আলু রপ্তানিতে সব সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস কৃষিমন্ত্রীর

আলু রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিইএ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আলু খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। আবহাওয়া ও মাটি আলু চাষের অনুকূলে। আলুর বাজার ও চাহিদা বাড়াতে পারলে উৎপাদন আরও অনেকগুণে বাড়ানো সম্ভব। সেজন্য আমরা বিদেশে আলুর বাজার বিস্তৃত করতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া, রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিরসনকল্পে কাজ চলছে। দেশে বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। ভালো জাতের আলুর অভাবের কারণে এতোদিন আলু রপ্তানিতে বাধা ছিল। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি। ফলে প্রাইভেট খাতও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে এ জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণসহ ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। এ রপ্তানিযোগ্য জাতগুলো মাঠপর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ ও কৃষকের কাছে জনপ্রিয়করণ করতে কাজ চলছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না। এছাড়া প্রতিনিধিদলের দাবির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শেখ আবদুল কাদের, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহাবুব মোর্শেদ, নির্বাহী সদস্য সুফিয়ান আহামেদ, জিয়াউল হক, রাশেদ আহমেদ প্রমুখ।

শুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

আলু রপ্তানিতে সব সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস কৃষিমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আলু রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিইএ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আলু খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। আবহাওয়া ও মাটি আলু চাষের অনুকূলে। আলুর বাজার ও চাহিদা বাড়াতে পারলে উৎপাদন আরও অনেকগুণে বাড়ানো সম্ভব। সেজন্য আমরা বিদেশে আলুর বাজার বিস্তৃত করতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া, রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিরসনকল্পে কাজ চলছে। দেশে বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। ভালো জাতের আলুর অভাবের কারণে এতোদিন আলু রপ্তানিতে বাধা ছিল। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি। ফলে প্রাইভেট খাতও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে এ জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণসহ ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। এ রপ্তানিযোগ্য জাতগুলো মাঠপর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ ও কৃষকের কাছে জনপ্রিয়করণ করতে কাজ চলছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না। এছাড়া প্রতিনিধিদলের দাবির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শেখ আবদুল কাদের, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহাবুব মোর্শেদ, নির্বাহী সদস্য সুফিয়ান আহামেদ, জিয়াউল হক, রাশেদ আহমেদ প্রমুখ।