করোনা সংকটের কারণে রপ্তানি খরা এবার কাটতে শুরু করেছে। গত সেপ্টেম্বরে হয়েছিল সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি হলো। একক মাস হিসেবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হলো অক্টোবরে। পাশাপাশি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধিও হয়েছে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার সমমূল্যের পণ্য। একক মাস হিসেবে এটি রেকর্ড আয়। এর আগে সেপ্টেম্বরেও রেকর্ড আয় হয়েছিল।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৮৯ কেটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
এ ছাড়া গত বছরের একই সময় আয় হয়েছে ১ হাজার ২৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এদিকে একক মাস অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও হয়েছে। এ মাসে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এছাড়া গত বছর একই সময় আয় হয়েছে ২৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যে আরও জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ১ হাজার ২৬২ কোটি ১১ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৭৮ শতাংশ। পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ২২ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। আয় বেশি হয়েছে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৫ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার। এ খাতে আয় কম হয়েছে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ।
বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
করোনা সংকটের কারণে রপ্তানি খরা এবার কাটতে শুরু করেছে। গত সেপ্টেম্বরে হয়েছিল সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি হলো। একক মাস হিসেবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হলো অক্টোবরে। পাশাপাশি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধিও হয়েছে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার সমমূল্যের পণ্য। একক মাস হিসেবে এটি রেকর্ড আয়। এর আগে সেপ্টেম্বরেও রেকর্ড আয় হয়েছিল।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৮৯ কেটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
এ ছাড়া গত বছরের একই সময় আয় হয়েছে ১ হাজার ২৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এদিকে একক মাস অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও হয়েছে। এ মাসে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এছাড়া গত বছর একই সময় আয় হয়েছে ২৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যে আরও জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ১ হাজার ২৬২ কোটি ১১ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৭৮ শতাংশ। পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ২২ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। আয় বেশি হয়েছে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৫ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার। এ খাতে আয় কম হয়েছে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ।