পতনে সপ্তাহ পার, বিনিয়োগকারীরা হারালো ১২ হাজার কোটি টাকা

আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। আর পতনের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার মূলধন।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৫ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১১ হাজার ৯৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৪৯২ টাকা বা ২.১২ শতাংশ বাজার মূলধন হারিয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৮৫৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল সাত হাজার ৫৫০ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ১১৯ কোটি ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৬ টাকা বা ১৫ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫৫.৬৪ পয়েন্ট বা ২.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯০৬.৭২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.২১ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৬৩ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬২.১৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬০১.২৮ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টির বা ২৩.৮১ শতাংশের, কমেছে ২৭০টির বা ৭১.৪৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির বা ৪.৭৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২০৮ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৬ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮৪ হাজার ৮২২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৫০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৬ টাকা বা ১৯ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৩০.৯২ পয়েন্ট বা ২.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৯৭.৯৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৫৯.৮৯ পয়েন্ট বা ২.০৯ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪৪৭.৭৬ পয়েন্ট বা ৩.০৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৯.১৮ পয়েন্ট বা ১.৯০ শতাংশ এবং সিএসআই ১২.৯৯ পয়েন্ট বা ১.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ১৩২.৫৭ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৩৮.০৪ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫০৫.৭২ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৬২.৪৬ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৭টির বা ২৫.৫৯ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৪০টির বা ৭০.৫৯ শতাংশের কমেছে এবং ১৩টির বা ৩.৮২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গতকাল ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দুই শতাংশের বেশি কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৮৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৪৪ পয়েন্ট বা ২.৩৩ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.০৯ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৯.৯২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪০.০৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.৮৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৮.৮৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৩.০৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৮৫.৬২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৩.৬৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৮৫ শতাংশ, চামড়া খাতের ৫২.৪০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৯.৪১ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৬.৬০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৯৪৬.১০ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৬.৯৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.০৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১.১৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৮৮.১৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

পতনে সপ্তাহ পার, বিনিয়োগকারীরা হারালো ১২ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। আর পতনের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার মূলধন।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৫ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১১ হাজার ৯৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৪৯২ টাকা বা ২.১২ শতাংশ বাজার মূলধন হারিয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৮৫৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল সাত হাজার ৫৫০ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ১১৯ কোটি ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৬ টাকা বা ১৫ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫৫.৬৪ পয়েন্ট বা ২.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯০৬.৭২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.২১ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৬৩ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬২.১৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬০১.২৮ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টির বা ২৩.৮১ শতাংশের, কমেছে ২৭০টির বা ৭১.৪৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির বা ৪.৭৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২০৮ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৬ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮৪ হাজার ৮২২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৫০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৬ টাকা বা ১৯ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৩০.৯২ পয়েন্ট বা ২.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৯৭.৯৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৫৯.৮৯ পয়েন্ট বা ২.০৯ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪৪৭.৭৬ পয়েন্ট বা ৩.০৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৯.১৮ পয়েন্ট বা ১.৯০ শতাংশ এবং সিএসআই ১২.৯৯ পয়েন্ট বা ১.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ১৩২.৫৭ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৩৮.০৪ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫০৫.৭২ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৬২.৪৬ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৭টির বা ২৫.৫৯ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৪০টির বা ৭০.৫৯ শতাংশের কমেছে এবং ১৩টির বা ৩.৮২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গতকাল ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দুই শতাংশের বেশি কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৮৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৪৪ পয়েন্ট বা ২.৩৩ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.০৯ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৯.৯২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪০.০৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.৮৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৮.৮৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৩.০৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৮৫.৬২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৩.৬৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৮৫ শতাংশ, চামড়া খাতের ৫২.৪০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৯.৪১ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৬.৬০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৯৪৬.১০ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৬.৯৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.০৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১.১৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৮৮.১৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।