানেই শেষ হয়ে যায় কোহলিদের ইনিংস। গত আঠারো বছরে কোন আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি ভারত। টি-২০ বিশ্বকাপেও সেই ধারা অব্যাহত রাখে কিউইরা। আর সেই সঙ্গে ভারতীয় টিমের শেষ চারে পৌঁছনোর রাস্তা আরও কঠিন হয়ে যায়।
বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আফ্রিদি বল হাতে আগুন ঝরানোয় রীতিমতো ভয় দেখায় কোহলিদের। তারপর থেকেই দলটা নিষ্প্রভ। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর সেকথাই স্বীকার করে নেন কোহলি। তার কথায়, ‘ব্যাটে বা বলে কোনটাতেই আমরা সাহসী ছিলাম না। শরীরী ভাষাতেও সাহস ছিল না। নিউজিল্যান্ড আমাদের থেকে বেশি আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে। শরীরী ভাষাতেও ওরাই এগিয়ে ছিল। আমাদের উপর প্রথম বল থেকে চাপ সৃষ্টি করেছে। গোটা ইনিংসে সেই চাপ বজায় রেখেছিল। চাপ কাটিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে হবে। এখনও অনেক খেলা বাকি রয়েছে।’টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়ার অঙ্ক সুতার উপর ঝুলছে। শুধু নিজেদের বাকি তিন ম্যাচে বড় জয় পেতে হবে তাই নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে। আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় তবেই কোহলিদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। যদিও সে সব ভুলে আগামী দিনে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলার বার্তা দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
কম রানের রেকর্ড!
নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে লজ্জার হার হয়েছে ভারতের। রবিবার প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১০ রান তোলে। টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করে এটিই ভারতের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস। এর আগে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস ছিল ২০১৪ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ১৩০ রান।
সাত বছর আগে ফাইনালে ভারতকে এবারের মতোই টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় সেই ম্যাচে ভারত ২০ ওভারে মাত্র ১২টি বাউন্ডারি মারতে পারে। রোহিত শর্মা ৩টি চার মারেন। বিরাট কোহলি ৫টি চার, ৪টি ছয় মারেন। তিনি এবং রোহিত ছাড়া সেই ম্যাচে কারও স্ট্রাইক রেট ১০০-র ওপরে পৌঁছয়নি।রোববারের ম্যাচে ভারত ১০টি বাউন্ডারি মারতে পারে। এর মধ্যে ৮টি চার, ২টি ছয়।