বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের অবস্থা ভালো, আস্থা রাখতে পারেন

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আপনারা (প্রবাসী ও ইংল্যান্ডবাসী) বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিনিয়োগের নিরাপত্তার বিষয়টি পূনরায় নিশ্চিত করেছেন। অতএব আপনারা আমাদের বিনিয়োগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারেন।’

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে রোড শো অনুষ্ঠানের ১ম দিনের ২য় সেশনে তিনি এ কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান।

বৃটেনে আসার অন্যতম কারণ হিসেবে শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখানে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। এখান থেকে বিদেশি ও প্রবাসীরা নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টরস টাকা (নিটা) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। যা ব্যক্তিগতভাবে ও কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে বিদেশিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে একটি নিটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপরে বিও অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেরাই লেনদেনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন অথবা ফান্ড ম্যানেজারদের মাধ্যমেও বিনিয়োগ করতে পারেন। এখানে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ব্লক মার্কেট ও পাবলিক মার্কেটের মাধ্যমে লেনদেন করার সুযোগ রয়েছে।’

লেনদেনের জন্য শুরুতে নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে বলে জানান তিনি। এরপরে ব্রোকার বা পোর্টফোলিও ম্যানেজারের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ক্রয় আদেশ দিলে আপনাদের বিও হিসাবে সিকিউরিটিজ জমা হবে। আর চাইলে খুব সহজেই বিনিয়োগকৃত অর্থ নিটা অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিতে পারবেন।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য কর হারে সুবিধা রয়েছে বলে জানান তিনি। বিদেশিদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশের ওপর ৩০ শতাংশ ও ক্যাপিটাল গেইনের ওপরে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয় বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য আমাদের বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন ধরনের শেয়ার (কমন শেয়ার, আইপিও, প্রিফারেন্স শেয়ার), বন্ড (সুকুক বন্ড, গ্রীন বন্ড), ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইত্যাদি রয়েছে। প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে। এরমধ্যে আইপিওতে ১০ শতাংশ কোটা, ইনকামের ওপর কর হার কমানো, ক্যাপিটাল গেইন নেই, জিরো কূপন বন্ডের ইনকামে কর মওকুফ ইত্যাদি। এছাড়া কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই বিদেশিরা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও তা প্রত্যাহার করে নিতে পারে।’

এই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডবাসী ও দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আহ্বান করেন তিনি। একইসঙ্গে যেকোন প্রয়োজনে বিএসইসির কাছে প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। যা অনলাইন বা অফলাইন উভয়ভাবেই করা যাবে। ২য় সেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ব্রিটিশ প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বিএসইসি কমিশনার

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের অবস্থা ভালো, আস্থা রাখতে পারেন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আপনারা (প্রবাসী ও ইংল্যান্ডবাসী) বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিনিয়োগের নিরাপত্তার বিষয়টি পূনরায় নিশ্চিত করেছেন। অতএব আপনারা আমাদের বিনিয়োগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারেন।’

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে রোড শো অনুষ্ঠানের ১ম দিনের ২য় সেশনে তিনি এ কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান।

বৃটেনে আসার অন্যতম কারণ হিসেবে শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখানে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। এখান থেকে বিদেশি ও প্রবাসীরা নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টরস টাকা (নিটা) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। যা ব্যক্তিগতভাবে ও কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে বিদেশিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে একটি নিটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপরে বিও অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেরাই লেনদেনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন অথবা ফান্ড ম্যানেজারদের মাধ্যমেও বিনিয়োগ করতে পারেন। এখানে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ব্লক মার্কেট ও পাবলিক মার্কেটের মাধ্যমে লেনদেন করার সুযোগ রয়েছে।’

লেনদেনের জন্য শুরুতে নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে বলে জানান তিনি। এরপরে ব্রোকার বা পোর্টফোলিও ম্যানেজারের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ক্রয় আদেশ দিলে আপনাদের বিও হিসাবে সিকিউরিটিজ জমা হবে। আর চাইলে খুব সহজেই বিনিয়োগকৃত অর্থ নিটা অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিতে পারবেন।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য কর হারে সুবিধা রয়েছে বলে জানান তিনি। বিদেশিদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশের ওপর ৩০ শতাংশ ও ক্যাপিটাল গেইনের ওপরে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয় বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য আমাদের বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন ধরনের শেয়ার (কমন শেয়ার, আইপিও, প্রিফারেন্স শেয়ার), বন্ড (সুকুক বন্ড, গ্রীন বন্ড), ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইত্যাদি রয়েছে। প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে। এরমধ্যে আইপিওতে ১০ শতাংশ কোটা, ইনকামের ওপর কর হার কমানো, ক্যাপিটাল গেইন নেই, জিরো কূপন বন্ডের ইনকামে কর মওকুফ ইত্যাদি। এছাড়া কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই বিদেশিরা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও তা প্রত্যাহার করে নিতে পারে।’

এই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডবাসী ও দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আহ্বান করেন তিনি। একইসঙ্গে যেকোন প্রয়োজনে বিএসইসির কাছে প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। যা অনলাইন বা অফলাইন উভয়ভাবেই করা যাবে। ২য় সেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।