চকরিয়ায় ৫৬ অবৈধ দোকান-স্থাপনা উচ্ছেদ

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত চকরিয়া উপজেলার বরইতলী গরুবাজার এলাকায় বেদখল হয়ে পড়া জমি উদ্ধারে অবশেষে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেনে সড়ক বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ চট্টগ্রাম জোনের আইন ও এস্টেট কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলা অভিযানে মোট ৫৬টি অবৈধ দোকান-পাট গুড়িয়ে দিয়ে অন্তত তিন কোটি টাকার আড়াইশ শতক জমি উদ্ধার করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তাফা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম জোনের আইন ও এস্টেট কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার কেবল চাকমা, চকরিয়া উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মো.শাখাওয়াত হোসেন, সহকারি প্রকৌশলী (এসও) দিদারুল ইসলাম ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অনেক বছর ধরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গরুবাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত আরএস ৬৭০৯ খতিয়ানের বিএস ১৩২৯৭ দাগের জমিতে ব্যক্তিগত মার্কেট নির্মাণের ঘটনা ঘটে। গেল কয়েকমাস আগেও উল্লেখিত সরকারি জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের চেষ্টা চালায় কতিপয় মহল। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের।

এরই প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব বিষয়টির আলোকে স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি অপর মামলা রুজু করেন আদালতে। মামলার প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, পিবিআই পুলিশ তদন্তে সড়ক বিভাগের জমিতে ব্যক্তিগত মার্কেট তথা দোকানপাট নির্মাণের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে দখলে ১৭ জন ব্যক্তি জড়িত বলে তাদের নাম-ঠিকানাও উল্লেখ্য করা হয়।

এরপর আদালতের বিচারক উল্লেখিত সরকারি জমি উদ্ধারে সড়ক বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন। এরই আলোকে আদালতের নির্দেশক্রমে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সর্বশেষ মঙ্গলবার উল্লেখিত সরকারি জমি উদ্ধারে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করেছে।

image

চকরিয়া (কক্সবাজার) : উপজেলার বরইতলী একতাবাজার এলাকায় সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান -সংবাদ

আরও খবর
খেয়াঘাটে টোলের নামে চাঁদা : নীরব প্রশাসন
কথিত আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসিমের দেহ উদ্ধার
চার জেলায় মনোনয়ন দাখিল
হোসেনপুরে চালককে হত্যা করে অটো ছিনতাই
দুপচাঁচিয়ার আ’লীগের বর্ধিত সভা
মোরেলগঞ্জের খাউলিয়ায় নৌকার প্রার্থীর বিজয়
ভোলায় টাকা দিয়েও গ্যাস সংযোগ পায়নি ৭১২ পরিবার
আড়াইহাজারে ডাকাতের হাতে যুবক টেঁটাবিদ্ধ
ভাড়ায় বাইক চালানোরনামে অজ্ঞান করে লুট
নন্দীগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই দুটি দোকান
যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেলেন মুন্সীগঞ্জের নার্গিস

বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ , ১৯ কার্তিক ১৪২৮ ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চকরিয়ায় ৫৬ অবৈধ দোকান-স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার)

image

চকরিয়া (কক্সবাজার) : উপজেলার বরইতলী একতাবাজার এলাকায় সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান -সংবাদ

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত চকরিয়া উপজেলার বরইতলী গরুবাজার এলাকায় বেদখল হয়ে পড়া জমি উদ্ধারে অবশেষে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেনে সড়ক বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ চট্টগ্রাম জোনের আইন ও এস্টেট কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলা অভিযানে মোট ৫৬টি অবৈধ দোকান-পাট গুড়িয়ে দিয়ে অন্তত তিন কোটি টাকার আড়াইশ শতক জমি উদ্ধার করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তাফা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম জোনের আইন ও এস্টেট কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার কেবল চাকমা, চকরিয়া উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মো.শাখাওয়াত হোসেন, সহকারি প্রকৌশলী (এসও) দিদারুল ইসলাম ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অনেক বছর ধরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গরুবাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত আরএস ৬৭০৯ খতিয়ানের বিএস ১৩২৯৭ দাগের জমিতে ব্যক্তিগত মার্কেট নির্মাণের ঘটনা ঘটে। গেল কয়েকমাস আগেও উল্লেখিত সরকারি জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের চেষ্টা চালায় কতিপয় মহল। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের।

এরই প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব বিষয়টির আলোকে স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি অপর মামলা রুজু করেন আদালতে। মামলার প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, পিবিআই পুলিশ তদন্তে সড়ক বিভাগের জমিতে ব্যক্তিগত মার্কেট তথা দোকানপাট নির্মাণের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে দখলে ১৭ জন ব্যক্তি জড়িত বলে তাদের নাম-ঠিকানাও উল্লেখ্য করা হয়।

এরপর আদালতের বিচারক উল্লেখিত সরকারি জমি উদ্ধারে সড়ক বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন। এরই আলোকে আদালতের নির্দেশক্রমে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সর্বশেষ মঙ্গলবার উল্লেখিত সরকারি জমি উদ্ধারে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করেছে।