জনগণের দুর্ভোগ, ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান সড়কমন্ত্রীর

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা পরিবহন ধর্মঘটের যে ডাক দিয়েছেন, তাতে পরীক্ষার্থী এবং জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ নভেম্বর বিআরটিএ’র ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যম জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোলও বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বৃদ্ধির কারণে অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণীবিন্যাস এবং টোলহার বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বশেষ ২০১১ সালে টোলহার বাড়ানো হয়েছিল, আর ২০০৮ সালে মুক্তারপুর সেতু চালু হবার পর এই প্রথম সেখানে টোলহার বাড়ানো হলো। বাস্তবভিত্তিক ও যৌক্তিক হারে টোল বৃদ্ধির বিষয়টি মেনে নেয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী।

সরকার বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর বৃহস্পতিবার ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ডভ্যান ড্রাইভার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার অথবা ভাড়া বাড়ানো না হলে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে বাস এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।

এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জরুরি পণ্য পরিবহন, জরুরি চিকিৎসা সেবার কাজে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পরিবহনের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চাকরি প্রার্থী ও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা।

শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১ , ২১ কার্তিক ১৪২৮ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

জনগণের দুর্ভোগ, ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান সড়কমন্ত্রীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা পরিবহন ধর্মঘটের যে ডাক দিয়েছেন, তাতে পরীক্ষার্থী এবং জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ নভেম্বর বিআরটিএ’র ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যম জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোলও বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বৃদ্ধির কারণে অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণীবিন্যাস এবং টোলহার বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বশেষ ২০১১ সালে টোলহার বাড়ানো হয়েছিল, আর ২০০৮ সালে মুক্তারপুর সেতু চালু হবার পর এই প্রথম সেখানে টোলহার বাড়ানো হলো। বাস্তবভিত্তিক ও যৌক্তিক হারে টোল বৃদ্ধির বিষয়টি মেনে নেয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী।

সরকার বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর বৃহস্পতিবার ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ডভ্যান ড্রাইভার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার অথবা ভাড়া বাড়ানো না হলে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে বাস এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।

এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জরুরি পণ্য পরিবহন, জরুরি চিকিৎসা সেবার কাজে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পরিবহনের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চাকরি প্রার্থী ও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা।