ভোলায় গ্যাসের মুজদ থাকলেও নতুন সংযোগ পাচ্ছেন না ১৫ হাজার আবেদনকারী। গত মঙ্গলবার বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি কাজে গ্যাস সংযোগের দাবিতে জেলা সদরের সদর রোডে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন। অদৃশ্য কারনে সংযোগ বন্ধ রাখার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সংগঠনের নেতারা জানান, ৬টি কূপে গ্যাসের মজুদ প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে তিনটি থেকে প্রতিদিন ১০০ এমএমসিএফবি গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। ব্যয় হচ্ছে মাত্র ৬৫ থেকে ৬৭ এমএমসিএফবি। নতুন আরো ৩টি স্থানে গ্যাসের মজুদ চিহ্নিত হয়েছে। সংযোগ ফিসহ ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দিয়ে গৃহস্থালি কাজে সংযোগ পাননি ৭১২ পরিবার।
‘ঘরে ঘরে গ্যাস গৃহস্থালি গ্যাস চাই আন্দোলন কমিটির ব্যানারে কমিটির সভাপতি জেলা সুজনের সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সভাপতি আবু তাহের, ভোলা স্বার্থ রক্ষা কমিটির সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ভোলা থিয়েটারের সম্পাদক আবিদুল আলম, জুয়েলারি সমিতির সম্পাদক অবিনাশ নন্দী, সুজন উপজেলা কমিটির সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, গ্যাস সংযোগ ঠিকাদার সমিতির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন, আন্দোলন সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল জলিল নান্টু প্রমুখ।
ভোলার সুন্দরবন গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিটেডের ম্যানেজার তোফায়েল আহমেদ জানান, সারাদেশে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও মজুদ বিবেচনায় ভোলায় সংযোগের বিশেষ অনুমতি ছিল। কিন্তু জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি ওই অনুমতি বন্ধ করে দেয় হয়। সংযোগ আবেদন ও টাকা জমা দিয়েও ৭১২ জন সংযোগ পাননি। অপরদিকে ১৫ হাজার গ্রাহকের জন্য ভোলা পৌরসভা ও বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় সংযোগ লাইন টানা হয়। গত বছর পর্যন্ত সংযোগ সংখ্যা ২ হাজার ৩৮১। এর মধ্যে গৃহস্থলি কাজে সংযোগ ২ হাজার ৩৭২টি। এই সংযোগে প্রতিদিন গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে মাত্র দশমিক ৬ এমএমসিএফবি গ্যাস। অপরদিকে ৪টি বিদ্যুৎ প্লান্ট ও দুটি মাঝারি শিল্পে ব্যয় হচ্ছে ৬৪ দশমিক ৪ এমএমসিএফবি গ্যাস। শুধুমাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার আবাসিক সংযোগে ব্যয় হবে ১ এমএমসিএফবি গ্যাস। প্রতিদিন তিনটি কূপে থেকে যে পরিমান গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে ওই পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে না। ফলে আবাসিক গ্যাস সংযোগে কোন বাধা থাকার কথা নয়।
ভোলা : ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
আরও খবরবৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ , ১৯ কার্তিক ১৪২৮ ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
জেলা বার্তা পরিবেশক, ভোলা
ভোলা : ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
ভোলায় গ্যাসের মুজদ থাকলেও নতুন সংযোগ পাচ্ছেন না ১৫ হাজার আবেদনকারী। গত মঙ্গলবার বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি কাজে গ্যাস সংযোগের দাবিতে জেলা সদরের সদর রোডে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন। অদৃশ্য কারনে সংযোগ বন্ধ রাখার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সংগঠনের নেতারা জানান, ৬টি কূপে গ্যাসের মজুদ প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে তিনটি থেকে প্রতিদিন ১০০ এমএমসিএফবি গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। ব্যয় হচ্ছে মাত্র ৬৫ থেকে ৬৭ এমএমসিএফবি। নতুন আরো ৩টি স্থানে গ্যাসের মজুদ চিহ্নিত হয়েছে। সংযোগ ফিসহ ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দিয়ে গৃহস্থালি কাজে সংযোগ পাননি ৭১২ পরিবার।
‘ঘরে ঘরে গ্যাস গৃহস্থালি গ্যাস চাই আন্দোলন কমিটির ব্যানারে কমিটির সভাপতি জেলা সুজনের সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সভাপতি আবু তাহের, ভোলা স্বার্থ রক্ষা কমিটির সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ভোলা থিয়েটারের সম্পাদক আবিদুল আলম, জুয়েলারি সমিতির সম্পাদক অবিনাশ নন্দী, সুজন উপজেলা কমিটির সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, গ্যাস সংযোগ ঠিকাদার সমিতির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন, আন্দোলন সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল জলিল নান্টু প্রমুখ।
ভোলার সুন্দরবন গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিটেডের ম্যানেজার তোফায়েল আহমেদ জানান, সারাদেশে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও মজুদ বিবেচনায় ভোলায় সংযোগের বিশেষ অনুমতি ছিল। কিন্তু জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি ওই অনুমতি বন্ধ করে দেয় হয়। সংযোগ আবেদন ও টাকা জমা দিয়েও ৭১২ জন সংযোগ পাননি। অপরদিকে ১৫ হাজার গ্রাহকের জন্য ভোলা পৌরসভা ও বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় সংযোগ লাইন টানা হয়। গত বছর পর্যন্ত সংযোগ সংখ্যা ২ হাজার ৩৮১। এর মধ্যে গৃহস্থলি কাজে সংযোগ ২ হাজার ৩৭২টি। এই সংযোগে প্রতিদিন গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে মাত্র দশমিক ৬ এমএমসিএফবি গ্যাস। অপরদিকে ৪টি বিদ্যুৎ প্লান্ট ও দুটি মাঝারি শিল্পে ব্যয় হচ্ছে ৬৪ দশমিক ৪ এমএমসিএফবি গ্যাস। শুধুমাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার আবাসিক সংযোগে ব্যয় হবে ১ এমএমসিএফবি গ্যাস। প্রতিদিন তিনটি কূপে থেকে যে পরিমান গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে ওই পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে না। ফলে আবাসিক গ্যাস সংযোগে কোন বাধা থাকার কথা নয়।