মিথেন নিঃসরণ কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর প্রতিশ্রুতি

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৮০টি দেশ বাতাসে ৩০ শতাংশ মিথেন কমানোর জন্য সম্মত হয়েছেন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান কপ-২৬ সম্মেলন থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিজ্ঞার কথা জানানো হয়। সেইসঙ্গে, বিশ্বব্যাপী বন উজাড় বন্ধে একমত হয়েছেন বিশ্বনেতারা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ নেতারা বলছেন, শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস মোকাবিলা করতে উষ্ণতাকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বে কার্বন ডাই অক্সাইডের পর মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা বেশি জরুরি।

ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইন্সটিটিউটের মতে, বন বিশ্বের কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের ৩০ ভাগই শুষে নেয় এবং জলবায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এদিকে যুক্তরাজ্যের বরিস জনসন আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধে বৈশ্বিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

আদিবাসীদের প্রতিনিধিরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে কপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

ট্রাম্পের ভুলের মাশুল আমাকে দিতে হচ্ছে : বাইডেন

সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ক্ষমতায় এসেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে দেয়া ভাষণে বিগত ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্বনেতাদের কাছে ক্ষমা চান বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের সেরা উপায় হচ্ছে কূটনীতি। বাইডেন আরও বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে যে ভুল করেছিলেন তার মাশুল আমাদের আজও দিতে হচ্ছে। তিনি গত রোববার রাতে ইতালির রাজধানী রোমে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন। ’

কার্বন নিঃসরণ শূন্যে আনতে ভারতের প্রতিশ্রুতি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন। গ্লাসগোতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে ২০৭০ সাল নাগাদ নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনাসহ পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আগেও অন্যান্য প্রধান দূষণকারী দেশগুলোর মতো কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেনি ভারত। চীন, ইইউ’র পর বিশ্বের অন্যতম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ ভারত।

এদিকে, সম্মেলনে ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে মোদির ঘোষণা কতটা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ এবারের কপ ২৬ সম্মেলনে এর লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২০৫০ সাল নাগাদ। সেই ক্ষেত্রে আরও ২০ বছর পিছিয়ে ভারতের পরিকল্পনা।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী চীন। ইতোমধ্যেই ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে এটি বিজ্ঞানীদের বেধে দেয়া লক্ষ্যের চেয়ে ১০ বছর পিছিয়ে।

২০৪৫ সাল নাগাদ কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় জার্মানি

আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনে আমরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার অধিকাংশই খাতা কলমে থেকে গেছে। সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। এবার আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, তার দেশ ২০৪৫ সাল নাগাদ কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়। গত সোমবার স্কটল্যান্ডের গ্লাাসগোতে ঐতিহাসিক জলবায়ু সম্মেলনে দেয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু সুরক্ষায় অন্য উন্নত দেশের মতো জার্মানিরও একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এই কারণেই আমরা নির্গমন হ্রাসের জন্য আরও কঠিন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ২০৪৫ সাল নাগাদ আমরা জলবায়ু নিরপেক্ষ হতে চাই।’ জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘পুরো দুনিয়া এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে। ফলে এখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।’

আমরা নিজেদের কবর খুঁড়ছি : জাতিসংঘ মহাসচিব

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, মানবতাকে বাঁচাতে ও পৃথিবীকে রক্ষায় কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্মেলনে জড়ো হওয়া বিশ্বনেতাদের প্রতি গুতেরেস বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি মানবতাকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে। হয় আমাদের এটি থামাতে হবে নয়ত তা আমাদের থামিয়ে দেবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, যথেষ্ট হয়েছে বলার সময় এসেছে। জীববৈচিত্রে নৃশংসতা যথেষ্ট হয়েছে। কার্বন দ্বারা আমাদের নিজেদের হত্যা করা যথেষ্ট হয়েছে। প্রকৃতিকে বাথরুমের মতো ব্যবহার যথেষ্ট হয়েছে। আরও গভীরে যেতে খনন ও পোড়ানো যথেষ্ট হয়েছে। আমরা নিজেরা নিজেদের কবর খুঁড়ছি।

ম্যাক্রোঁর অভিযোগের জবাবে দিলেন মরিসন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর তোলা মিথ্যাচারের অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদা নিয়ে কোনও কটুক্তি মেনে নেবেন না তিনি। যুক্তরাজ্যের গ্লাাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ যোগ দিয়ে ওই অভিযোগের জবাব দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

তিনি দাবি করেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যতটা সম্ভব ততটাই স্বচ্ছ থেকেছেন। তিনি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে জানিয়ে দেন ডিজেল চালিত সাবমেরিন অস্ট্রেলিয়ার সক্ষমতার প্রয়োজন মেটাবে না। মরিসন বলেন, ম্যাক্রোঁর অভিযোগ ব্যক্তিগতভাবে খ-ন করতে চান না তিনি।

পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া নয় হাজার কোটি ডলারের একটি সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মিথ্যা বলেছেন, এমন অভিযোগ তুলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোমে জি২০ সম্মেলনের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয় সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।

বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

মিথেন নিঃসরণ কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর প্রতিশ্রুতি

সংবাদ ডেস্ক

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৮০টি দেশ বাতাসে ৩০ শতাংশ মিথেন কমানোর জন্য সম্মত হয়েছেন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান কপ-২৬ সম্মেলন থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিজ্ঞার কথা জানানো হয়। সেইসঙ্গে, বিশ্বব্যাপী বন উজাড় বন্ধে একমত হয়েছেন বিশ্বনেতারা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ নেতারা বলছেন, শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস মোকাবিলা করতে উষ্ণতাকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বে কার্বন ডাই অক্সাইডের পর মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা বেশি জরুরি।

ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইন্সটিটিউটের মতে, বন বিশ্বের কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের ৩০ ভাগই শুষে নেয় এবং জলবায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এদিকে যুক্তরাজ্যের বরিস জনসন আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধে বৈশ্বিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

আদিবাসীদের প্রতিনিধিরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে কপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

ট্রাম্পের ভুলের মাশুল আমাকে দিতে হচ্ছে : বাইডেন

সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ক্ষমতায় এসেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে দেয়া ভাষণে বিগত ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্বনেতাদের কাছে ক্ষমা চান বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের সেরা উপায় হচ্ছে কূটনীতি। বাইডেন আরও বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে যে ভুল করেছিলেন তার মাশুল আমাদের আজও দিতে হচ্ছে। তিনি গত রোববার রাতে ইতালির রাজধানী রোমে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন। ’

কার্বন নিঃসরণ শূন্যে আনতে ভারতের প্রতিশ্রুতি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন। গ্লাসগোতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে ২০৭০ সাল নাগাদ নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনাসহ পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আগেও অন্যান্য প্রধান দূষণকারী দেশগুলোর মতো কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেনি ভারত। চীন, ইইউ’র পর বিশ্বের অন্যতম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ ভারত।

এদিকে, সম্মেলনে ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে মোদির ঘোষণা কতটা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ এবারের কপ ২৬ সম্মেলনে এর লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২০৫০ সাল নাগাদ। সেই ক্ষেত্রে আরও ২০ বছর পিছিয়ে ভারতের পরিকল্পনা।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী চীন। ইতোমধ্যেই ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে এটি বিজ্ঞানীদের বেধে দেয়া লক্ষ্যের চেয়ে ১০ বছর পিছিয়ে।

২০৪৫ সাল নাগাদ কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় জার্মানি

আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনে আমরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার অধিকাংশই খাতা কলমে থেকে গেছে। সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। এবার আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, তার দেশ ২০৪৫ সাল নাগাদ কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়। গত সোমবার স্কটল্যান্ডের গ্লাাসগোতে ঐতিহাসিক জলবায়ু সম্মেলনে দেয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু সুরক্ষায় অন্য উন্নত দেশের মতো জার্মানিরও একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এই কারণেই আমরা নির্গমন হ্রাসের জন্য আরও কঠিন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ২০৪৫ সাল নাগাদ আমরা জলবায়ু নিরপেক্ষ হতে চাই।’ জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘পুরো দুনিয়া এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে। ফলে এখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।’

আমরা নিজেদের কবর খুঁড়ছি : জাতিসংঘ মহাসচিব

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, মানবতাকে বাঁচাতে ও পৃথিবীকে রক্ষায় কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্মেলনে জড়ো হওয়া বিশ্বনেতাদের প্রতি গুতেরেস বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি মানবতাকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে। হয় আমাদের এটি থামাতে হবে নয়ত তা আমাদের থামিয়ে দেবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, যথেষ্ট হয়েছে বলার সময় এসেছে। জীববৈচিত্রে নৃশংসতা যথেষ্ট হয়েছে। কার্বন দ্বারা আমাদের নিজেদের হত্যা করা যথেষ্ট হয়েছে। প্রকৃতিকে বাথরুমের মতো ব্যবহার যথেষ্ট হয়েছে। আরও গভীরে যেতে খনন ও পোড়ানো যথেষ্ট হয়েছে। আমরা নিজেরা নিজেদের কবর খুঁড়ছি।

ম্যাক্রোঁর অভিযোগের জবাবে দিলেন মরিসন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর তোলা মিথ্যাচারের অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদা নিয়ে কোনও কটুক্তি মেনে নেবেন না তিনি। যুক্তরাজ্যের গ্লাাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ যোগ দিয়ে ওই অভিযোগের জবাব দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

তিনি দাবি করেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যতটা সম্ভব ততটাই স্বচ্ছ থেকেছেন। তিনি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে জানিয়ে দেন ডিজেল চালিত সাবমেরিন অস্ট্রেলিয়ার সক্ষমতার প্রয়োজন মেটাবে না। মরিসন বলেন, ম্যাক্রোঁর অভিযোগ ব্যক্তিগতভাবে খ-ন করতে চান না তিনি।

পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া নয় হাজার কোটি ডলারের একটি সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মিথ্যা বলেছেন, এমন অভিযোগ তুলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রোমে জি২০ সম্মেলনের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয় সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।