ভোটে সহিংসতা বন্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশ

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতা বন্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। একই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। গতকাল সব বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

সোয়া দুই ঘণ্টাব্যাপী ভার্চুয়াল এ বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সিইসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এছাড়াও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।

সিইসি মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হয় মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেই তাদের ওঠা-বসা। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভালো প্রার্থী তুলে নিয়ে আসার জন্য মাঠ প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। ভালো প্রার্থীর নির্বাচন করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের বেশি।

তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চলে নির্বাচনী সহিংসতা বেশি। তবে কয়েকদিনের তৎপরতায় তা কমে এসেছে। মাগুরায় সহিংস কর্মকান্ডে চারজনের প্রাণ গেল। এইসব ঘটনা যতটা না রাজনৈতিক কারণে হয়, তার চেয়ে বেশি হয় স্থানীয় কোন্দলের কারণে এবং স্থানীয় প্রভাব বিস্তারের জন্য। এগুলো যতটা না দলভিত্তিক, তারচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার-ভিত্তিক।

মাঠ প্রশাসনে লোকবলের সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনগুলো পুঞ্জিভূত হয়ে গেছে। একসঙ্গে আমাদের বেশি করে নির্বাচন করতে হচ্ছে। কেননা, নির্বাচন ডিউ রয়ে গেছে। পেছানোর সুযোগ নেই। তাই আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চাপ বেশি হয়ে গেছে। সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট সংকট কাটাতে যারা মন্ত্রণালয়ে বা অন্য দপ্তরে কাজ করছেন, তাদেরও দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় ইসির ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে থাকে। তাই তেমন কোন ঘটনার সৃষ্টি হলে মাঠ প্রশাসনের সহায়তায় তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কোন কেন্দ্রে ভোট নেয়ার সম্ভব না হলে ভোট বন্ধ করে দেবেন। আমাদের কাছে কোন অভিযোগ এলে আমরা একঘণ্টা দেরি করি না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কোন অভিযোগ যদি রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আসে, আমরা তা ফাইলবন্দি করে রাখি না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেই। যদি কোন প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হয়, তাহলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা আমাদের আছে। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাদের কাছে অভিযোগ আসতে হবে।

শুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ভোটে সহিংসতা বন্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতা বন্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। একই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। গতকাল সব বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

সোয়া দুই ঘণ্টাব্যাপী ভার্চুয়াল এ বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সিইসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এছাড়াও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।

সিইসি মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হয় মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেই তাদের ওঠা-বসা। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভালো প্রার্থী তুলে নিয়ে আসার জন্য মাঠ প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। ভালো প্রার্থীর নির্বাচন করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের বেশি।

তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চলে নির্বাচনী সহিংসতা বেশি। তবে কয়েকদিনের তৎপরতায় তা কমে এসেছে। মাগুরায় সহিংস কর্মকান্ডে চারজনের প্রাণ গেল। এইসব ঘটনা যতটা না রাজনৈতিক কারণে হয়, তার চেয়ে বেশি হয় স্থানীয় কোন্দলের কারণে এবং স্থানীয় প্রভাব বিস্তারের জন্য। এগুলো যতটা না দলভিত্তিক, তারচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার-ভিত্তিক।

মাঠ প্রশাসনে লোকবলের সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনগুলো পুঞ্জিভূত হয়ে গেছে। একসঙ্গে আমাদের বেশি করে নির্বাচন করতে হচ্ছে। কেননা, নির্বাচন ডিউ রয়ে গেছে। পেছানোর সুযোগ নেই। তাই আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চাপ বেশি হয়ে গেছে। সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট সংকট কাটাতে যারা মন্ত্রণালয়ে বা অন্য দপ্তরে কাজ করছেন, তাদেরও দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় ইসির ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে থাকে। তাই তেমন কোন ঘটনার সৃষ্টি হলে মাঠ প্রশাসনের সহায়তায় তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কোন কেন্দ্রে ভোট নেয়ার সম্ভব না হলে ভোট বন্ধ করে দেবেন। আমাদের কাছে কোন অভিযোগ এলে আমরা একঘণ্টা দেরি করি না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কোন অভিযোগ যদি রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আসে, আমরা তা ফাইলবন্দি করে রাখি না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেই। যদি কোন প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হয়, তাহলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা আমাদের আছে। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাদের কাছে অভিযোগ আসতে হবে।