নারী ইউএনওদের ৫.৭ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার

দেশে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রতি এখনও নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উন্নয়নকাজ তদারকিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে দেশের নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ৫ দশমিক ৭ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

সংস্থাটি বলছে, উপজেলা প্রশাসনের প্রধান হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ ও প্রভাব, নিরাপত্তা ঝুঁকি, কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নেতিবাচক ধারণা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসহযোগিতা, শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার মতো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।

গতকাল ‘স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উপজেলা নারী নির্বাহী কর্মকর্তার চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশের সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি (পরিচালক) মোহাম্মাদ রফিকুল হাসান, সিনিয়র ফেলো-রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি শাহজাদা এম আকরাম, প্রাক্তন সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। টিআইবির গবেষণায় ওঠে এসেছে- নারী ইউএনওর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, জেন্ডার চাহিদা বিবেচনায় রেখে মাঠপর্যায়ে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নারী ইউএনও কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, তা বিশ্লেষণ করাই ছিল এ গবেষণার উদ্দেশ্য। এ গবেষণায় উপজেলা পরিষদে সাচিবিক সহায়তা প্রদান, উপজেলা চেয়ারম্যানকে সহায়তা প্রদান, উপজেলা পরিষদসহ অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন এবং উপজেলা প্রশাসনের সরকারি নির্দেশনাবলী পালন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।’

গবেষণায় ওঠে এসেছে, অংশগ্রহণকারী ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ ইউএনও জানিয়েছেন- ত্রাণসামগ্রী বিতরণে অনিয়ম করার জন্য তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়। এ ধরনের চাপ প্রয়োগের ফলে অতিরিক্ত ত্রাণসামগ্রীর জন্য সুপারিশ করতে বাধ্য হতে হয় বলেছেন ২০ শতাংশ ইউএনও।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৩১ দশমিক ৪ শতাংশ ইউএনও জানিয়েছেন, ব্যয়ের যথার্থতা যাচাই না করার জন্য তাদের বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। ভুয়া ব্যয়ের বিল অনুমোদন দিতে বাধ্য করা হয় বলে উল্লেখ করেছেন ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ইউএনও। উপজেলা পরিষদের ক্রয় সংক্রান্ত কাজে অনিয়ম করার জন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় বলেছেন ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও। ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ ইউএনও বলেছেন- কাজ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে তারা সহকর্মীদের থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পান না।’

গবেষণা প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, উপজেলা চেয়ারম্যানকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে নারী ইউএনও যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, তার মধ্যে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে যথাযথ সহযোগিতা না পাওয়া (৪০ দশমিক ৫ শতাংশ) অন্যতম। ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ ইউএনও জানিয়েছেন, উপজেলায় দুর্নীতিবিরোধী কাজের ক্ষেত্রে তারা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। এছাড়া প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইউএনও (৩১ দশমিক ৪ শতাংশ) জানিয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মহল থেকে অনৈতিক কাজের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। উপজেলার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইউএনওরা (৩১ শতাংশ) রাজনৈতিক প্রভাবের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন।

টিআইবির গবেষণা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও বাধার সম্মুখীন হন।

এছাড়া উন্নয়ন কার্যাবলী তদারকিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সময় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও যৌনহয়রানির শিকার হয়েছেন। এসব দায়িত্ব ইউএনও পালন করেন চেয়ারম্যানের কার্যক্রমকে সহজতর করার জন্য। এছাড়াও রয়েছে সমন্বয় সাধন, সরকারি নির্দেশ পালন, দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ।

দুর্নীতির শিকার হলে অভিযোগ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন ৫৭.৮% ইউএনও। ৩৫.৬% ইউএনও জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য তারা প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। কারও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছেন ২৮.৯% ইউএনও।

উপজেলায় দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেন ২৮.৯% ইউএনও। এছাড়া উপজেলায় দুর্নীতির প্রবণতা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য নৈতিকতা কমিটি গঠন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির বিরদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন যথাক্রমে ২২.২% ও ৪.৫% নারী ইউএনও।

এছাড়া কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইউএনওরা রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে পুরুষতান্ত্রিক/পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবের মুখোমুখি হন। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের পরিকল্পনা ও সম্পাদনকালীন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের থেকে অনিয়ম করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। এছাড়া ইউএন’রা দুর্নীতিবিরোধী কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন এবং অনেক সময় তাদের অনৈতিক কাজ করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়।

শুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

নারী ইউএনওদের ৫.৭ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রতি এখনও নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উন্নয়নকাজ তদারকিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে দেশের নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ৫ দশমিক ৭ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

সংস্থাটি বলছে, উপজেলা প্রশাসনের প্রধান হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ ও প্রভাব, নিরাপত্তা ঝুঁকি, কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নেতিবাচক ধারণা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসহযোগিতা, শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার মতো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।

গতকাল ‘স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উপজেলা নারী নির্বাহী কর্মকর্তার চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশের সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি (পরিচালক) মোহাম্মাদ রফিকুল হাসান, সিনিয়র ফেলো-রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি শাহজাদা এম আকরাম, প্রাক্তন সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। টিআইবির গবেষণায় ওঠে এসেছে- নারী ইউএনওর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, জেন্ডার চাহিদা বিবেচনায় রেখে মাঠপর্যায়ে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নারী ইউএনও কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, তা বিশ্লেষণ করাই ছিল এ গবেষণার উদ্দেশ্য। এ গবেষণায় উপজেলা পরিষদে সাচিবিক সহায়তা প্রদান, উপজেলা চেয়ারম্যানকে সহায়তা প্রদান, উপজেলা পরিষদসহ অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন এবং উপজেলা প্রশাসনের সরকারি নির্দেশনাবলী পালন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।’

গবেষণায় ওঠে এসেছে, অংশগ্রহণকারী ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ ইউএনও জানিয়েছেন- ত্রাণসামগ্রী বিতরণে অনিয়ম করার জন্য তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়। এ ধরনের চাপ প্রয়োগের ফলে অতিরিক্ত ত্রাণসামগ্রীর জন্য সুপারিশ করতে বাধ্য হতে হয় বলেছেন ২০ শতাংশ ইউএনও।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৩১ দশমিক ৪ শতাংশ ইউএনও জানিয়েছেন, ব্যয়ের যথার্থতা যাচাই না করার জন্য তাদের বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। ভুয়া ব্যয়ের বিল অনুমোদন দিতে বাধ্য করা হয় বলে উল্লেখ করেছেন ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ইউএনও। উপজেলা পরিষদের ক্রয় সংক্রান্ত কাজে অনিয়ম করার জন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় বলেছেন ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও। ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ ইউএনও বলেছেন- কাজ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে তারা সহকর্মীদের থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পান না।’

গবেষণা প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, উপজেলা চেয়ারম্যানকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে নারী ইউএনও যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, তার মধ্যে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে যথাযথ সহযোগিতা না পাওয়া (৪০ দশমিক ৫ শতাংশ) অন্যতম। ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ ইউএনও জানিয়েছেন, উপজেলায় দুর্নীতিবিরোধী কাজের ক্ষেত্রে তারা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। এছাড়া প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইউএনও (৩১ দশমিক ৪ শতাংশ) জানিয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মহল থেকে অনৈতিক কাজের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। উপজেলার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইউএনওরা (৩১ শতাংশ) রাজনৈতিক প্রভাবের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন।

টিআইবির গবেষণা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও বাধার সম্মুখীন হন।

এছাড়া উন্নয়ন কার্যাবলী তদারকিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সময় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও যৌনহয়রানির শিকার হয়েছেন। এসব দায়িত্ব ইউএনও পালন করেন চেয়ারম্যানের কার্যক্রমকে সহজতর করার জন্য। এছাড়াও রয়েছে সমন্বয় সাধন, সরকারি নির্দেশ পালন, দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ।

দুর্নীতির শিকার হলে অভিযোগ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন ৫৭.৮% ইউএনও। ৩৫.৬% ইউএনও জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য তারা প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। কারও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছেন ২৮.৯% ইউএনও।

উপজেলায় দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেন ২৮.৯% ইউএনও। এছাড়া উপজেলায় দুর্নীতির প্রবণতা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য নৈতিকতা কমিটি গঠন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির বিরদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন যথাক্রমে ২২.২% ও ৪.৫% নারী ইউএনও।

এছাড়া কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইউএনওরা রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে পুরুষতান্ত্রিক/পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবের মুখোমুখি হন। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের পরিকল্পনা ও সম্পাদনকালীন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের থেকে অনিয়ম করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। এছাড়া ইউএন’রা দুর্নীতিবিরোধী কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন এবং অনেক সময় তাদের অনৈতিক কাজ করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়।