করোনা পরিস্থিতিতে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। গতকাল পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস নিতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে নতুন আঙিকে বরণ করে বিভাগগুলো। প্রতিটি ক্লাসরুম যেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, গোলচত্বর, শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের গল্প-আড্ডা, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরাঘুরিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ফারহানা রশিদ ইরিন বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আমার শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। করোনায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়েছিল এই দিনটি আবার ফিরে আসবে এমনটা ভাবতে পারিনি। বিভাগকে অনেক ধন্যবাদ এই দিনটি উপহার দেয়ার জন্য। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত সশরীরে ক্লাস করতে পারব।’
অন্যদিকে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। অনেক দিন পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। প্রাণ খুলে কথা বলতে পেরেছি। দীর্ঘ দেড় বছর পর ক্লাসে ফিরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও উচ্ছ্বসিত।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার টিকার অন্তত এক ডোজ যেসব শিক্ষার্থী নিয়েছেন শুধু তারাই আবাসিক হলে উঠতে পারবেন এবং সশরীরে ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন।
বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, শাবি
করোনা পরিস্থিতিতে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। গতকাল পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস নিতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে নতুন আঙিকে বরণ করে বিভাগগুলো। প্রতিটি ক্লাসরুম যেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, গোলচত্বর, শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের গল্প-আড্ডা, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরাঘুরিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ফারহানা রশিদ ইরিন বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আমার শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। করোনায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়েছিল এই দিনটি আবার ফিরে আসবে এমনটা ভাবতে পারিনি। বিভাগকে অনেক ধন্যবাদ এই দিনটি উপহার দেয়ার জন্য। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত সশরীরে ক্লাস করতে পারব।’
অন্যদিকে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। অনেক দিন পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। প্রাণ খুলে কথা বলতে পেরেছি। দীর্ঘ দেড় বছর পর ক্লাসে ফিরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও উচ্ছ্বসিত।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার টিকার অন্তত এক ডোজ যেসব শিক্ষার্থী নিয়েছেন শুধু তারাই আবাসিক হলে উঠতে পারবেন এবং সশরীরে ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন।