সৈয়দপুরে অন্য তরুণীকে বিয়ে করায় ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক গ্রেপ্তার

প্রেমিকা বিয়ে না করে অন্য তরুণীকে বিয়ে করায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে পল্লী চিকিৎসক প্রেমিক বরকে। সাত বছর ধরে প্রেম করা প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বিয়ের চারদিন পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। গত সোমবার বিকেলে এমনই ঘটনা ঘটেছে সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনি এলাকায়। গ্রেপ্তার পল্লী চিকিৎসক বরের নাম শাহিন আলী বাবু (৪০)। সে ওই এলাকার মৃৃত আজগার আলীর পুত্র।

জানা যায়, ওই প্রেমিকা দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্বামীসহ বাস করত শহরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসন এলাকায়। চিকিৎসা সূত্রে পরিচয় হয় ঢেলাপীর হাটের পল্লী চিকিৎসক শাহিন বাবুর সঙ্গে। তার চেম্বারে যাতায়াতের সূত্র ধরে পল্লী চিকিৎসক বাবুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে গৃহবধূর। সেই সুবাদে বাবুর বিয়ের আশ্বাসে গৃহবধূ তার স্বামীকে তালাক দেয়। এরপর প্রেমিক বাবু তাকে ঢাকায় নিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে ভরণ পোষণ দিয়ে আসছিল। বাবু মাঝে মাঝেই ঢাকায় গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকত। সেও সৈয়দপুরে আসলে বাবুর বাড়িতেই থাকত। এভাবেই চলছিল তাদের সম্পর্ক। গত ২৮ অক্টোবর পারিবারিকভাবে বাড়ির পাশে এক তরুণীকে বিয়ে করে বাবু। খবর পেয়ে সে সৈয়দপুর থানায় উপস্থিত হয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে গত ৩০ অক্টোবর প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

বাবু জানান, মহিলা আমার রোগী। সে স্বামী পরিত্যক্ত ও দরিদ্র হওয়ায় তাকে আর্থিক সহযোগিতা করতাম। গত ৭ বছর যাবত মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করা ছাড়া তার সঙ্গে অন্য কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মহিলার সঙ্গে দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক গ্রেপ্তার পল্লী চিকিৎসকের। বাদীর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সৈয়দপুরে অন্য তরুণীকে বিয়ে করায় ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

প্রেমিকা বিয়ে না করে অন্য তরুণীকে বিয়ে করায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে পল্লী চিকিৎসক প্রেমিক বরকে। সাত বছর ধরে প্রেম করা প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বিয়ের চারদিন পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। গত সোমবার বিকেলে এমনই ঘটনা ঘটেছে সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনি এলাকায়। গ্রেপ্তার পল্লী চিকিৎসক বরের নাম শাহিন আলী বাবু (৪০)। সে ওই এলাকার মৃৃত আজগার আলীর পুত্র।

জানা যায়, ওই প্রেমিকা দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্বামীসহ বাস করত শহরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসন এলাকায়। চিকিৎসা সূত্রে পরিচয় হয় ঢেলাপীর হাটের পল্লী চিকিৎসক শাহিন বাবুর সঙ্গে। তার চেম্বারে যাতায়াতের সূত্র ধরে পল্লী চিকিৎসক বাবুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে গৃহবধূর। সেই সুবাদে বাবুর বিয়ের আশ্বাসে গৃহবধূ তার স্বামীকে তালাক দেয়। এরপর প্রেমিক বাবু তাকে ঢাকায় নিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে ভরণ পোষণ দিয়ে আসছিল। বাবু মাঝে মাঝেই ঢাকায় গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকত। সেও সৈয়দপুরে আসলে বাবুর বাড়িতেই থাকত। এভাবেই চলছিল তাদের সম্পর্ক। গত ২৮ অক্টোবর পারিবারিকভাবে বাড়ির পাশে এক তরুণীকে বিয়ে করে বাবু। খবর পেয়ে সে সৈয়দপুর থানায় উপস্থিত হয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে গত ৩০ অক্টোবর প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

বাবু জানান, মহিলা আমার রোগী। সে স্বামী পরিত্যক্ত ও দরিদ্র হওয়ায় তাকে আর্থিক সহযোগিতা করতাম। গত ৭ বছর যাবত মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করা ছাড়া তার সঙ্গে অন্য কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মহিলার সঙ্গে দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক গ্রেপ্তার পল্লী চিকিৎসকের। বাদীর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।