চিঠি : বৈষম্যহীন সাত কলেজ চাই

বৈষম্যহীন সাত কলেজ চাই

বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ না পাওয়া হাজারো স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীর স্বপ্নের ক্যাম্পাসে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ। স্বল্প খরচে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ-সুবিধা ও রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়া অগণিত শিক্ষার্থীই রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ ছেড়ে দিয়ে এসব কলেজে ভর্তি হয়।

কিন্তু এসব কলেজে একের পর এক বেঁধে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন। তাতে শুধুমাত্র অসঙ্গতি নয় বরং ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হতভাগা এই শিক্ষার্থীরা। নতুন করে এই বৈষম্য আরো চাঙ্গা হয়েছ করোনা মহামারীতে। গত বছর বিভিন্ন বর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ থেকে। অনলাইনে নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে অল্প কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস করার সুযোগ পেলেও স্বশরীরে উল্লেখযোগ্য ক্লাস করার সুযোগ পায়নি বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ সিলেবাসে নিচ্ছে ২০২০ সালের চূড়ান্ত পরীক্ষা। তবে বৈষম্যের শেষ নেই পরীক্ষা ঘিরেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি ও সেশনজটমুক্ত করতে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হগয়েছে। অন্যদিকে অভিভাবকহীন ভিনগ্রহের ন্যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে উপেক্ষা করে বাধ্য করে সশরীরে পরীক্ষার দেওয়াতে।

প্রশ্নের মানবন্টনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছাড়াই বহন করতে হচ্ছে দুঃসাধ্য বোঝা। চার ঘন্টার পরীক্ষা দুই ঘণ্টায় শেষ করতে হবে। অথচ চার ঘন্টা সময় দিয়েই পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

গত ২৭ তারিখে সামাজ বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২ ঘন্টা পরীক্ষার হলে বসিয়ে রেখে পরবর্তীতে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কথা জানানো হয়। কয়েক দফায় পরীক্ষার মূল রুটিনেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। ফলে বিপাকে পড়তে হয়েছে মানোন্নয়নে অংশগ্রহণ করা পরিক্ষার্থীদের। এমন বৈষম্য ও অসঙ্গতিমূলক আচরণে চরম ক্ষিপ্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও অনেক বৈষম্যে রয়েছে শুধু চলমান বৈষম্য দিয়েই শেষ করতে চাচ্ছি। তবে প্রসাশনিক উদ্যোগ ও তৎপরতায় এবং সমন্বয়কের দায়িত্বশীল ভূমিকায় সাত কলেজই হতে পারে প্রায় ২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর স্বপ্নের ক্যাম্পাস। আশা করি কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হবে।

রহমতুল্লাহ

যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

যৌতুক একটি ভয়াবহ সমাজিক ব্যাধি। আধুনিক সমাজ এ ব্যাধির নতুন নামকরণ করেছে ‘উপহার’। অর্থাৎ যুগ পাল্টানোর সাথে সাথে যুগের তালে তাল মিলিয়ে যৌতুকের নতুন নাম হয় উপহার। এটি সমাজে নারীর মর্যাদাকে যেমন ক্ষুণ্ন করছে, তেমনি নারীর জীবনকে করছে চরম দুঃখজনক, যন্ত্রণাদায়ক, নির্যাতিত। এ অদৃশ্য বিষবাষ্প দৃশ্যমান হয় যখন কোন নারীকে প্রাণটাই দিয়ে দিতে হয়। এ বিষবাষ্প শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে রূপ নিয়েছে বিষবৃক্ষে। এর দু’একটা ভয়াবহ ফল আমরা প্রতিদিনের সংবাদপত্রগুলো খুললেই পাই। আর বেশিরভাগই রয়ে যায় অগোচরে, অন্তরালে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে শিশু জন্মদান করতে গিয়ে মাতৃ মৃত্যুহার প্রশংসনীয় হারে কমেছে। কিন্তু বেড়েছে যৌতুকের দায়ে মাতৃ নির্যাতন ও মৃত্যু।

এ ব্যাধি থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। পাশাপাশি সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এসএ নেহা

পাবনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাই

পাবনা জেলার দুইপাশে পদ্মা-যমুনা, মাঝামাঝিতে চলন বিল। এখানে রয়েছে নানা জায়গায় সুউচ্চ এবং নিম্নভূমি। এছাড়া রয়েছে হাওর-বাওর, বিল, নদী-নালা; যা মৎস্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে কৃষি বিস্তারে পাবনা জেলার কোন জুড়ি নেই। পাবনা জেলায় রয়েছে আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, রয়েছে আখ গবেষণা কেন্দ্র, টেবুনিয়া কৃষি সম্প্রসারণ কেন্দ্র। পাবনা জেলায় কৃষি কাজের জন্য রয়েছে বিশাল বিশাল চর অঞ্চল। যেখানে এখনো সনাতন পদ্ধতিতে কৃষি কাজ পরিচালনা করা হয়।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি সম্প্রসারণ করতে হলে পাবনাতে একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা জরুরি। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি, পাবনায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক।

শাবলু শাহাবউদ্দিন

আরও খবর

শুক্রবার, ০৫ নভেম্বর ২০২১ , ২০ কার্তিক ১৪২৮ ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চিঠি : বৈষম্যহীন সাত কলেজ চাই

বৈষম্যহীন সাত কলেজ চাই

বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ না পাওয়া হাজারো স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীর স্বপ্নের ক্যাম্পাসে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ। স্বল্প খরচে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ-সুবিধা ও রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়া অগণিত শিক্ষার্থীই রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ ছেড়ে দিয়ে এসব কলেজে ভর্তি হয়।

কিন্তু এসব কলেজে একের পর এক বেঁধে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন। তাতে শুধুমাত্র অসঙ্গতি নয় বরং ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হতভাগা এই শিক্ষার্থীরা। নতুন করে এই বৈষম্য আরো চাঙ্গা হয়েছ করোনা মহামারীতে। গত বছর বিভিন্ন বর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ থেকে। অনলাইনে নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে অল্প কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস করার সুযোগ পেলেও স্বশরীরে উল্লেখযোগ্য ক্লাস করার সুযোগ পায়নি বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ সিলেবাসে নিচ্ছে ২০২০ সালের চূড়ান্ত পরীক্ষা। তবে বৈষম্যের শেষ নেই পরীক্ষা ঘিরেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি ও সেশনজটমুক্ত করতে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হগয়েছে। অন্যদিকে অভিভাবকহীন ভিনগ্রহের ন্যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে উপেক্ষা করে বাধ্য করে সশরীরে পরীক্ষার দেওয়াতে।

প্রশ্নের মানবন্টনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছাড়াই বহন করতে হচ্ছে দুঃসাধ্য বোঝা। চার ঘন্টার পরীক্ষা দুই ঘণ্টায় শেষ করতে হবে। অথচ চার ঘন্টা সময় দিয়েই পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

গত ২৭ তারিখে সামাজ বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২ ঘন্টা পরীক্ষার হলে বসিয়ে রেখে পরবর্তীতে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কথা জানানো হয়। কয়েক দফায় পরীক্ষার মূল রুটিনেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। ফলে বিপাকে পড়তে হয়েছে মানোন্নয়নে অংশগ্রহণ করা পরিক্ষার্থীদের। এমন বৈষম্য ও অসঙ্গতিমূলক আচরণে চরম ক্ষিপ্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও অনেক বৈষম্যে রয়েছে শুধু চলমান বৈষম্য দিয়েই শেষ করতে চাচ্ছি। তবে প্রসাশনিক উদ্যোগ ও তৎপরতায় এবং সমন্বয়কের দায়িত্বশীল ভূমিকায় সাত কলেজই হতে পারে প্রায় ২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর স্বপ্নের ক্যাম্পাস। আশা করি কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হবে।

রহমতুল্লাহ

যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

যৌতুক একটি ভয়াবহ সমাজিক ব্যাধি। আধুনিক সমাজ এ ব্যাধির নতুন নামকরণ করেছে ‘উপহার’। অর্থাৎ যুগ পাল্টানোর সাথে সাথে যুগের তালে তাল মিলিয়ে যৌতুকের নতুন নাম হয় উপহার। এটি সমাজে নারীর মর্যাদাকে যেমন ক্ষুণ্ন করছে, তেমনি নারীর জীবনকে করছে চরম দুঃখজনক, যন্ত্রণাদায়ক, নির্যাতিত। এ অদৃশ্য বিষবাষ্প দৃশ্যমান হয় যখন কোন নারীকে প্রাণটাই দিয়ে দিতে হয়। এ বিষবাষ্প শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে রূপ নিয়েছে বিষবৃক্ষে। এর দু’একটা ভয়াবহ ফল আমরা প্রতিদিনের সংবাদপত্রগুলো খুললেই পাই। আর বেশিরভাগই রয়ে যায় অগোচরে, অন্তরালে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে শিশু জন্মদান করতে গিয়ে মাতৃ মৃত্যুহার প্রশংসনীয় হারে কমেছে। কিন্তু বেড়েছে যৌতুকের দায়ে মাতৃ নির্যাতন ও মৃত্যু।

এ ব্যাধি থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। পাশাপাশি সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এসএ নেহা

পাবনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাই

পাবনা জেলার দুইপাশে পদ্মা-যমুনা, মাঝামাঝিতে চলন বিল। এখানে রয়েছে নানা জায়গায় সুউচ্চ এবং নিম্নভূমি। এছাড়া রয়েছে হাওর-বাওর, বিল, নদী-নালা; যা মৎস্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে কৃষি বিস্তারে পাবনা জেলার কোন জুড়ি নেই। পাবনা জেলায় রয়েছে আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, রয়েছে আখ গবেষণা কেন্দ্র, টেবুনিয়া কৃষি সম্প্রসারণ কেন্দ্র। পাবনা জেলায় কৃষি কাজের জন্য রয়েছে বিশাল বিশাল চর অঞ্চল। যেখানে এখনো সনাতন পদ্ধতিতে কৃষি কাজ পরিচালনা করা হয়।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি সম্প্রসারণ করতে হলে পাবনাতে একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা জরুরি। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি, পাবনায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক।

শাবলু শাহাবউদ্দিন