আবার বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডারের দাম

১২৫৯ থেকে বেড়ে ১৩১৩ টাকা

ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি সিলিন্ডারে দাম ৫৪ টাকা করে বাড়ায় ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১২৫৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) এই দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, যা গতকাল থেকেই এই নতুন মূল্য কার্যকর হবে। এদিকে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তিত না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে।

সেই সঙ্গে গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত এলপিজির দামও বাড়ানো হয়েছে। গাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজি অটোগ্যাস নামে পরিচিত। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬১ টাকা ১৮ পয়সা করা হয়েছে।

গত অক্টোবর মাসেও রান্নায় ব্যবহৃত ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছিল বিইআরসি। ২২ শতাংশ দাম বাড়িয়ে তখন প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ১২৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে গতকাল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল মধ্যরাতে বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন এখন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে আবার গত সেপ্টেম্বরে গণশুনানি করে কমিশন।

জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।

শুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

আবার বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডারের দাম

১২৫৯ থেকে বেড়ে ১৩১৩ টাকা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি সিলিন্ডারে দাম ৫৪ টাকা করে বাড়ায় ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১২৫৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) এই দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, যা গতকাল থেকেই এই নতুন মূল্য কার্যকর হবে। এদিকে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তিত না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে।

সেই সঙ্গে গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত এলপিজির দামও বাড়ানো হয়েছে। গাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজি অটোগ্যাস নামে পরিচিত। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬১ টাকা ১৮ পয়সা করা হয়েছে।

গত অক্টোবর মাসেও রান্নায় ব্যবহৃত ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছিল বিইআরসি। ২২ শতাংশ দাম বাড়িয়ে তখন প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ১২৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে গতকাল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল মধ্যরাতে বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন এখন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে আবার গত সেপ্টেম্বরে গণশুনানি করে কমিশন।

জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।