সাইবার জগতে হয়রানি প্রতিরোধে নারীদের মুখ খুলতে হবে

ইন্টারনেট সুবিধাসহ প্রযুক্তির নানামাত্রিক ব্যবহার যতোই সহজলভ্য হচ্ছে ততোই সাইবার জগতে নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। এসব ঘটনা অনেকেই নানা কারণে প্রকাশ করেন না। এই সুযোগে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। এজন্য নারীদের মুখ খুলতে হবে। কাছের মানুষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানাতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবরের ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘সাইবার জগতে নারীর প্রতি সহিংসতা’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি-২০২১।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান, স্বাস্থ্যসেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান লাইফস্প্রিংয়ের হেড অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন ইউনিট ডা. সুষমা রেজা, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান। সঞ্চালক ছিলেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) সাধারণ সম্পাদক নুরুন আশরাফী।

আলোচনায় খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, বাংলাদেশে খুব সহজে নারীদের হয়রানি করা যায়। এসব নিয়ে ভুক্তভোগী নারীদের মধ্যে সঠিক উপায়ে প্রমাণাদি রাখার প্রবণতা কম। ঘটনার পর প্রত্যেকের উচিত রিপোর্ট করা। তিনি বলেন, টিকটক বা লাইভ ভিডিওভিত্তিক বিনোদনের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু যদি সেটা অপরাধ প্রবণতাকে উসকে দেয় তাহলে তা এড়িয়ে যেতে হবে। শস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এসব অভ্যাস এখন মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডা. সুষমা রেজা বলেন, বন্ধু বেছে নেবার ক্ষেত্রেও নিজেকে এবং পরিবারকে সচেতন হতে হবে। পরিচিত ব্যক্তির থেকে নারীরা সহিংসতার শিকার হয়, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রকাশ করে না। এই ট্রমা থেকে সারাজীবন রক্ত ঝরে। তাই অনাকাঙ্খিত ঘটনার শিকার হলে সবার আগে সবচেয়ে কাছের মানুষ কিংবা পরিবারকে জানাতে হবে। সাহস নিয়ে মানুষগুলোর মুখোশ খুলতে হবে।

ইশরাত জাহান বলেন, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে থানায় জিডি করতে হবে আগে। পুলিশের বিশেষ ইউনিট এসব বিষয়ে কাজ করে। তাদের সাহায্য নিতে হবে। অনলাইনে কোনো বার্তা পাঠিয়ে হয়রানি করা হলে সেগুলোর ছবি তুলে নিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে পুলিশের কাছে। স্যোসাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় ও কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং একাধিক ধাপের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সাইবার জগতে হয়রানি প্রতিরোধে নারীদের মুখ খুলতে হবে

ইন্টারনেট সুবিধাসহ প্রযুক্তির নানামাত্রিক ব্যবহার যতোই সহজলভ্য হচ্ছে ততোই সাইবার জগতে নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। এসব ঘটনা অনেকেই নানা কারণে প্রকাশ করেন না। এই সুযোগে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। এজন্য নারীদের মুখ খুলতে হবে। কাছের মানুষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানাতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবরের ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘সাইবার জগতে নারীর প্রতি সহিংসতা’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি-২০২১।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান, স্বাস্থ্যসেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান লাইফস্প্রিংয়ের হেড অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন ইউনিট ডা. সুষমা রেজা, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান। সঞ্চালক ছিলেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) সাধারণ সম্পাদক নুরুন আশরাফী।

আলোচনায় খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, বাংলাদেশে খুব সহজে নারীদের হয়রানি করা যায়। এসব নিয়ে ভুক্তভোগী নারীদের মধ্যে সঠিক উপায়ে প্রমাণাদি রাখার প্রবণতা কম। ঘটনার পর প্রত্যেকের উচিত রিপোর্ট করা। তিনি বলেন, টিকটক বা লাইভ ভিডিওভিত্তিক বিনোদনের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু যদি সেটা অপরাধ প্রবণতাকে উসকে দেয় তাহলে তা এড়িয়ে যেতে হবে। শস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এসব অভ্যাস এখন মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডা. সুষমা রেজা বলেন, বন্ধু বেছে নেবার ক্ষেত্রেও নিজেকে এবং পরিবারকে সচেতন হতে হবে। পরিচিত ব্যক্তির থেকে নারীরা সহিংসতার শিকার হয়, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রকাশ করে না। এই ট্রমা থেকে সারাজীবন রক্ত ঝরে। তাই অনাকাঙ্খিত ঘটনার শিকার হলে সবার আগে সবচেয়ে কাছের মানুষ কিংবা পরিবারকে জানাতে হবে। সাহস নিয়ে মানুষগুলোর মুখোশ খুলতে হবে।

ইশরাত জাহান বলেন, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে থানায় জিডি করতে হবে আগে। পুলিশের বিশেষ ইউনিট এসব বিষয়ে কাজ করে। তাদের সাহায্য নিতে হবে। অনলাইনে কোনো বার্তা পাঠিয়ে হয়রানি করা হলে সেগুলোর ছবি তুলে নিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে পুলিশের কাছে। স্যোসাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় ও কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং একাধিক ধাপের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।