স্কোর : বাংলাদেশ ১৫ ওভারে ৭৩ , অস্ট্রেলিয়া ৬.২ ওভারে ৭৮/২। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তারকা খেলোয়াড়বিহীন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়, আর বৈশ্বিক আসরে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার মধ্যে পার্থক্যটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলাদেশ দল। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে হোম সিরিজগুলোকে চূড়ান্ত প্রস্তুতির বলেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু, বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে বাংলাদেশ দলের কঙ্কালসার চেহারাটা প্রকটভাবেই ধরা পড়েছে। বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও টানা পাঁচ ম্যাচে পেয়েছে পরাজয়ের লজ্জা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৩ রানে অল আউট হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অ্যান্ড কোং। জয়ের জন্য ৭৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে অজিরা ব্যবহার করে মাত্র ৩৮ বল (৬.২ ওভার)। বাংলাদেশ দল ম্যাচ হারে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে।
সুপার টুয়েলভের শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াই করা টাইগাররা পরের ম্যাচগুলোতে করেছে অসহায় আত্মসমর্পণ। যার মধ্যে শেষ দুটো হলো চূড়ান্ত লজ্জার। আবুধাবীতে গত মঙ্গলবার ৮৪ রানে অল আউট হওয়া বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গতকাল দুবাইয়ের ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অল আউট হয়েছে মাত্র ৭৩ রানে। নিজেদের কোটার বিশ ওভারের মধ্যে অব্যবহৃত থাকে পাঁচটি ওভার। বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা নিয়ে চলতি বছরে ১০০ রানের নিচে টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল অল আউট হলো চারবার। বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণের দিনে ম্যাচসেরা অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা চার ওভারে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শুরুতেই অজি পেসার মিচেল স্টার্কের ঝড়োগতিতে ধেয়ে আসা বলে মাত্র ১০ রানের মাঝেই ক্রিজছাড়া হয়েছেন তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলটি কোনক্রমে ঠেকিয়ে ১ রান নেন নাঈম। তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান লিটন দাস। বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন লিটন। সৌম্য ৮ বলে ৫ রান করে জস হেইজেলউডের বলে খোয়ান স্টাম্প। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মুশফিকুর রহিম বিফোর উইকেটের শিকার হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।
এরপর পাল্টা ওপেনার নাঈম শেখ আর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ কিছুটা সময় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হেইজেলউডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে দলীয় ৩২ রানে প্যাট কামিন্সের হাতে নাঈম শেখ (১৭) ধরা পড়লে ভেঙে যায় জুটি।
প্রতিভার ছাপ রেখে দলে জায়গা পাওয়া আফিফ হোসেন ধ্রুব পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ছিলেন নিষ্প্রভ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিজের নামের পাশে কোন রান লেখার আগেই তিনি শিকার হন জাম্পার। মাত্র ৩৩ রানে বাংলাদেশের পাঁচজন ব্যাটার ফেরেন ড্রেসিংরুমে। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ (১৬) ও শামীম হোসেনের (১৯) কল্যাণে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ৭৩ রান জমা করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ দল। টাইগারদের ইনিংসে চার ব্যাটারের নামের পাশে কোন রান নেই, চারজন আউট হন এক অঙ্কের কোটায়।
সেমিফাইনালের দৌঁড়ে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের এই রান অজিদের ৮.১ ওভারে টপকালেই চলতো। কিন্তু অতটা সময় তারা অপেক্ষা করেনি।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হন দুই অজি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ঝড়ের গতিতে ব্যাট চালিয়ে মাত্র ৫ ওভারেই ৫৮ রান তোলেন দুজন। দুইশ’ স্ট্রাইক রেটে ২০ বলে ৪০ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে অ্যারন ফিঞ্চ ফেরার পর ১৪ বলে ১৮ রান করা ওয়ার্নারকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তিনশ’র বেশি স্ট্রাইক রেটে মিচেল মার্শ ৫ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করায় চার নম্বরে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কোন বল মোকাবিলা করারই সুযোগ পাননি।
ম্যাচ হেরে মাঠ থেকে বিদায় নিচ্ছে বাংলাদেশ দল -বিসিবি
আরও খবরশুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
স্কোর : বাংলাদেশ ১৫ ওভারে ৭৩ , অস্ট্রেলিয়া ৬.২ ওভারে ৭৮/২। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
ম্যাচ হেরে মাঠ থেকে বিদায় নিচ্ছে বাংলাদেশ দল -বিসিবি
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তারকা খেলোয়াড়বিহীন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়, আর বৈশ্বিক আসরে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার মধ্যে পার্থক্যটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলাদেশ দল। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে হোম সিরিজগুলোকে চূড়ান্ত প্রস্তুতির বলেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু, বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে বাংলাদেশ দলের কঙ্কালসার চেহারাটা প্রকটভাবেই ধরা পড়েছে। বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও টানা পাঁচ ম্যাচে পেয়েছে পরাজয়ের লজ্জা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৩ রানে অল আউট হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অ্যান্ড কোং। জয়ের জন্য ৭৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে অজিরা ব্যবহার করে মাত্র ৩৮ বল (৬.২ ওভার)। বাংলাদেশ দল ম্যাচ হারে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে।
সুপার টুয়েলভের শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াই করা টাইগাররা পরের ম্যাচগুলোতে করেছে অসহায় আত্মসমর্পণ। যার মধ্যে শেষ দুটো হলো চূড়ান্ত লজ্জার। আবুধাবীতে গত মঙ্গলবার ৮৪ রানে অল আউট হওয়া বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গতকাল দুবাইয়ের ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অল আউট হয়েছে মাত্র ৭৩ রানে। নিজেদের কোটার বিশ ওভারের মধ্যে অব্যবহৃত থাকে পাঁচটি ওভার। বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা নিয়ে চলতি বছরে ১০০ রানের নিচে টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল অল আউট হলো চারবার। বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণের দিনে ম্যাচসেরা অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা চার ওভারে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শুরুতেই অজি পেসার মিচেল স্টার্কের ঝড়োগতিতে ধেয়ে আসা বলে মাত্র ১০ রানের মাঝেই ক্রিজছাড়া হয়েছেন তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলটি কোনক্রমে ঠেকিয়ে ১ রান নেন নাঈম। তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান লিটন দাস। বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন লিটন। সৌম্য ৮ বলে ৫ রান করে জস হেইজেলউডের বলে খোয়ান স্টাম্প। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মুশফিকুর রহিম বিফোর উইকেটের শিকার হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।
এরপর পাল্টা ওপেনার নাঈম শেখ আর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ কিছুটা সময় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হেইজেলউডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে দলীয় ৩২ রানে প্যাট কামিন্সের হাতে নাঈম শেখ (১৭) ধরা পড়লে ভেঙে যায় জুটি।
প্রতিভার ছাপ রেখে দলে জায়গা পাওয়া আফিফ হোসেন ধ্রুব পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ছিলেন নিষ্প্রভ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিজের নামের পাশে কোন রান লেখার আগেই তিনি শিকার হন জাম্পার। মাত্র ৩৩ রানে বাংলাদেশের পাঁচজন ব্যাটার ফেরেন ড্রেসিংরুমে। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ (১৬) ও শামীম হোসেনের (১৯) কল্যাণে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ৭৩ রান জমা করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ দল। টাইগারদের ইনিংসে চার ব্যাটারের নামের পাশে কোন রান নেই, চারজন আউট হন এক অঙ্কের কোটায়।
সেমিফাইনালের দৌঁড়ে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের এই রান অজিদের ৮.১ ওভারে টপকালেই চলতো। কিন্তু অতটা সময় তারা অপেক্ষা করেনি।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হন দুই অজি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ঝড়ের গতিতে ব্যাট চালিয়ে মাত্র ৫ ওভারেই ৫৮ রান তোলেন দুজন। দুইশ’ স্ট্রাইক রেটে ২০ বলে ৪০ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে অ্যারন ফিঞ্চ ফেরার পর ১৪ বলে ১৮ রান করা ওয়ার্নারকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তিনশ’র বেশি স্ট্রাইক রেটে মিচেল মার্শ ৫ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করায় চার নম্বরে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কোন বল মোকাবিলা করারই সুযোগ পাননি।