মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অবরোধ শেষে, পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়ার আশা থাকলেও সে আশা পুরন হচ্ছে না জেলেদের। ধরা পরছে না ইলিশ। দু’একটা যা পাওয়া যায়, তা বিক্রি করে ট্রলারের তেল খরচও হয় না। খালি হাতেই ঘাটে ফিরছে জেলেরা। তাদের দাবি, অবরোধ চলাকালীন সময় মাছ ধরা থেকে তারা বিরত থাকলেও পার্শ^বর্তী দেশের জেলেরা বঙ্গোপসাগরে অবাধে ইলিশ শিকার করেছে, যে কারনে সাগরে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছে।
আগুনমুখা, রামনাবাদ, বুড়াগৌরঙ্গ নদ ঘুরে দেখা গেছে, জেলে আছে, মাছ নেই। বাধ্য হয়ে ঘাটে ফিরছেন তারা। হতাশায় ভুগছেন জেলে পরিবার গুলো। মহাজনার দাদন ও ঋনের দায় শোধ করে কি ভাবে সংসার চলবে এ নিয়ে চিন্তিত তারা।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রলারগুলো ঘাটে নোঙ্গর করা। কেউ কেউ ট্রলারে আবার কেউ বেড়িবাঁধের উপর বসে জাল মেরামত করছে। জানতে চাইলে, জেলে আল আমিন মাঝি বলেন, ইলিশ না পাওয়ায় অনেক জেলেরা সাগর থেকে ফিরা আইছে।
আবহাওয়া ভাল আছে, কিন্তু সাগরে মাছ নাই। ২৫ তারিখের পর সাগরে গেছি। মেশিনের তেল ও খাবার নিয়া ২২ হাজার টাকা খরচ হইছে। মাছ পাইছি ৭ হাজার টাকার। এতে ঋণের বোঝা দিনদিন বেড়ে চলছে, তাই ঘাটে ফিরা আইছি। মাছ পরা শুরু হইলে আবার যাব।
একই এলাকার জেলে খলিল মুন্সী বলেন, সরকার ২২ দিনের অবরোধ দিছে, আমরাও মাছ ধরা বন্ধ রাখছি। ওদিক দিয়ে মায়ানমারের জেলেরা আমাদের সীমানায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়া গেছে। আমরা সাগরে গেছি, মাছের দেখা পাই নাই। এক সপ্তাহ সাগরে থাকতে যা খরচ হয়, মাছ বিক্রি করে তা হয় না।
উপজেলা মৎস্য কর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল জানান নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত ছিল। এখন সাগরে বেশি ইলিশ ধরা পরার কথা।
আবহাওয়া অনুকূলে আছে। আশাকরি ইলিশ ধরা পরবে।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : জেলেদের জালে দেখা মিলছে না ইলিশের -সংবাদ
আরও খবরশুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : জেলেদের জালে দেখা মিলছে না ইলিশের -সংবাদ
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অবরোধ শেষে, পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়ার আশা থাকলেও সে আশা পুরন হচ্ছে না জেলেদের। ধরা পরছে না ইলিশ। দু’একটা যা পাওয়া যায়, তা বিক্রি করে ট্রলারের তেল খরচও হয় না। খালি হাতেই ঘাটে ফিরছে জেলেরা। তাদের দাবি, অবরোধ চলাকালীন সময় মাছ ধরা থেকে তারা বিরত থাকলেও পার্শ^বর্তী দেশের জেলেরা বঙ্গোপসাগরে অবাধে ইলিশ শিকার করেছে, যে কারনে সাগরে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছে।
আগুনমুখা, রামনাবাদ, বুড়াগৌরঙ্গ নদ ঘুরে দেখা গেছে, জেলে আছে, মাছ নেই। বাধ্য হয়ে ঘাটে ফিরছেন তারা। হতাশায় ভুগছেন জেলে পরিবার গুলো। মহাজনার দাদন ও ঋনের দায় শোধ করে কি ভাবে সংসার চলবে এ নিয়ে চিন্তিত তারা।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রলারগুলো ঘাটে নোঙ্গর করা। কেউ কেউ ট্রলারে আবার কেউ বেড়িবাঁধের উপর বসে জাল মেরামত করছে। জানতে চাইলে, জেলে আল আমিন মাঝি বলেন, ইলিশ না পাওয়ায় অনেক জেলেরা সাগর থেকে ফিরা আইছে।
আবহাওয়া ভাল আছে, কিন্তু সাগরে মাছ নাই। ২৫ তারিখের পর সাগরে গেছি। মেশিনের তেল ও খাবার নিয়া ২২ হাজার টাকা খরচ হইছে। মাছ পাইছি ৭ হাজার টাকার। এতে ঋণের বোঝা দিনদিন বেড়ে চলছে, তাই ঘাটে ফিরা আইছি। মাছ পরা শুরু হইলে আবার যাব।
একই এলাকার জেলে খলিল মুন্সী বলেন, সরকার ২২ দিনের অবরোধ দিছে, আমরাও মাছ ধরা বন্ধ রাখছি। ওদিক দিয়ে মায়ানমারের জেলেরা আমাদের সীমানায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়া গেছে। আমরা সাগরে গেছি, মাছের দেখা পাই নাই। এক সপ্তাহ সাগরে থাকতে যা খরচ হয়, মাছ বিক্রি করে তা হয় না।
উপজেলা মৎস্য কর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল জানান নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত ছিল। এখন সাগরে বেশি ইলিশ ধরা পরার কথা।
আবহাওয়া অনুকূলে আছে। আশাকরি ইলিশ ধরা পরবে।