মিতু হত্যা : বাবুলের মামলার পুনঃতদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের করা মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন ন মঞ্জুর করেছেন। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে ২৭ অক্টোবর পিবিআই দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন নারাজি আবেদনের শুনানিতে আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের করা মামলায় আদালতে জমা দেওয়া চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। আমরা মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেছিলাম। বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় গত ১২ মে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিতু হত্যা ছিল কন্ট্রাক্ট কিলিং। বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় এটি সংঘটিত হয়। মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে তারা জানান। এরপর একই দিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। এর আগে গত ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ মে তাকে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই। শুনানি শেষে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। হত্যাকাে র পর বাবুল আক্তার নিজে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্তা পায় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ , ১৯ কার্তিক ১৪২৮ ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

মিতু হত্যা : বাবুলের মামলার পুনঃতদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের করা মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন ন মঞ্জুর করেছেন। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে ২৭ অক্টোবর পিবিআই দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন নারাজি আবেদনের শুনানিতে আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের করা মামলায় আদালতে জমা দেওয়া চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। আমরা মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেছিলাম। বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় গত ১২ মে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিতু হত্যা ছিল কন্ট্রাক্ট কিলিং। বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় এটি সংঘটিত হয়। মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে তারা জানান। এরপর একই দিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। এর আগে গত ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ মে তাকে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই। শুনানি শেষে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। হত্যাকাে র পর বাবুল আক্তার নিজে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্তা পায় পুলিশ।