কথিত আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসিমের দেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে কথিত আরসা নেতা মোহাম্মদ হাসিমের লাশ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহাবুবুর রহমান।

কীভাবে এই রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যু হল, সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিহত হাশিম টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংয়ের ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসার) সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিচিত ছিলেন।

তবে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাদের এই সশস্ত্র দলটির বাংলাদেশে তৎপরতার খবর বরাবরই অস্বীকার করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সম্প্রতি শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ খুনের পর আরসার নামটি আবার সামনে আসে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে তার কার্যালয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

মুহিবুল্লাহর স্বজনদের অভিযোগ, আরসা সদস্যরাই সেই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। এরপর গত ২৩ অক্টোবর উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ৬ জনকে।

ওই হত্যাকান্ডেও হাসিমের দিকে সন্দেহের তীর ছিল বলে আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তারা জানান।

২০১৭ সালের অগাস্টে আরসার হামলার কারণেই রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরুর দাবি করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ , ১৯ কার্তিক ১৪২৮ ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কথিত আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসিমের দেহ উদ্ধার

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে কথিত আরসা নেতা মোহাম্মদ হাসিমের লাশ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহাবুবুর রহমান।

কীভাবে এই রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যু হল, সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিহত হাশিম টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংয়ের ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসার) সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিচিত ছিলেন।

তবে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাদের এই সশস্ত্র দলটির বাংলাদেশে তৎপরতার খবর বরাবরই অস্বীকার করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সম্প্রতি শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ খুনের পর আরসার নামটি আবার সামনে আসে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে তার কার্যালয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

মুহিবুল্লাহর স্বজনদের অভিযোগ, আরসা সদস্যরাই সেই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। এরপর গত ২৩ অক্টোবর উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ৬ জনকে।

ওই হত্যাকান্ডেও হাসিমের দিকে সন্দেহের তীর ছিল বলে আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তারা জানান।

২০১৭ সালের অগাস্টে আরসার হামলার কারণেই রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরুর দাবি করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী।