দু’দিনে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর টিকাদান, কর্মসূচি সম্প্রসারণের উদ্যোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দুইদিনে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছে। ঢাকার আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ আরও ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে টিকা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আজ একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটিতে দুই হাজার করে গতকাল ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়। আগের দিন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ টিকা কেন্দ্রে দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের টিকা কর্মসূচির বিষয়টি সমন্বয় করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদকে জানান, ‘আজ থেকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে চার হাজার করে শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। অন্য সাত কেন্দ্রে আপাতত প্রতিদিন দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে।’

‘সব শিশু টিকা নিবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে’ প্রতিপাদ্যে ১ নভেম্বর শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম। ওইদিন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ গতকাল থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুলে টিকাদান শুরু হয়।

প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকাদানের পরিকল্পনা ছিল। তবে সব শিক্ষার্থীর নিবন্ধন না হওয়ায় পর্যায়ক্রমে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী জানিয়েছেন, ঢাকায় টিকাদানের লক্ষ্যে মাউশির পক্ষ্য থেকে চার লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর তথ্য সরকারের আইসিটি ও স্বাস্থ্য বিভাগকে দেয়া হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেকোন সময় নিবন্ধন করতে পারবে।

ঢাকার বাইরে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আজ স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে একটি সভা রয়েছে। ওই সভায় জেলা পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ে পরিকল্পনা হতে পারে। পর্যায়ক্রমে এই কর্মসূচি বাড়বে।’

বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

দু’দিনে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর টিকাদান, কর্মসূচি সম্প্রসারণের উদ্যোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দুইদিনে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছে। ঢাকার আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ আরও ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে টিকা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আজ একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটিতে দুই হাজার করে গতকাল ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়। আগের দিন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ টিকা কেন্দ্রে দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের টিকা কর্মসূচির বিষয়টি সমন্বয় করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদকে জানান, ‘আজ থেকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে চার হাজার করে শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। অন্য সাত কেন্দ্রে আপাতত প্রতিদিন দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে।’

‘সব শিশু টিকা নিবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে’ প্রতিপাদ্যে ১ নভেম্বর শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম। ওইদিন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ গতকাল থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুলে টিকাদান শুরু হয়।

প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকাদানের পরিকল্পনা ছিল। তবে সব শিক্ষার্থীর নিবন্ধন না হওয়ায় পর্যায়ক্রমে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী জানিয়েছেন, ঢাকায় টিকাদানের লক্ষ্যে মাউশির পক্ষ্য থেকে চার লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর তথ্য সরকারের আইসিটি ও স্বাস্থ্য বিভাগকে দেয়া হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেকোন সময় নিবন্ধন করতে পারবে।

ঢাকার বাইরে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আজ স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে একটি সভা রয়েছে। ওই সভায় জেলা পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ে পরিকল্পনা হতে পারে। পর্যায়ক্রমে এই কর্মসূচি বাড়বে।’