ঋণ খেলাপিদের নির্বাচন করার আইনি অধিকার নেই : হাইকোর্ট

যারা ঋণখেলাপি হয়েও ভোট করতে চান, তা না পেরে আবার আদালতে যান, তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোন আইনি অধিকার থাকা ‘উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে মনোনয়ন বাতিল হওয়া এক ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীর রিটের শুনানিকালে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য পদে প্রার্থী মহিউদ্দিন সিদ্দিকী আদালতে রিট আবেদনটি করেন। আগামী ১১ নভেম্বর এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মহিউদ্দিন সিদ্দিকী। কিন্তু মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র ২৫ অক্টোবর বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশনের চট্টগ্রাম অফিস। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, ওয়ান ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখার পত্র মোতাবেক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী ঋণখেলাপি। যা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ১৪ এর ৩ উপবিধি অনুসারে বাতিলযোগ্য। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেজাউল হোসাইন মোরশেদ। রষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

শুনানিতে আইনজীবী রেজাউল হোসাইন বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণে মহিউদ্দিন সিদ্দিকী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এতে তার সাংবিধানিক অধিকার ‘খর্ব’ হচ্ছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তখন বলেন, ঋণখেলাপির কোন আইনি অধিকার থাকতে পারে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণের এতই যখন ইচ্ছা, তাহলে নির্ধারিত সময়ের আগে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল।

বিচারক বলেন, ছোট হোক বড় হোক আইন সবার জন্য সমান। এক জনের জন্য আইনের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া যাবে না। শুনানি শেষে রিট আবেদনটি কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দেয় আদালত।

শুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ঋণ খেলাপিদের নির্বাচন করার আইনি অধিকার নেই : হাইকোর্ট

আদালত বার্তা পরিবেশক

যারা ঋণখেলাপি হয়েও ভোট করতে চান, তা না পেরে আবার আদালতে যান, তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোন আইনি অধিকার থাকা ‘উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে মনোনয়ন বাতিল হওয়া এক ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীর রিটের শুনানিকালে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য পদে প্রার্থী মহিউদ্দিন সিদ্দিকী আদালতে রিট আবেদনটি করেন। আগামী ১১ নভেম্বর এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মহিউদ্দিন সিদ্দিকী। কিন্তু মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র ২৫ অক্টোবর বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশনের চট্টগ্রাম অফিস। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, ওয়ান ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখার পত্র মোতাবেক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী ঋণখেলাপি। যা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ১৪ এর ৩ উপবিধি অনুসারে বাতিলযোগ্য। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেজাউল হোসাইন মোরশেদ। রষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

শুনানিতে আইনজীবী রেজাউল হোসাইন বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণে মহিউদ্দিন সিদ্দিকী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এতে তার সাংবিধানিক অধিকার ‘খর্ব’ হচ্ছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তখন বলেন, ঋণখেলাপির কোন আইনি অধিকার থাকতে পারে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণের এতই যখন ইচ্ছা, তাহলে নির্ধারিত সময়ের আগে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল।

বিচারক বলেন, ছোট হোক বড় হোক আইন সবার জন্য সমান। এক জনের জন্য আইনের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া যাবে না। শুনানি শেষে রিট আবেদনটি কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দেয় আদালত।