রায় কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জেল হত্যায় পলাতক আসামিদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। যখন আসামিদের নিজেদের আওতায় আনতে পারব তখনই ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেলহত্যার রায় কার্যকরের জন্যও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

গতকাল জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে অবস্থিত জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। সকালে জেলখানায় প্রবেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ ও মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে দুটি ঘৃণ্যতম হত্যাকা- ঘটেছে। যার মধ্যে একটি ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, অন্যটি ৩ নভেম্বর জেলহত্যা। এগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীরই বিচার হয়েছে। যারা বাকি আছে তাদেরও হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭৭ সালের সেনা বিদ্রোহের বিষয়ে বলেন, জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে শত শত লোককে হত্যা করেছে, সেটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এই বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন রয়েছে। আমরা রিট আবেদনের রায়ের অপেক্ষা করছি। আমরা চাই দোষীদের যেন বিচার হয়।

এদিকে, মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। জাতীয় চার নেতাকে আড়ালে রেখে কোনদিনও সোনার বাংলা গড়া যাবে না বলে তারা মন্তব্য করেছেন। শহীদ তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন, চার নেতার পরিবার চায় জাতীয়ভাবে যেন তাদের জীবনী নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। যেখানে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, ঢাকার সেই পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর।

বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ , ১৯ কার্তিক ১৪২৮ ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

রায় কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জেল হত্যায় পলাতক আসামিদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। যখন আসামিদের নিজেদের আওতায় আনতে পারব তখনই ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেলহত্যার রায় কার্যকরের জন্যও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

গতকাল জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে অবস্থিত জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। সকালে জেলখানায় প্রবেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ ও মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে দুটি ঘৃণ্যতম হত্যাকা- ঘটেছে। যার মধ্যে একটি ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, অন্যটি ৩ নভেম্বর জেলহত্যা। এগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীরই বিচার হয়েছে। যারা বাকি আছে তাদেরও হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭৭ সালের সেনা বিদ্রোহের বিষয়ে বলেন, জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে শত শত লোককে হত্যা করেছে, সেটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এই বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন রয়েছে। আমরা রিট আবেদনের রায়ের অপেক্ষা করছি। আমরা চাই দোষীদের যেন বিচার হয়।

এদিকে, মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। জাতীয় চার নেতাকে আড়ালে রেখে কোনদিনও সোনার বাংলা গড়া যাবে না বলে তারা মন্তব্য করেছেন। শহীদ তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন, চার নেতার পরিবার চায় জাতীয়ভাবে যেন তাদের জীবনী নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। যেখানে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, ঢাকার সেই পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর।