চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে

তিন মামলায় আসামি ৪৮

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) সংঘর্ষের ঘটনায় সর্বমোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাত ১২টায় ৫৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমন শিকদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় প্রতিপক্ষের ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ওসি ফেরদৌস জাহান।

এর আগে গত সোমবার রাতে কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ৩০ অক্টোবর রাতে কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের করা হল।

গত ২৯ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরে পরদিন শনিবার সকালে আবারও দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। বিবাদমান দুটি পক্ষের একপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যপক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে পরিচিত।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নওফেলের অনুসারীরা আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় নাছিরের অনুসারী পক্ষের চমেকের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক ও ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম আহত হন।

ওই ঘটনার জেরে পরদিন শনিবার সকাল ৯টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী আকিব হোসেনকে মারধর করে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। এরপর দু’পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পড়ে নাছিরের অনুসারীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশ পাহারায় সেখান থেকে বের হয়ে আসে। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে ছাত্রদের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সন্ধ্যায় আবাসিক হোস্টেল ছেড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ , ১৯ কার্তিক ১৪২৮ ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে

তিন মামলায় আসামি ৪৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) সংঘর্ষের ঘটনায় সর্বমোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাত ১২টায় ৫৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমন শিকদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় প্রতিপক্ষের ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ওসি ফেরদৌস জাহান।

এর আগে গত সোমবার রাতে কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ৩০ অক্টোবর রাতে কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের করা হল।

গত ২৯ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরে পরদিন শনিবার সকালে আবারও দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। বিবাদমান দুটি পক্ষের একপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যপক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে পরিচিত।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নওফেলের অনুসারীরা আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় নাছিরের অনুসারী পক্ষের চমেকের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক ও ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম আহত হন।

ওই ঘটনার জেরে পরদিন শনিবার সকাল ৯টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী আকিব হোসেনকে মারধর করে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। এরপর দু’পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পড়ে নাছিরের অনুসারীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশ পাহারায় সেখান থেকে বের হয়ে আসে। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে ছাত্রদের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সন্ধ্যায় আবাসিক হোস্টেল ছেড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।