স্বাস্থ্য সচিব
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, কোভিডের মতো এত বড় অতি মহামারী বিগত ১০০ বছরে কেউ দেখেনি। করোনা কাউকেই করুণা করে না। কোভিভ-১৯ আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অনেকে আমাদের কাছ থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছে। বৈশ্বিক অতিমারীর এ সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে দেশের ১৮ কোটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে ডাক্তার-নার্স, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারাসহ সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করার কারণে আমরা কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারণে কোভিডের টিকা নিয়ে এখন আর কোন সমস্যা নেই।
দেশের ৭ কোটি ১৩ লাখ মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। মজুদ রয়েছে আরও ২ কোটি, সিরিঞ্জ মজুদ কোটি। কয়েকদিনের মধ্যে আসবে আরও ৩ কোটি ডোজ টিকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭৫ লাখ ও নিয়মিত আরও ৫ লাখসহ মোট ৮০ লাখ ডোজ টিকা এক দিনে প্রয়োগ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয় সভার আয়োজন করেন।
চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে যোগদানের পর দেশে এক ডোজ ভ্যাকসিনও ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বল্প সময়ের মধ্যে চীন, রাশিয়া, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছি। এসব দেশ থেকে কোভ্যাক্স, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, মর্ডানা, সিনোফার্মা ও ফাইজার টিকা এনে মানুষের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিচ্ছি। প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি ডোজ টিকা আমরা পাচ্ছি। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরকে টিকার আওতায় নিয়ে এসেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে অর্ধেকের বেশি মানুষ টিকার আওতায় আসবে। পর্যায়ক্রমে সবাই ডাবল ডোজ টিকার আওতায় আসবে এবং এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ১৫তম অবস্থানে চলে আসবে। টিকা কার্যক্রমে পৃথিবীর সব মহলে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মুবারক হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সানা শামীমুর রহমান ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. শেখ সফিউল আজম, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
শুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
স্বাস্থ্য সচিব
চট্টগ্রাম ব্যুরো
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, কোভিডের মতো এত বড় অতি মহামারী বিগত ১০০ বছরে কেউ দেখেনি। করোনা কাউকেই করুণা করে না। কোভিভ-১৯ আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অনেকে আমাদের কাছ থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছে। বৈশ্বিক অতিমারীর এ সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে দেশের ১৮ কোটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে ডাক্তার-নার্স, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারাসহ সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করার কারণে আমরা কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারণে কোভিডের টিকা নিয়ে এখন আর কোন সমস্যা নেই।
দেশের ৭ কোটি ১৩ লাখ মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। মজুদ রয়েছে আরও ২ কোটি, সিরিঞ্জ মজুদ কোটি। কয়েকদিনের মধ্যে আসবে আরও ৩ কোটি ডোজ টিকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭৫ লাখ ও নিয়মিত আরও ৫ লাখসহ মোট ৮০ লাখ ডোজ টিকা এক দিনে প্রয়োগ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয় সভার আয়োজন করেন।
চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে যোগদানের পর দেশে এক ডোজ ভ্যাকসিনও ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বল্প সময়ের মধ্যে চীন, রাশিয়া, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছি। এসব দেশ থেকে কোভ্যাক্স, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, মর্ডানা, সিনোফার্মা ও ফাইজার টিকা এনে মানুষের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিচ্ছি। প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি ডোজ টিকা আমরা পাচ্ছি। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরকে টিকার আওতায় নিয়ে এসেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে অর্ধেকের বেশি মানুষ টিকার আওতায় আসবে। পর্যায়ক্রমে সবাই ডাবল ডোজ টিকার আওতায় আসবে এবং এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ১৫তম অবস্থানে চলে আসবে। টিকা কার্যক্রমে পৃথিবীর সব মহলে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মুবারক হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সানা শামীমুর রহমান ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. শেখ সফিউল আজম, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।