মানিকগঞ্জের ঘিওরের বিভিন্ন হাট বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। বাজারে সকল প্রকার পণ্য সামগ্রীর সঙ্গে এই পলিথিন ফ্রি দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত পলিথিনবিরোধী কোন অভিযান না থাকায় অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। রাস্তাঘাট, নদী নালা, ড্রেনে পলিথিনের আর্বজনা ছড়িয়ে পড়ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারের সমস্ত ড্রেন। পরিবেশ হচ্ছে মারাত্মক দূষণীয়। অথচ প্রশাসনের এ ব্যপারে কোন নজরদারি নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি মঙ্গলবার রাতে ঘিওর বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা পলিথিন নিয়ে আসে। এখান থেকে বুধবার হাটে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রয় করা হয়। ২০০২ সালের সরকারি সিদ্ধান্তে সকল প্রকার পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। জারির পরে কিছুদিন পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ হয়ে পরে। ইদানিং পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার ঘিওর হাটে গুড় পট্রিতে মদন নামে এক ব্যক্তি শত-শত কেজি অবৈধ পলিথিন বিক্রি করে। একটি ঘড় ভাড়া করে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত সে দাপটের সঙ্গে পলিথিন বিক্রি করছে। একাধিকবার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জড়িমানা করলেও সে পলিথিন বিক্রি বন্ধ করেনি। এছাড়া বাজারের ব্যবসায়ী নিবাস সাহা, পরেশ সাহা গং সরকারি আইন কানুনের অমান্য করে অবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ পলিথিন বিক্রি করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যবসায়ী জানান,ফ্যাক্টরী থেকে পলিথিন ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যাগ হাট বাজারে এনে বিক্রয় করে। যে কারনে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতাদের মালামালের সঙ্গে ব্যাগ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। তবে এখনই রোধ করা না গেলে তা আরও ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ওয়াদিয়া শাবাব জানান, পলিথিন ব্যাগ বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পলিথিন বিক্রি বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের ঘিওরের বিভিন্ন হাট বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। বাজারে সকল প্রকার পণ্য সামগ্রীর সঙ্গে এই পলিথিন ফ্রি দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত পলিথিনবিরোধী কোন অভিযান না থাকায় অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। রাস্তাঘাট, নদী নালা, ড্রেনে পলিথিনের আর্বজনা ছড়িয়ে পড়ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারের সমস্ত ড্রেন। পরিবেশ হচ্ছে মারাত্মক দূষণীয়। অথচ প্রশাসনের এ ব্যপারে কোন নজরদারি নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি মঙ্গলবার রাতে ঘিওর বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা পলিথিন নিয়ে আসে। এখান থেকে বুধবার হাটে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রয় করা হয়। ২০০২ সালের সরকারি সিদ্ধান্তে সকল প্রকার পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। জারির পরে কিছুদিন পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ হয়ে পরে। ইদানিং পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার ঘিওর হাটে গুড় পট্রিতে মদন নামে এক ব্যক্তি শত-শত কেজি অবৈধ পলিথিন বিক্রি করে। একটি ঘড় ভাড়া করে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত সে দাপটের সঙ্গে পলিথিন বিক্রি করছে। একাধিকবার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জড়িমানা করলেও সে পলিথিন বিক্রি বন্ধ করেনি। এছাড়া বাজারের ব্যবসায়ী নিবাস সাহা, পরেশ সাহা গং সরকারি আইন কানুনের অমান্য করে অবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ পলিথিন বিক্রি করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যবসায়ী জানান,ফ্যাক্টরী থেকে পলিথিন ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যাগ হাট বাজারে এনে বিক্রয় করে। যে কারনে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতাদের মালামালের সঙ্গে ব্যাগ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। তবে এখনই রোধ করা না গেলে তা আরও ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ওয়াদিয়া শাবাব জানান, পলিথিন ব্যাগ বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পলিথিন বিক্রি বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।